ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সড়ক
তিন দফায় মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি সড়কের সংস্কারকাজ

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সংযোগ সড়কের ৬ কিলোমিটারজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ। সড়কটি দেখে মনে হয় এটি সড়ক নয়, যেন গর্তের ভাগাড়। ফলে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি। ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন দফা সময় বাড়িয়ে গত তিন বছরেও শেষ হয়নি ওই সড়কের সংস্কারকাজ।
ত্রিশাল উপজেলার বৈলর মোড় থেকে ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। ওই ২০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। ত্রিশালের বৈলর মোড় থেকে ফুলবাড়িয়া উপজেলার সীমানা পর্যন্ত সড়কটির সাড়ে ৫ কিলোমিটার পড়েছে ত্রিশাল উপজেলার অংশে। ওই সড়কে ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া দুই উপজেলাবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও শত শত যানবাহন চলাচল করে ওই সড়ক দিয়ে। তবে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হলে ২০১৮ সালে সড়কটি পুনঃনির্মাণে টেন্ডার হয়। ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের পুনঃনির্মাণের কাজটি পান মেসার্স ঢালি কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী নাসিমুল গনি। ওই বছরের ২৬ জুন থেকে ২০১৯ সালের ১৩ আগস্টের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও ঠিকাদারের অপারগতায় পরপর তিন দফায় সময় বর্ধিত করা হয়। বর্ধিত সময় শেষ হবে চলতি বছরের আগস্টে। গত তিন বছরেও চলাচলের অনুপযোগী ওই সাড়ে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ কিলোমিটার পরিমাণ সড়কের সুড়কি ফেলে শুধুমাত্র রোলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ওই দীর্ঘ সময়েও সংস্কারকাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের ওপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
সরেজমিন ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সড়কে দেখা যায়, সাড়ে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ কিলোমিটার সড়কে সুরকি ফেলে শুধুমাত্র রোলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখনো অনেক স্থানে গাইড ওয়াল নির্মাণের কাজ বাকি। সুরকি ফেলা হয়নি এমন আড়াই কিলোমিটার সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ। হাঁটুসম পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ওই সড়কে চলাচলকারী দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বিদ্যমান অবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেন স্থানীয়রা।
সজিব সরকার, ইদ্রিস আলী, হাফিজুল ইসলামসহ স্থানীয়রা বলেন, কাদাপানি মেখে চলাচল করছি বছরের পর বছর ধরে। দেখার যেন কেউ নেই। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তৎপর না থাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চরম গাফিলতির কারণেই গত তিন বছরেও শেষ হয়নি ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সড়কের নির্মাণকাজ। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন- কবে শেষ হবে সড়কের সংস্কার কাজ?
উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, কাজের অগ্রগতির প্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে বর্ধিত সময়ের মধ্যে ওই সড়কের সংস্কারকাজ শেষ হবে না। তবে অতিরিক্ত অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হবে কাজ।
এমএসএম / জামান

টেকনাফে মহাসড়ক দখল করে রমরমা মাছের ব্যবসা

হরিপুরে ইয়াবা নিয়ে খাদ্য বান্ধব ডিলার সহ আটক দুই

কালীগঞ্জে ১শ ৩০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান

ধামইরহাটে মহিলা ডিগ্রি কলেজের পূর্নাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা

চিতলমারী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে অসহায়দের মাঝে বস্ত্র বিতরণ

আখতার হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে আনোয়ারায় এনসিপির বিক্ষোভ

জুলাই'য়ে আহত অপূর্ব'র করা ১৩৫ আসামির বিরুদ্ধে মামলা এনসিপি'র নয়

শালিখায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

ডামুড্যা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

ভেড়ামারার মূলধারার সাংবাদিক ছাড়াই ডিসি'র মতবিনিময়

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি, জনমনে স্বস্তি

কোনাবাড়িতে মুহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস উচ্চ বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
