কোনাবাড়ীতে পুলিশের হাতে পুলিশ আটক
গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার কুদ্দুসনগর পেয়ারা বাগান এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই নারী বাদী হয়ে জিএমপির কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত ওই কনস্টেবল সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার বিয়ারা চরপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে মনিরুজ্জামান (২৩)। বর্তমানে তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) উত্তরায় কর্মরত।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছর আগে একই এলাকার লুৎফর রহমানের মেয়ের সাথে মনিরুজ্জামানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সিরাজগঞ্জ থেকে জীবিকার তাগিদে ওই মেয়ে কোনাবাড়ী থানার পেয়ারা বাগান এলাকায় মায়ের সাথে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছেন। এরই মধ্যে ওই লম্পট মনিরুজ্জামান ফোনের মাধ্যমে ওই মেয়ের ঠিকানা সংগ্রহ করে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কোনাবাড়ী এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মনিরুজ্জামানের এক আত্মীয়র বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে ওই মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাসায় এসে ধর্ষণের বিষয়টি ওই মেয়ে মায়ের কাছে খুলে বলে। ওই ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে বাদী হয়ে লম্পট মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গাজীপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি মনিরুজ্জামান জানতে পেরে বিভিন্ন সময় ফোনের মাধ্যমে ওই মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।
গত শনিবার মধ্যরাতে ওই মেয়ের বাসায় এসে ধর্ষণ মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। কিন্তু ওই মেয়ে মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে পেছন থেকে লম্পট পুলিশ কনস্টেবল হাত-মুখ চেপে ধরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবারো ধর্ষণ করে। কোনোমতে ওই মেয়ে মুখ থেকে হাত ছুটিয়ে ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করে। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই মেয়ে বাদী হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামানের নামে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
কোনাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে রোববার দুপুরে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে গাজীপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমএসএম / জামান