শেরপুরে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত: কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ
দুইদিন ধরে চলমান অব্যাহত বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে শেরপুরে উঠতি আমন
ধানের ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ধানগাছগুলো হেলে পড়েছে। সেইসঙ্গে
বৃষ্টির আগে কেটে খেতে বিছিয়ে রাখা ধানগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে
কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শেরপুর কার্যালয় ও কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে,
চলতি মৌসুমে শেরপুর জেলায় ৯৩ হাজার ৬৯৩ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে।
এবার বর্ষা মৌসুমে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আমন ধানের ভালো
ফলনের আশা করেছিলেন কৃষকেরা। কিন্তু গত দুইদিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও বৈরী
আবহাওয়ার কারণে অনেক ধান খেতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এবং
ধানগাছগুলো মাটিতে হেলে পড়েছে। নিচু এলাকার অনেক খেতের ধানগাছ পানিতে
তলিয়ে গেছে। ফলে ঘরে ফসল তোলার আগ মুহূর্তে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় অনেক
কৃষক দুশ্চিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন।
শ্রীবরদী উপজেলার হালুয়াহাটি মালাকোচা গ্রামের কৃষক সোহেল রানা বলেন,
কিছুদিনের মধ্যেই আমন ধানের কাটা-মাড়াই শুরু হবে। তার আগে খারাপ আবহাওয়া
শুরু হয়েছে। বাতাসে পাকা ধানগাছগুলো হেলে পড়েছে, নষ্ট হচ্ছে বিছিয়ে রাখা
ধানগুলো। জমিতে পানি জমে গেছে। ধান ঝরে যাচ্ছে। এখন ফসল কেটে ঘরে তোলা
দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এই আবহাওয়ার কারণে শ্রমিক খরচও বেড়ে গেছে। অতিবৃষ্টির
ফলে এখন ধান কেটে নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার বালিজুরী গ্রামের কৃষক কবির জানান, এই অবস্থায় ধান কেটে নিলেও
শুকানো যাবে না। ফলে ভেজা ধান ঘরে তোলা মুশকিল হবে। রোদ না ওঠলে কিছুদিন
এভাবে থাকলে আমন ধান আবাদ করতে যে টাকা খরচ করেছেন তা ওঠাতে পারবেন না।
আবাদের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হবে না বলে আশঙ্কা রয়েছে।
শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার কয়েকজন কৃষক জানান, গত বছর ভয়াবহ বন্যা ও
পাহাড়ি ঢলের কারণে তাঁদের আমন আবাদ সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছিল এবং
আর্থিকভাবে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন
ধানের ফলন ভালো হয়েছিল। কিন্তু অসময়ে বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে ধান নষ্ট হয়ে
যাচ্ছে। বিশেষ করে নিচু জমির ফসল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ধান
সঠিকভাবে ঘরে তুলতে না পারলে সামনের দিনগুলোয় সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে
পড়বে বলে তাঁরা জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শেরপুরে শনি ও রোববার যথাক্রমে
১৩৫ মিলিমিটার ও ১০ দশমিক ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে সিলেট ও ময়মনসিংহ
বিভাগে এবং সংলগ্ন উজানে ভারতের প্রদেশসমূহে মাঝারি-ভারি থেকে ভারি
বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শেরপুরের উপপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন রোববার
দুপুরে বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকার আমন আবাদ
পরিদর্শন করেছেন। কৃষি বিভাগের প্রাথমিক হিসেবে, জেলায় ৩০ হেক্টর জমির
আমন আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আর বৃষ্টি না হলে এবং রোদ ওঠে গেলে বড়
ধরনের ক্ষতি হবে না বলে জানান তিনি।
এমএসএম / এমএসএম
ত্রিশালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারকে ঢেউটিন ও আর্থিক সহায়তা
বাগেরহাটে স্কুল মিল্ক কর্মসূচি উপলক্ষে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন এডভোকেট হাবিবুর রহমান
ছাতকে সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্বে বাধা: অনলাইন প্রেসক্লাবের নিন্দা
নতুন পোশাকের দামে হাঁসফাঁস, রায়গঞ্জে স্বল্পমূল্যের শীতবস্ত্রে ভিড়
কোটালীপাড়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ১৭ ব্যক্তির বিএনপিতে যোগদান
বাগেরহাটে মাছের ঘের থেকে যুবকের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার
ভোমরা শুল্ক স্টেশন কাস্টম অফিসের পরিচ্ছন্ন কর্মী বদরুলের বিরুদ্ধে সীমাহীন ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
সিংড়ায় পরিবেশ কর্মীদের অভিযান: বাঁশের কেল্লা ধ্বংস, ৫টি বক অবমুক্ত
তারেক রহমানের দেশে আগমন উপলক্ষে সুবর্ণচরে আনন্দ মিছিল
বড়ঘোপ ইউনিয়নের মুরালিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জামায়াতে ইসলামী
উলিপুরে বিএনপির দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত