ঢাকা বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চাঁদাবাজির ঘটনায় আলোচিত সেই আফ্রিদির বিরুদ্ধে মানহানীর অভিযোগ


চবি প্রতিনিধি photo চবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২-৮-২০২৫ দুপুর ১:২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের
২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী চাঁদাবাজির ঘটনায় আলোচিত সেই আল ইয়ামিম আফ্রিদির বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ দিয়েছেন চবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ খান শুভ্র। 

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চান সাংবাদিক এই নেতা। 

অভিযোগ পত্রে বলা হয়,  আমি মো: মাহফুজ খান,  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একজন ছাত্র। গত ১৪-০৮-২০২৫ ইং ২০১৯-২০২০ বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আল ইয়ামিম আফ্রিদি আমার নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ করে। সেখানে আফ্রিদি কয়েকটি অভিযোগ উল্লেখ করে। মোটাদাগে অভিযোগ গুলো হলো একটি কল রেকর্ড দিয়ে আমাকে (আফ্রিদি) অর্থের বিনিময়ে মধ্যস্ততা করার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছে। কল রেকর্ডটি বানোয়াট স্বীকারোক্তি দেওয়া স্বাক্ষীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বয়ান পরিবর্তন করার চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী এবং চবিসাস সাধারণ সম্পাদক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করেছে এবং  রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী থেকে বড় অঙ্কের উৎকোচ গ্রহন করে মাহফজ শুভ্র আমার (আফ্রিদির) সম্মান হানীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, মোটাদাগে আফ্রিদির আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯ আগস্ট আফ্রিদির আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রক্টর কার্যালয়ে অভিযোগকারী (আফ্রিদি) ও অভিযুক্তকে ডাকা হলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক ও আফ্রিদির পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আফ্রিদি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পেরে দলবল নিয়ে প্রক্টর কার্যালয় থেকে পালিয়ে যায়। তার আনিত অভিযোগের কোনো প্রমাণ দিতে না পারা আমার সম্মানহানির চেষ্টার উদাহরণ। আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, তার আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সে আমার সামাজিক মর্যাদায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এ ধরনের বানোয়াট অভিযোগ এনেছে। আমি আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রমাণ চাই। সে যদি প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় তবে আমার বিরুদ্ধে মানহানির চেষ্টার দায়ে তদন্তপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনানুসারে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাই।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহফুজ খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আল ইয়ামিম আফ্রিদি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রক্টর কার্যালয়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর কার্যালয়ে আমাদের দুই পক্ষকেই (অভিযোগকারী ও অভিযুক্তকে) ডাকা হয়। সেখানে আমি উপস্থিত হয়ে তার অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ চাইলে, সে একটি পূর্ণ রেকর্ড বিকৃত করে উপস্থাপন করে। কিন্তু আমি যখন অরিজিনাল রেকর্ডটি প্রদর্শন করি, তখন সে নানা অজুহাতে সেটি বুঝতে না পারার কথা জানায়। এরপর বাকি প্রমাণাদি প্রদর্শন করতে না পেরে প্রক্টর কার্যালয়েই সবার সামনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ শুরু করে। 

তিনি আরোও বলেন, একপর্যায়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়ে দলবল নিয়ে প্রক্টর কার্যালয় থেকে পালিয়ে যায়। এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, আমার বিরুদ্ধে তার দেওয়া অভিযোগগুলো মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ অবস্থায় আমি তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছি। কারণ, সে আমার মানহানির চেষ্টা করেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমি প্রক্টর কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি যেন, আমার মানহানি এবং এর মাধ্যমে সামাজিক, মানসিক ও একাডেমিক ক্ষতির যে চেষ্টা করা হয়েছে তার যথাযথ বিচার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে করা হয়।

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইয়ামিম আল আফ্রিদি বলেন, প্রক্টর অফিসে আমার বিরুদ্ধে মব সৃষ্টি করা হয়েছিল।  প্রশাসন আমার নিরাপত্তা দিতে না পারায় আমি মিটিং থেকে চলে এসেছি। তবে মাহফুজ শুভ্র আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ দিয়েছে তা জানিনা। অভিযোগ পত্র দেখে বলতে পারবো।

উপস্থিত থাকা চবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, গত ১৯ তারিখ আমি একটি প্রয়োজনে প্রক্টর অফিসে যাই।সেখানে থাকা অবস্থায় দেখি আফ্রিদির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই পক্ষকে প্রক্টর অফিসে ডাকা হয়। সেখানে পুরো সময় আমি ছিলাম৷ প্রথমে আফ্রিদি একটা অডিও শোনায় যাহা অনেকটা অস্পষ্ট ছিল ৷ পরবর্তীতে অভিযুক্ত মাহফুজ শুভ্র তার উপরে আনা অভিযোগের প্রমাণ চাইলে প্রক্টর স্যারের কথোপকথনের এক পর্যায়ে আফ্রিদি তার সাথে আসা লেকজন নিয়ে বের হয়ে চলে যায়। সেখানে কোনো ধরনের মব তৈরি হয়নি৷

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, আফ্রিদি যে কথাগুলো বলছে সম্পূর্ণ অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন। কোনোপ্রকার মব সৃষ্টি তো দূরে থাক সেদিন সেখানে তাকে যথেষ্ট সময় ও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল অভিযোগ ব্যাখ্যা করার। কিন্তু সে তা না করে প্রক্টরিয়াল বডির সামনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে। সে এরকম ঘটনা প্রশাসনের সাথে আগেও ঘটিয়েছে।

এমএসএম / এমএসএম

পিছানো হল চাকসু নির্বাচন

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় বাকৃবির ১২ গবেষক

বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ গবেষকদের তালিকায় ইবির দুই অধ্যাপক

আমরা ক্রমশ সাম্য থেকে বৈষম্যের দিকে আগুয়ান হচ্ছি: ড. সলিমুল্লাহ খান

চবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী

পবিপ্রবিতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর হল ও সুলতানা রাজিয়া হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

পবিপ্রবিতে আলোচনা সভা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন

পোষ্য কোটার দাবিতে এবার কর্মবিরতিতে রাবির শিক্ষক-কর্মকর্তারা

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা বিশ্বকে বিস্মিত করেছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান

ইবিতে বৈদ্যুতিক শাটল কার উদ্বোধন 

গোবিপ্রবিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান বায়োকেমিস্টি এন্ড মলিকুলার বিভাগ