সিলেটের সাদা পাথরে ৫ কোটি ঘনফুট পাথর লুট, ৩৫ হাজার ঘনফুট উদ্ধার

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথরে দীর্ঘ এক বছর ধরে লাগামহীনভাবে পাথর লুটপাট চলছিল। এর ফলে পর্যটন এলাকাটি এখন বালুময় বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় পাঁচ কোটি ঘনফুট পাথর লুট করা হয়েছে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সিলেট জেলা বিএনপি, যুবদল, জামায়াত, বৈষম্যবিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও স্থানীয় প্রশাসন, থানা পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা উদাসীন ছিলেন। শুধু গত দুই মাসেই প্রায় দুইশত কোটি টাকা মূল্যের দেড় কোটি ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে। পাথর লুটের ঘটনায় বিএনপি ইতোমধ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের পদ স্থগিত করেছে এবং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই অভিযোগে ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. দুলাল মিয়া দুলাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, এই লুটপাটের সঙ্গে পশ্চিমপাড়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন এবং পূর্বপাড়ে সিলেট জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক বাহার আহমেদ রুহেল নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসলে গত ১৩ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ৯ সদস্যের একটি দল সাদা পাথর এলাকা পরিদর্শন করে লুটপাটের সত্যতা পায়। দুদকের উপ-পরিচালক রাফী মোহাম্মদ নাজমুস সাদাত জানান, লুটপাটের সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়দের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, লুটপাটে স্থানীয় প্রশাসনের দায় সবচেয়ে বেশি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের মাহমুদ আদনান অবশ্য নিজেদের দায় অস্বীকার করে বলেছেন, ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্কফোর্সের দল সেখানে নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করে।
এদিকে, গত মঙ্গলবার সিলেটের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাদেরকে রবিবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকা থেকে পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে কমিশন ইনফোর্সমেন্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর এ কে এম নূরুন নবী হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেছেন। রিটে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
লুটপাট ঠেকাতে এবং চুরি হওয়া পাথর ফিরিয়ে আনতে গত বুধবার রাতে সিলেট জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো—জাফলং ও সাদাপাথর এলাকায় যৌথবাহিনীর ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্ট স্থাপন, অবৈধ ক্রাশিং মেশিন বন্ধে অভিযান, পাথর চুরির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার এবং চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে পুনরায় আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়া। এরই মধ্যে গত বুধবার রাত থেকে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৩০টি পাথরবোঝাই ট্রাক জব্দ করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অভিযানে প্রায় ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে নদীতে পুনরায় ফেলার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা। একটি সূত্র জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত পাথর ধলাই নদীতে ফেরত দেওয়ার কাজ চলছে, যাতে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ও পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায়।
এমএসএম / এমএসএম

সম্প্রীতির বাঁশখালীতে ভোলানাথ ধামকে ঘিরে ফেইসবুক গুজব, আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক

তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন ঢাকায় গ্রেফতার

পূর্বধলায় বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যােগে সড়ক সংস্কার

মাগুরায় সর্প দংশন প্রতিকার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে কোটালীপাড়ায় পুলিশের মত বিনিময় সভা

অভয়নগরে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

কেশবপুর আওয়ামীলীগ নেতা তুহিন জামায়াতে যোগদান

চাঁদপুরে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লাখো লিফলেট বিতরণ

চা কারখানার পরিচালক পক্ষের দ্বন্দে মামলার শিকার উদ্যোক্তারা, প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

শিবচরে কাঠের ফেস টুন ব্যানার কারখানায় আগুন

জয়পুরহাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের মাঝে বিনামুল্যে ছাগল বিতরণ
