হাসিনাকে 'মা' ডাকা আশুলিয়ার আঃলীগ নেত্রী গাজী নাছরিন আক্তার নাজ এখনো মামলাহীন ধরাছোঁয়ার বাইরে

ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচার পতিত আওয়ামী সরকার দলীয় পদ পরিচয় ব্যবহার করে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব ও প্রতারণার জাল বিস্তার করে আসছিলেন বিগত সরকার প্রধান ফ্যাসিষ্ট হাসিনাকে "মা" বলে সম্বোধন করা, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য গাজী নাছরিন আক্তার নাজ নামীয় এক টিকটকার নারী আইনজীবী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বড় নেত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করে প্রতারণা এবং নানা অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন।
২০২৪ এর রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লবে স্বৈরশাসক হাসিনার সরকার পতনের আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ার পলাশবাড়ী-বাইপাইলে ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ ও অনলাইনে উসকানির মাধ্যমে ছাত্র জনতার ন্যায্য দাবীর আন্দোলন দমন ও নস্যাতের নীলনকশা বাস্তবায়ন এবং নানানভাবে পতিত সরকারের পক্ষে সাফাই গাওয়া গাজী নাছরিন আক্তার নাজ যেন এক অলৌকিক শক্তিবলে এখনো মামলাহীন ও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এলাকাবাসীর দাবি, তিনি বিভিন্ন সময় দলীয় শীর্ষ নেতা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তোলা সেলফি ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজের অবস্থানকে প্রভাবশালী হিসেবে উপস্থাপন করতেন। এসব ছবি দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেন এবং নিজের প্রভাব বজায় রাখতেন।
শুধু তাই নয়, তাঁর আচরণ ও ভাষাগত নিপীড়নের শিকার হয়েছেন আশুলিয়াবাসীর অনেকে। বহু মানুষ অভিযোগ করেছেন, তিনি অশিক্ষিতদের মতো অশালীন ভাষা ব্যবহার করতেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করতেন, এমনকি সামান্য বিষয়েও হুমকির সুরে কথা বলতেন। নিজের মতের সাথে না মিললেই দিতেন থানা পুলিশ মামলার ভয়। দীর্ঘ আওয়ামী শাসনামলে তাঁর ব্যবহার এলাকাবাসীর মন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। নিজে আইনজীবী ও দলীয় ক্ষমতার প্রভাব থাকায় থানা পুলিশ মামলার ভয়ে তখন কেউ তাঁর সাথে প্রতিবাদের পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী দেখায়নি।
কিন্তু, ২৪'র জুলাই বিপ্লবের গণঅভ্যুত্থানে হঠাৎ তাঁর কথিত মা'র দলীয় সরকারের পতন ঘটলে তিনি চতুরতার সহিত খুব দ্রুত গা ঢাকা দিয়ে ফেলেন। নিজের পুরনো পরিচয় আড়াল করতে তিনি বিগত স্বৈরশাসকের পক্ষে দেওয়া ছাত্র জনতার বৈধ আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া উসকানিমূলক সকল কর্মকাণ্ডের আলামত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে হাইড বা ডিলিট করে সরিয়ে ফেলেন। এখন টিকটক ভিডিও বানিয়ে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন।
এলাকার তরুণ সমাজের অনেকে জানান, "তাঁর সকল কর্মকাণ্ড ছিলো বিতর্কিত। ২৪'র রক্তাক্ত মহান জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের পক্ষে থেকে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান আরও অধিক রক্তারক্তির দিকে ধাবিত করেছে। এই নাছরিন আক্তার নাজদের মতো উসকানিদাতার কারণেই আশুলিয়ার বাইপাইলে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আন্দোলনকারীকে জীবন দিতে হয়েছিল। এখন পর্যন্ত তাঁকে কোনো আইনী কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে না দেখে আমরা হতাশ হয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে এত এত প্রমাণ থাকার পরও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও"। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, "পেশায় আইনজীবী হলে কি সে আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যায়?”
স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু

শিবচরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন

শান্তিগঞ্জে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন এর শুভ উদ্বোধন
