রাজশাহী-১ আসনে শরিফ উদ্দিনের বিরোধিতা না বিএনপির বিরোধিতা

রাজশাহী-১ আসনে প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক পরিবারের সদস্যদের বিরোধিতা করা মানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তথা বিএনপির বিরোধিতা করা বলে মনে করছেন তৃণমূল। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ মহলের ভাষ্য,বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবর্তমানে দলের প্রতিনিধি তথা চেয়ারপার্সন হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তারই ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার পরবর্তী প্রতিনিধি তথা নেতা হিসেবে আসছেন তারেক জিয়া। তাই বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া বা জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিপক্ষে বিএনপির কারো প্রকাশ্যে অবস্থান নেয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত ও সরাসরি বিএনপির বিরোধিতা করার সামিল।
একইভাবে রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির
অপ্রতিদন্দী নেতা বা প্রতিনিধি ছিলেন প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক। তার অবর্তমানে এখানে বিএনপির প্রতিনিধি বা নেতা তার ভাই মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন। তিনি ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (গার্ড অব রেজিমেন্ট) নিরাপত্তা প্রধান ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সামরিক সচিব, হয়েছেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান ,দেশের সাবেক রাস্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা যার ওপর এমন আস্থা-বিশ্বাস ও ভরসা রেখেছেন সেই নেতা শরিফ উদ্দিন।
রাজশাহী-১ আসনে ব্যারিস্টার পরিবারের সদস্য হিসেবে শরিফ উদ্দিন বিএনপির প্রতিনিধি বা নেতা।এখানে শরিফ উদ্দিনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া মানে ব্যারিস্টার আমিনুলের অবদান অস্বীকার করা এবং প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে বিএনপির বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার সামিল। স্থানীয়রা বলছে, একটি মহল নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে এখানে শরিফ উদ্দিনের বিপক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান ব্যারিস্টার আমিনুল ও বিএনপির বিরোধিতা করছে। আবার মাঠে গিয়ে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের কাছে ব্যারিস্টার আমিনুলের পরিচয় দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছে।এতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে ব্যারিস্টার আমিনুলের পরিচয় ছাড়া যারা এখানো পরিচিত হতে পারে না,তারা কি বিবেচনায় ব্যারিস্টার পরিবারের বিপক্ষে অবস্থান নেয় ও মনোনয়ন প্রত্যাশা করে এটা তো চরম হাস্যকর বলে মনে করছে তৃণমুলের নেতাকর্মীগণ।
এদিকে সাধারণ ভোটারগণ বলছে,তাদের
কাছে সৌভাগ্য দূত হয়ে এসেছেন মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন।এই জনপদের মানুষের ভাগ্যে উন্নয়নে তার কোনো বিকল্প নাই। অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো সমাপ্ত করতেই শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসনে ২টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদে মোট ভোটার ৪ লাখ ৬২ হাজার ২৪২। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩০ হাজার ৫১০ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে তিনজন। এই আসনের নতুন ভোটারের সংখ্যা ৭ হাজার ৫৪২। এ আসনে সবচেয়ে বেশি ভোটার চরের বাসিন্দা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর। মূলত তাদের ভোটেই জয়-পরাজয় নিশ্চিত হয় বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে তানোরের ২টি পৌরসভা ৭টি ইউনিয়ন (ইউপি) এবং গোদাগাড়ীর ২টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের (ইউপি) বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ নেতাকর্মী প্রকাশ্যে শরিফ উদ্দিনকে সমর্থন দিয়ে তার বিজয় নিশ্চিত করতে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এবিষয়ে মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন জানান, দলের কিছু নেতা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। কেন্দ্র বিষয়টি জানে। তিনি বলেন, দলের আদর্শিক ও মুলধারার নেতা এবং কর্মী-সমর্থকগণ তাকেই প্রার্থী হিসেবে চায়।
এমএসএম / এমএসএম

পাঁচবিবিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী

রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে ৩ দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

মির্জাগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক

বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা মুন্সি আকতার হোসেনের সংবাদ সম্মেলন

পাকশীতে রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের বারো দফা দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা

অনির্বাণের আয়োজনে লেখক ও কবিদের চলনবিল ভ্রমণ ও সাহিত্য আড্ডা

জয়পুরহাটে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী

ভূঞাপুরে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ৪ সদস্য আহত

পাঁচবিবিতে উপজেলা স্কাউটের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন

তাড়াশের ২ জন পাচারকারী র্যাব-১২’র অভিযানে মূল্যবান কষ্টি পাথরের তৈরি মূতিসহ গ্রেফতার

বাউফলে দুই বাড়িতে ডাকাতি; গণপিটুনিতে নিহত ১

কুড়িগ্রাম -১আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা:মো: ইউনুস আলী
