ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শাহজাদপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ছিনিয়ে নিয়ে গেলো খামারীর হাঁস


মাহফুজুর রহমান সরকার, ঘোড়াঘাট photo মাহফুজুর রহমান সরকার, ঘোড়াঘাট
প্রকাশিত: ২৫-৯-২০২৫ দুপুর ৪:১৯

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে চাঁদা না দেওয়ায় এক খামারীর প্রায় ২০০ পিচ হাঁস নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতি মাসের গত ৪ তারিখে এমনই ঘটনা ঘটেছে উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নাবাবিল গ্রামের খামারী আঃ আলিম (হাঁস আলিমের) সাথে। হাঁস ফেরৎ আনতে বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে হাঁস ফেরৎ না পাওয়ায় অবশেষে শাহজাদপুর চৌকি আদালতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে আলিম তার বাওরে ৫০০ থেকে ৭০০টি হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু হঠাৎ মাস দুয়েক আগে এলাকার প্রভাবশালী করিম শেখ, আঃ হামিদ, আব্দুস সামাদসহ তাদের লোকজন হাঁস আলিমের কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এরমধ্যে ৬ হাজার টাকা তাদের দেয় ভুক্তভোগী হাঁস আলিম এতে তারা সন্তুষ্ট না হয়ে তাকে আরও টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে কিন্তু আলিম আর টাকা না দেওয়ায় চরায় হাঁস খাওয়ানার সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোর পূর্বক প্রায় ২০০ টি হাঁস তারিয়ে নিয়ে যায়। এখন শূন্য হয়ে পরে রয়েছে হাঁসের খামার।

এব্যপারে প্রতিবেশী আঞ্জুয়ারা পারভীন, রওশন আলী, জাফর প্রামানিকসহ একালাবাসী জানান- হঠাৎ করে গত ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে চরার মধ্যে চিৎকার চেচামেচি হচ্ছে। আমরা এগিয়ে গিয়ে দেখি করিমের ছেলেরা আলিমের বৌ কে ধরে রেখেছে আর অন্যরা হাঁস তারিয়ে অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এসময় আলিমের বৌয়ের জামা কাপর ছেঁড়া দেখতে পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে আসি।

এবিষয়ে খামারী আঃ আলিম (হাঁস আলিম) জানান- আমি এবার আমার বাওরে প্রায় ৫০০ টি হাঁস পালন করছিলাম। এই হাঁসের ডিম বিক্রির আয় থেকেই জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা আমার কাছে চাঁদা দাবী করে কিন্তু তা দিতে আমি অস্বীকৃতি জানালে বেশ কিছুদিন যাবৎ ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। ঘটনার দিন আমি বাড়ী না থাকায় আমার স্ত্রী বাড়ীর পাশের চরায় হাঁস খাওনার সময় জোরপূর্বক হাঁসগুলো তারিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দিলে আমার স্ত্রী কে করিমের দুই ছেলে শ্লালীনতা হানীসহ তাকে ধরে রেখে হাঁস তারিয়ে নিয়ে যেতে লাগলে এলাকাবাসী এগিয়ে এল দেশী অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ৫০০ টি হাঁসের মধ্যে প্রায় ২০০ টির মত হাঁস তারিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি বাদ-বাকি হাঁস রাতের আধারে বিক্রি করে দেই। তারপর থেকে মানুষের দ্বারে দ্বারে বিচারের আশায় ঘুরেও বিচার না পেয়ে আদালতে একটি মামলা করি। বর্তমানে আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে আতংকে দিনজাপন করছি।

এদিকে অভিযুক্ত করিম শেখ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা তার কোন হাঁস নেইনি। সে তার হাঁস কি করেছে সেই জানে। এব্যপারে আরেক অভিযুক্ত আঃ হামিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি এব্যপারে কোন কথা বলবেন না বলে জানান।

এব্যাপরে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এস.এম. মাহবুব আলী জানান, খামারীর হাঁস ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

অপরদিকে সচেতন মহলের দাবী এভাবে চাঁদা মুখে পরে যদি খামারীরা হাঁস বা যেকোন গবাদী পশু পালন বন্ধ করে তাহলে দেশে সুষম খাদ্যের ঘাটতি পরবে। তাই সুষ্ঠ তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তারা।

এমএসএম / এমএসএম

টেকনাফে মহাসড়ক দখল করে রমরমা মাছের ব্যবসা

হরিপুরে ইয়াবা নিয়ে খাদ্য বান্ধব ডিলার সহ আটক দুই

কালীগঞ্জে ১শ ৩০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান

ধামইরহাটে মহিলা ডিগ্রি কলেজের পূর্নাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা

‎চিতলমারী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে অসহায়দের মাঝে বস্ত্র বিতরণ

আখতার হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে আনোয়ারায় এনসিপির বিক্ষোভ

জুলাই'য়ে আহত অপূর্ব'র করা ১৩৫ আসামির বিরুদ্ধে মামলা এনসিপি'র নয়

শালিখায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

ডামুড্যা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

ভেড়ামারার মূলধারার সাংবাদিক ছাড়াই ডিসি'র মতবিনিময়

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি, জনমনে স্বস্তি

কোনাবাড়িতে মুহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস উচ্চ বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

সলঙ্গায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষন"থানায় মামলা দায়ের