সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও আগ্রহ লক্ষ্য করা গেলেও নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণের চিত্র হতাশাজনকভাবে কম। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচন আয়োজন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনেক আশা রেখেছিল নতুন নেতৃত্ব তৈরির । কিন্তু, সেই আশার প্রতিফলন নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়নি ।
চাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ৪২৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও নারী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪৮ জন। যা মোট প্রার্থীর মাত্র ১১.২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি প্রার্থী সহ শীর্ষ ছয়টি পদে নেই কোন নারী প্রার্থী। জিএস, দপ্তর সম্পাদক,সহ- দপ্তর সম্পাদক, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক, সহ-খেলাধুলা সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে মাত্র একজন করে নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। হল সংসদে নবাব ফয়জুন্নেসা হলে ১৪ টি পদের মধ্যে ভিপি সহ ১১ টি পদে নারী প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এভাবে সংখ্যা বিচারে নারী প্রার্থীরা প্রতিনিধিত্ব প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী শ্রুতিরাজ চৌধুরী বলেন, "নারী প্রার্থী কম হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সাইবার বুলিং। আমরা কোন কিছু শেয়ার করলেই অথবা ছাড়লেই আমাদের বাজে কমেন্ট করা হয়। ফলে, মানসিকভাবে আমরা ভেঙে পড়ি। নিরাপত্তাহীন, নারীবান্ধব হীন আমাদের এ ক্যাম্পাস।"
নবাব ফয়জুন্নেসা হলের এজিএস পদপ্রার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, "নির্বাচনকে অনেকেই ভালো চোখে দেখেনা, যখনই কোন নারী নির্বাচনে বা রাজনীতি যুক্ত হয় তখন নিরাপত্তার ঘাটতি দেখা যায়, সাইবার বুলিং পড়তে হয় তাকে। ক্যাম্পাসে লাইটের অভাব এবং সিসি ক্যামেরা ঘাটতেই তো আছেই।এসব কারণে নারী প্রার্থী কম।"
ছাত্রদল মনোনীত সহ-ছাত্রীকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শাফকাত শফিক বলেন,"নারী প্রার্থীর অনলাইন প্রচারের ক্ষেত্রে বুলিং,শেমিং শিকার হতে হয়।প্রার্থী হিসেবে আমার অনলাইন প্রচারণার কাজে ফেক আইডি থেকে বাঁজে মন্তব্য করা হয়। এছাড়াও প্রশাসন নারী শিক্ষার্থীদের যথাযথ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার কারণে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কম।"
এ বিষয়ে চাকসুর নির্বাচন কমিশনার এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন," অর্ধেক ছাত্র আর অর্ধেক ছাত্রী হলে নির্বাচন টা প্রতিনিধিত্বমূলক হত। তারপরও,নির্বাচন কে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
এমএসএম / এমএসএম
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন
শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ
উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ
দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল
জকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
জকসু নির্বাচন: ছাত্রদল সমর্থিত "ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান" প্যানেল ঘোষণা,
এইচএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ
বাকৃবিতে প্রিসিশন ব্রিডিং-ভিত্তিক দুগ্ধ উৎপাদন উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা
স্কুলে ভর্তিতে ৬৩ শতাংশই কোটা, অভিভাবকদের আপত্তি