ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

নদীগর্ভে দুই বিদ্যালয় : বালুচরে টিনের চালায় পাঠদান


হাতীবান্ধা প্রতিনিধি  photo হাতীবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৮-৯-২০২১ দুপুর ১:১৬

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাইফুল ইসলাম। গত বছর যখন সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল তখন করোনা সংক্রামণের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে গত ১৮ মাসে তার আর বিদ্যালয়ে আসা হয়নি। দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খুলেছে। সাইফুল ইসলাম চতুর্থ শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উঠেছে। বিদ্যালয়েও এসেছে; কিন্তু সেই রঙিন টিনের সৌন্দর্যময় বিদ্যালয়টি আর নেই। বিদ্যালয়ে এসে সহপাঠীদের কাছে জানতে পারে ‍এক মাস আগে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে তার বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থা শুধু পশ্চিম হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নয়, গত ২৭ আগস্ট একই ইউনিয়নের পূর্ব হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হয়ে গেছে একই এলাকার কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিও। তবে বিদ্যালয় দুটি পুনঃস্থাপনের স্থান নির্ধারণ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। 

সরেজমিন দেখা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গত ২৭ জুলাই ও পূর্ব হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গত ২৭ আগস্ট তিস্তা নদীর ভাঙনের শিকার হয়। পূর্ব হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনের ৩টি কক্ষে পাঠদান দেয়া হচ্ছে। পশ্চিম হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওই এলাকার সাত ভাইয়ের বালুচরে একটি টিনের চালা করে পাঠদান দেয়া হচ্ছে। প্রচণ্ড রোদের কারণে ওই টিনের চালার মধ্যে ক্লাস করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। স্থানীয় প্রশাসন বিদ্যালয় দুটি পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলে ওই বিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। 

ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালমা আক্তার বলে, টিনের চালা ও গরম বালুর ওপর ক্লাস করতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। উপরে টিনের তাপ ও নিচে বালুর তাপ। আমাদের বিদ্যালয়ে যদি জরুরিভাবে ভালো ক্লাস রুম করে না দেয় তাহলে আমরাদের ক্লাস করতে খুব কষ্ট হবে। 

ওই এলাকার হাফিজুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম বলেন, পশ্চিম হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় চরটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আগে যে চরে বিদ্যালয়টি ছিল ওই চরে এখন মাত্র ২০-২৫টি পরিবার বসবাস করে। বর্তমানে যে স্থানে টিনের চালা করে বিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছে ওই চরে দেড় শতাধিক পরিবার বসবাস করে। এ কারণে এই স্থানে ভালো মানের ক্লাস রুম তৈরি করলে অনেক বাচ্চা লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। দেখে মনে হচ্ছে, এই চরটি সহজে নদীভাঙনের শিকার হবে না। আগে যেখানে স্কুল ছিল ওই স্থানে যদি আবারো স্কুল তৈরি করা হয় তাহলে আগামী বন্যায় আবারো নদীভাঙনের শিকার হতে পারে বিদ্যালয়টি। 

পশ্চিম হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিনুর ইসলাম বলেন, বর্তমান যে চরে টিনের চালা করা হয়েছে ওই চরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। সে কারণে ওই চরে বিদ্যালয়টি পুনঃস্থাপনসহ জরুরিভাবে ক্লাসরুম তৈরি করা প্রয়োজন।

পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাহাদাত বলেন, এবার নদীভাঙনে আমার ইউনিয়ন দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা টিনের চালায় কষ্টে ক্লাস করছে। তাদের জন্য জরুরিভিত্তিতে পরিবেশ উপযোগী ক্লাসরুম তৈরি করা প্রয়োজন।

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, আমি বিদ্যালয় দুটি পরিদর্শন করেছি। জরুরিভিত্তিতে বিদ্যালয় দুটির স্থান নির্ধারণ করে অবকাঠামো তৈরির ব্যবস্থা করা হবে।

এমএসএম / জামান

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ

পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র

জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা

মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল

এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী

বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা

কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী

রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী

বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত

ত্রিশালে জেঁকে বসেছে শীত, ফুটপাতে জমে উঠেছে বিক্রি

৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে কুমিল্লা -৬ আসনে জামায়াত নেতা দ্বীন মোহাম্মদ শোভাযাত্রা

আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে এ দেশের ছাত্র জনতা -মিয়া গোলাম পরওয়ার

সন্দ্বীপে ৫ শতাধিক পরিবারের চলাচলে স্বস্তি