ঢাকা বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সিলেট-৬ আসনে বিএনপিতে নয়-জামায়াতে এক, প্রচারণায় আছেন অন্য দলের প্রার্থীরা


সিলেট ব্যুরো অফিস photo সিলেট ব্যুরো অফিস
প্রকাশিত: ২৪-৯-২০২৫ দুপুর ২:১৫

প্রবাসী অধ্যুষিত তেল-গ্যাস সম্পদে সমৃদ্ধ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৬ আসন। আসনটি সুরমা-কুশিয়ারা তীরবর্তী এই অঞ্চল থেকে বিজয়ী হয়ে অতীতে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। এবার রাজনীতি ও নির্বাচনী মাঠ থেকে ‘আউট’ আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থাও নড়বড়ে। ফলে আগামী নির্বাচনে বিএনপির মুল প্রতিদ্বন্দ্বি এক সময়ের জোটসঙ্গী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম। ইতিমধ্যে আসনটিতে জামায়াত নতুন মুখ হিসেবে ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জামায়াতের একক প্রার্থীর বিপরীতে মাঠে রয়েছেন বিএনপির ৯ জন প্রার্থী। এছাড়া ইসলামী বিভিন্ন দলও আসনটিতে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। কুশিয়ারা তীরবর্তী আসনটিতে আওয়ামীলীগ ছয় বার, দুইবার বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবার করে বিজয়ী হয়েছেন। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দুইবার বিজয়ী হওয়া ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেছু মিয়া পরবর্তীতে বিএনপিতে যোগ দেন। দলীয় কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত। ফলে যেখানে বিএনপি নির্ভার থাকার কথা সেখানে প্রার্থী আধিক্যতায় বহুধাবিভক্ত নেতাকর্মীরা। সিলেট-৬ আসনে বর্তমানে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন ৯ জন প্রার্থীই নিজ নিজ পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন বিএনপি নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরী। রাতের ভোটখ্যাত ওই নির্বাচনে তিনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে এক লাখের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। নির্বাচনে বিজয়ী হতে না পারলেও তিনি এলাকা ছাড়েননি। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এলাকায় তৎপরতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। জুলাই গণঅভ্যূত্থানে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি প্রশংসা ও কুড়িয়েছেন। এছাড়াও আসনটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী। নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজেদের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক উপদেষ্টা অহিদ আহমদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম কমর উদ্দিনের মেয়ে সাবিনা খান ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেছু মিয়ার মেয়ে সৈয়দা আদিবা হোসেন। এছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন জেলা বিএনপির সহশিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক তামিম ইয়াহইয়া ও জাসাসের আহ্বায়ক চিত্র নায়ক হেলাল খান।
এদিকে,আসনটিতে অতীতে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে জেলা জামায়াতের বর্তমান আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান নির্বাচন করলেও এবার প্রার্থী বদল হয়েছে। নতুন মুখ হিসেবে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে। মাওলানা হাবিবুর রহমানকে প্রার্থী করা হয়েছে সিলেট-১ আসনে। প্রার্থী ঘোষনার পর থেকে সেলিম উদ্দিন এলাকায় যাতায়াত বাড়িয়েছেন। গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় তিনি দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সাথেও মতবিনিময় করছেন। দলীয় কর্মকান্ড ও ব্যক্তি ইমেজে স্বল্প সময়ে তিনি এলাকায় নিজের অবস্থান শক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও আসনটিতে ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা রফিকুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের হাফেজ মাওলানা মো. ফখরুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের মাওলানা সাদিকুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের আজমল হোসেন নিজ-নিজ দলের প্রার্থী হিসেবে কাজ করছেন। তবে এই আসটিতে আওয়ামী লীগের বিশাল একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। যদি তারা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে আর তাদের ভোট প্রয়োগ করে, তাহলে যে প্রার্থী সেই ভোটে ভাগ বসাতে পারবেন তিনিই বিজয়ী হবেন বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
এদিকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এমনটা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে প্রার্থী বাছাইয়ে জনমত জরিপের কাজও শুরু করেছে দলটি। সিলেটের কিছু দলীয় প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এমন সংবাদ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে শুরু হয় তোলপাড়। এ নিয়ে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। বিষয়টি অনুধাবন করে বিএনপির হাইকমান্ড সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি পরিস্কার করে। দলের পক্ষ থেকে কেউকে কোন রকম সবুজ-লাল-হলুদ সংবাদ দেওয়া হয়নি।
সেই কাল্পনিক সবুজ সংকেতের তালিকায় ছিলেন, সিলেট-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট-২ আসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, সিলেট-৩ আসনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও তারেক রহমানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এমএ সালাম, সিলেট-৪ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট-৫ আসনে ফাহিম আল চৌধুরী ট্রাস্ট্রের চেয়ারম্যান ফাহিম আল চৌধুরী, সিলেট-৬ আসনে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী। কেন্দ্র থেকে বিষয়টি পরিস্কার হওয়ায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এমএসএম / এমএসএম

তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন ঢাকায় গ্রেফতার

পূর্বধলায় বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যােগে সড়ক সংস্কার

মাগুরায় সর্প দংশন প্রতিকার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে কোটালীপাড়ায় পুলিশের মত বিনিময় সভা

অভয়নগরে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

কেশবপুর আওয়ামীলীগ নেতা তুহিন জামায়াতে যোগদান

চাঁদপুরে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লাখো লিফলেট বিতরণ

চা কারখানার পরিচালক পক্ষের দ্বন্দে মামলার শিকার উদ্যোক্তারা, প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

শিবচরে কাঠের ফেস টুন ব্যানার কারখানায় আগুন

জয়পুরহাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের মাঝে বিনামুল্যে ছাগল বিতরণ

শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ক্ষোভের আগুণ রাজপথে

নড়াইলে সাপের কামড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু