আগুনের প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করার অভিযোগ
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আগুন দিয়ে দোকানের ফার্নিচার পুড়িয়ে ফেলার প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করার অভিযোগ উঠেছে। মার্কেটের মালিক কর্তৃক ভাড়াটিয়া ফার্নিচার ব্যবসায়ীর দোকান পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে আগুনের প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে জুড়ী প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
অভিযোগকারী ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হলেন উপজেলা সদরের জাঙ্গিরাই গ্রামের মৃত জুলফু মিয়ার ছেলে জাঙ্গিরাই দাখিল মাদ্রাসার সামনে অবস্থিত মজিদ মার্কেটের মোহাম্মদীয়া ফার্নিচারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল জব্বার। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় উপজেলা সদরের চৌমুহনীর মিনি স্টার রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারে জুড়ী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিয়ে আব্দুল জব্বার লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর আগে মার্কেটের মালিক মজিদ মিয়া মার্কেটসহ আশপাশের ৮৬ শতাংশ জায়গা ৩ মেয়েকে বাদ দিয়ে ছেলেদের নামে দিয়ে দেন। এতে বাটোয়ারা নিয়ে ভাই-বোনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই দ্বন্দ্ব মীমাংসার জন্য এলাকার মুরব্বি সুধন হাজী, মোসলেহ উদ্দিন মেম্বার, নজরুল ইসলাম ও আমিসহ বেশ কয়েকজন মুরব্বির সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বেশ কয়েকবার বৈঠক করা হলেও ভাইদের বিরোধের কারণে বিষয়টি মীমাংসা করা যায়নি। ফলে ওই বৈঠকের অন্যতম বিচারক হিসেবে আমার সাথে তিক্ততা শুরু হয় আব্দুল মজিদের তৃতীয় ছেলে পর্তুগাল প্রবাসী মঈন উদ্দিন মঞ্জুর। তাদের ভাড়াটিয়া হিসেবে আমি নিয়মিত ভাড়া দিলেও শুধুমাত্র বিচারক হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় আমাকে দোকান ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। সর্বশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে মার্কেটের মালিকের ছেলে মো. মিজান মিয়া (৩৫) ও মো. রিয়াজ মিয়া (৩০) দোকানে এসে হুমকি দিয়ে বলে দুদিনের ভেতরে দোকান না ছাড়লে আমার বড় ধরনের ক্ষতি হবে। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর রাতে তারা পরিকল্পিতভাব আমার দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে আমার ৯ লোখ ৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোয় ‘জব্বারের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ভেস্তে গেল আগুনে’ শিরোনামে একটি সংবাদও প্রকাশিত হয়।
এ সময় তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোর্ট পিটিশন নং ৭৮/২০২১ইং (জুড়ী) আদালতে মামলা রজু করি। মূলত ওই মামলা ও আগুনের ঘটনাকে আড়াল করতে তারা সংবাদ সম্মেলন করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে। তারা সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছে- আমি নাকি নিয়মিত দোকান ভাড়া পরিশোধ করিনি। অথচ তাদের পিতা মজিদ মিয়ার কাছ থেকে ৩টি কক্ষ ভাড়া নিয়ে আমি প্রতি মাসে নিয়মিত ভাড়া দিয়ে আসছি। বর্তমানে মজিদ মিয়ার ছেলে মজনু মিয়াকে ভাড়া পরিশোধ করছি। মজনু মিয়ার নিযুক্ত লোক রেনু মিয়া প্রতি মাসে আমার কাছ থেকে নিয়মিত ভাড়া নিচ্ছে। আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সংবাদ সম্মেলনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে, যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতির বিবেক। একটি সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা অভিযোগ আনা হলেও কতিপয় সাংবাদিক কোনো যাচাই-বাছাই না করে এবং আমার বক্তব্য না নিয়ে একটি মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেন। আমি এসব মিথ্যা তথ্য প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাঙ্গিরাই দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. মো. হোসেন, উত্তর জাঙ্গিরাই তোফাজ্জল হোসেন মেহেরুন্নেসা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, জাঙ্গিরাই যুব কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, জাঙ্গিরাই গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি মুজিবুর রহমান, আবু সামা, রেনু মিয়া, রিক্সা শ্রমিক কল্যাণ জুড়ী ভ্যালীর সভাপতি খলিলুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুর রশীদ, সদস্য জয়দুল হোসেন, অটোমেইল শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি আবদুস শহীদ, রিক্সা শ্রমিক সভাপতি (বেলাগাও) নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জাঙ্গিরাই দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. মো. হোসেন বলেন, আব্দুল জব্বার সাহেব আমাদের এলাকার একজন সম্মানী ব্যক্তি। সমাজের সকল ভালো কাজ সহ সামাজিক সকল কাজে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকেন। এলাকায় যে কোনো সমস্যা হলে তিনি তাৎক্ষণিক সমাধানে এগিয়ে আসেন। এলাকায় একজন সৎ ও ন্যায়বিচারক হিসেবে তিনি পরিচিত। তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা অভিযোগ করে চরিত্র হননের অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই আমরা ।
উত্তর জাঙ্গিরাই তোফাজ্জল হোসেন মেহেরুন্নেসা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জব্বারের মতো একজন সম্মানীয় মানুষের বিরুদ্ধে যেভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
প্রবীণ মুরব্বি মুজিবুর রহমান বলেন, মার্কেটের মালিক পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে আব্দুল জব্বারের ফার্নিচারের দোকান ভস্মীভূত করে দিয়েছে। আগুন লাগিয়ে দেয়ার প্রত্যক্ষ সাক্ষী থাকার পরও ঘটনাকে আড়াল করতে বর্তমানে আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে, যা খুবই খুবই নিন্দনীয় কাজ।
মার্কেটের মালিক মজনু মিয়া কর্তৃক নিযুক্ত রেনু মিয়া বলেন, প্রতি মাসে আমি মোহাম্মদীয়া ফার্নিচারের মালিক আব্দুল জব্বার সাহেবের কাছ থেকে নিয়মিত ভাড়া নিয়ে মালিকপক্ষকে দিয়ে আসছি। আব্দুল জব্বার সাহেবের বিরুদ্ধে ভাড়া না দেয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এমএসএম / জামান
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম : এ্যাড. আজিজ মোল্লা
ভোলাহাটে বাগান নষ্ট ও হুমকির ঘটনা: প্রশাসন তদন্তে, উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী
জিয়া পরিবারের কষ্টের তুলনায় আমাদের কষ্ট কিছুই না - আবুল কালাম
যমুনা নদীতে চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার ১০
নবীনগরে চার গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিএনপির মতবিনিময় সভা
কবিরহাটে ফখরুল ইসলাম: ধানের শীষে বিজয় হলে বন্ধ হবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি
কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে নাঃ আইজিপি
নাচোলে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন
বাঘা-চারঘাট জামায়াতের এমপি প্রার্থী মোটরসাইকেল রেলি অনুষ্ঠিত
দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন
কাপাসিয়ায় সালাহউদ্দিন আইউবী‘র দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে বিশাল মিছিল
গজারিয়ায় অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ