মোহনগঞ্জে নির্বিচারে শামুক নিধন, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে ডিঙ্গোপুতা হাওরে অবাধে শামুক ধরা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। এদিকে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে শামুক নিধন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু উল্লেখ না থাকায় মৎস্য অধিদপ্তরও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
মোহনগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন হাওরে শামুক নিধন ও বিক্রি চলছে। হাঁস ও মৎস্য খামারের জন্য হাওরের শামুকের কদর থাকায় সেভাবে বিক্রিও হচ্ছে।
বর্ষার শুরু থেকে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডিঙ্গোপুতা হাওর ঘুরে দেখা গেছে, ‘ভাসান পানির’ মৌসুম থাকায় হাওর এলাকা অনেকটা সুনসান। মাছ ধরার জন্য নির্ধারিত জলমহালগুলোতে মৎস্যজীবীদের একটি অংশ শামুক ধরছে।
তবে শামুক ধরা বন্ধ আইন থাকলেও তা প্রয়োগ হচ্ছে না। বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর ধারা ৬ ও ৩৪-এ বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া বন্য প্রাণী শিকার, ওঠানো, উপড়ানো ও ধ্বংস বা সংগ্রহ করা যাবে না। এ ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় বা আমদানি-রপ্তানি করা যাবে না। এ নিয়ম না মানলে এ অপরাধের জন্য এক বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
উপজেলার হাওরগুলো থেকে শামুক ধরে সেগুলো বস্তাবন্দি অবস্থায় নৌকায় করে সড়কসহ নৌকাঘাটে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে অটোরিকশা যানবাহন দিয়ে শামুক গন্তব্যে নেওয়া হয়। এ সময় তেঁতুলিয়া নৌকা ঘাটে ২০ থেকে ৩০ টি বস্তা দেখা যায়। প্রতিটি বস্তায় ২০০ থেকে ২৫০ কেজির মতো শামুক রয়েছে বলে জানা যায়।
উপজেলার ৩নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে যাওয়া আসার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে, সেখান থেকে এভাবে শামুক নেওয়া হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন কারবারি বলেন, হাঁস এবং পাংগাস ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁরা বস্তা দরে হাওরের শামুক বিক্রি করেন।
কবি মনিরুজ্জামান তালুকদার দিলু ও স্থানীয় মো. জনাব আলী এই দুইজন বলেন, স্থানীয় হাঁস কামারি ও মৎস্যজীবীদের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করে শামুক কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করা থাকে। এরপর নৌকা বোঝাই করে শামুক নৌকা ঘাটে এনে সেগুলো বস্তায় ভরা হয়। প্রতি বস্তা শামুক ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়। শামুক ধরায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের মজুরিও দেওয়া হয়।
মোহনগঞ্জ উপজেলার একাংশ জুড়ে বিস্তৃত ডিঙ্গোপুতা হাওর। সেখান থেকে রাতে ও ভোরে শামুক ধরা হচ্ছে। ৩নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন এলাকায় রাস্তার মুখে বর্ষার শুরু থেকেই ধরেনৌকা দিয়ে শামুক আহরণ করে নৌকায় স্তূপাকারে রাখা হয়। সম্প্রতি তেঁতুলিয়া গ্রামে গিয়ে শামুক বস্তাবন্দি করার কাজে নিয়োজিত কয়েকজনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। তাঁরা বিষয়টি এড়িয়ে যান।
নির্বিচারে শামুক ধরার বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, শামুক হাওরাঞ্চলের জলজ প্রাণীর জীবনচক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। শামুক এভাবে আহরণ করা হলে হাওরের জীববৈচিত্র্য পুরোপুরি নষ্ট হবে। শামুকের প্রজননক্ষমতাও নষ্ট হবে। অনেক শামুক আছে, যেগুলো মাছের জন্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খায়। আবার মাছও শামুক খায়। শামুকের সংকট দেখা দিলে মাছেরও আকাল তীব্র হবে।
তিনি আরও বলেন, শামুক নিধন হলে সরাসরি মাছের ক্ষতি হয়-এ বিষয়টি মৎস্য সংরক্ষণ আইনে স্পষ্ট নয়।
নেত্রকোণা বন বিভাগ কার্যালয়ের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসএফএনটিসি) আব্দুর রফিক বলেন, এটি আমাদের অধিদপ্তরের না। শামুকের বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না। এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারবে পরিবেশ অধিদপ্তরে যারা আছে তারা।
মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমেনা খাতুন বলেন, আগে আমি বিষয়টা জানি। তার পরে জানাবো।
এমএসএম / এমএসএম

টাঙ্গাইলে নদী খাল বিল ও ব্রাহ্ম সমাজের মন্দির রক্ষায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুরের মধুখালীতে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

রাণীনগরে বিএনপির আলোচনা সভা ও কারাবরণকারীদের সংবর্ধনা

সন্দ্বীপে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

নেছারাবাদে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

ফুলবাড়ীতে সাড়ে ১৭ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

রূপগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে অপহরণ

উত্তরা ইপিজেডে সংঘর্ষ ও শ্রমিক নিহতের ঘটনায় সব কারখানা বন্ধ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিশেষ সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার স্ক্যাপ চুরি হচ্ছে

রাজশাহীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

রৌমারীতে বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী পালিত

চৌগাছা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সভা
