ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

চবিতে ছাত্রদলের মিছিলের সম্মুখসারীতে জুলাইয়ে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়


চবি প্রতিনিধি photo চবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪-৮-২০২৫ দুপুর ১:৫১

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদলের মিছিলের সম্মুখসারীতে শোডাউন দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় বহিষ্কৃত এক ছাত্রলীগ নেতা। এই ঘটনায় ক্যাম্পাস জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনার ঝড়। শিক্ষার্থীর নাম মোবারক হোসেন। তিনি  ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের নেতা ও ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ১১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের একটি পোগ্রামে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন (মীর হেলাল)।  মীর হেলালের আগমন উপলক্ষ্যে শোডাউন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সেই শোডাউনে সম্মুখ সারিতে দেখা যায় মোবারক কে৷ এ বছরের ২৪ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ৭৩ জন আর এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ১১ জনসহ মোট ৮৪ জনকে প্রাথমিকভাবে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই বহিষ্কৃতদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোবারক হোসেন। 
জুলাই বিপ্লব চলাকালীন মোবারক হোসেন শিক্ষার্থীদের মারধরে সরাসরি জড়িত ছিলেন৷ এছাড়াও হল ছাত্রলীগের গ্রুপ থেকে তখন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শিবির ও ছাত্রদল আ্যখ্যা দিয়ে বের করে দেন মোবারক। হুমকিও দেন সুদিন ফিরলে দেখে নেওয়ার। আন্দোলন চলাকালীন অনেক শিক্ষার্থীকে ইনবক্সেও হুমকি দেন তিনি। এসব কারণে সেসময় তাকে বয়কট করেন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সন্ত্রাসী ট্যাগ দিয়ে তার ছবি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টার লাগানো হয়। কিন্তু জুলাই পরবর্তী কিছুদিন আড়ালে থেকে হঠাৎ করেই ছাত্রদল হিসেবে আত্মঃপ্রকাশ করেন তিনি। বহিঃষ্কৃত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীর মিছিলে অংশগ্রহণ নিয়ে ক্যাম্পাসে চলছে সমালোচনা। খোদ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাই বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছেন না। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদল নেতা বলেন, অনেক নেতাই নিজের লোকবল বাড়াতে এমন অপ্রত্যাশিত কাজ করছেন৷ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশনা হচ্ছে বিতর্কিত কাউকে দলে আনা যাবে না। পাশাপাশি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে। এখন কেউ যদি নিজেই সন্ত্রাসী নিয়ে ঘুরে তাহলে সে সংগঠনের নির্দেশনা মানছেন না। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে  মোবারক হোসেন বলেন, আন্দোলনের পরে অনেকেই রাজনৈতিক দলে যুক্ত হলেও আমি কোন দলে যুক্ত হই নি। আমি আমার একাডেমিক লাইফ নিয়ে চিন্তিত। ১১ তারিখ আমি ২ নাম্বার গেটে থাকার কারণে ছাত্রদলের সাথে যুক্ত হয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো মিথ্যা। জুলাই আন্দোলনে আমি ক্যাম্পাসেই ছিলাম না কাউকে মারধর করবো কিভাবে? আমরা পরিবার বিএনপি কেন্দ্রীক থাকলেও আমি সরাসরি রাজনীতি থেকে মুক্ত। কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করে আমার একাডেমিক লাইফ নষ্ট করে দিতে চাচ্ছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন  বলেন, ১১ জুলাই মোবারক আমাদের একটা ছবিতে এসে দাঁড়িয়েছিল, তখন ওর ব্যাপারে আমরা জানতাম না। আমরা যখন জানতে পেরেছি সে বহিষ্কৃত এরপর থেকে সংগঠনে কোন কাজের সাথে আমরা তাকে যুক্ত করি নাই।"

এমএসএম / এমএসএম

ইবি'র ৪৭তম জন্মিদনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন

শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ

উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ

দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল

জকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

জকসু নির্বাচন: ছাত্রদল সমর্থিত "ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান" প্যানেল ঘোষণা,

এইচএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ

বাকৃবিতে প্রিসিশন ব্রিডিং-ভিত্তিক দুগ্ধ উৎপাদন উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা

স্কুলে ভর্তিতে ৬৩ শতাংশই কোটা, অভিভাবকদের আপত্তি