আওয়ামী সুবিধাভোগী আশুলিয়ার গাজী নাছরিন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে
বিগত পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী, দলীয় পদধারী, নানা অনিয়ম, প্রভাব খাটানো, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিতর্কিত আচরণের রাণী হিসেবে পরিচিত আশুলিয়ার গাজী নাছরিন আক্তার নাজ এখনো রয়েছেন মামলাহীন ও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আওয়ামী সরকার পতন ও পলায়নের পর যেখানে সাবেক সরকারের অসংখ্য বিতর্কিত নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেখানে আশুলিয়ার এই সমালোচিত আওয়ামী নারী নেত্রীর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গাজী নাছরিন প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম, দখলবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক ধরনের আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয় স্বজনদেরও নানা উপায়ে ভয়ভীতি দেখানো ছিল তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ।
এলাকার কিছু ব্যবসায়ী জানান, তাঁর আওয়ামী দাম্ভিকতার আচরণ থেকে রেহাই পাওয়া ছিল কঠিন। প্রশাসনিক সম্পর্ক ও রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে তিনি যেভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন, তা আশুলিয়ার রাজনীতিতে এক সময়ের অঘোষিত “সন্ত্রাসী প্রভাব” হিসেবে পরিচিতি পায়।
তবে সরকার পতনের পরও নাছরিনের আচরণে তেমন পরিবর্তন আসেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। বরং, নিজের অতীত কর্মকাণ্ডের সত্য সংবাদ প্রকাশ করলেই তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একের পর এক আইনগত নোটিশ ও হুমকি দিয়ে চলেছেন।
আশুলিয়ায় দায়িত্বপালনরত বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, তাঁর অনিয়ম ও কুকর্ম প্রকাশের পর থেকেই নাছরিন শুরু করেছেন আইনী ভয় দেখানো ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত আক্রমণমূলক পোস্ট দেওয়া।
সম্প্রতি তাঁর ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত একাধিক পোস্টে দেখা গেছে, তিনি সংবাদ প্রকাশকারীদের পরোক্ষভাবে হেয় করছেন, সত্য সংবাদকে উপহাস করে “বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোর মতো” কটাক্ষমূলক ভাষায় মন্তব্য করছেন। এসব পোস্টে নিজের প্রভাবশালী অতীতের দম্ভ প্রকাশ করে তিনি আবারও আলোচনায় এসেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় নাগরিক সমাজের একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, “গাজী নাছরিনের মতো বিতর্কিত নেত্রীদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি অতীতে যেভাবে দলীয় ছত্রছায়ায় অন্যায়ের আশ্রয় নিয়েছিলেন, তা এখনই প্রতিহত না করলে আবারও এমন প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য বাড়বে।”
একই সঙ্গে আইনজীবী মহলের অনেকেই মনে করেন, সাংবাদিকদের আইনী হুমকি দেওয়া সংবিধান ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অ্যাডভোকেট মোঃ আকতারুল ইসলাম জানান, “কোনো ব্যক্তি যদি নিজের সুরক্ষার নামে সংবাদকর্মীদের ভয় দেখান বা নোটিশ পাঠান, সেটা আসলে সত্য লুকানোর কৌশল মাত্র। ন্যায়ের রাষ্ট্রে সত্য সংবাদকে দমন করা যায় না।”
এদিকে, গাজী নাছরিন আক্তার নাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হান্নান জানান, “এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে, ঘটনার সত্যতা পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো’’।
আশুলিয়ার সাধারণ মানুষ মনে করছেন, আইনের চোখে সবাই সমান। এই নীতিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে এ দেশ থেকে একদিন ন্যায়ের প্রত্যাশা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে।
এমএসএম / এমএসএম
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
চিকিৎসক সংকট ও অব্যবস্থাপনায় হাসপাতালই যেন রোগী
পটুয়াখালীতে টিউবওয়েল বসাতে গিয়ে মেলে গ্যাস, ছয় মাস ধরে জ্বলছে আগুন
পিরোজপুরে আফতাবউদ্দিন কলেজে নবীনবরণ ও বই বিতরণ অনুষ্ঠিত
ভূরুঙ্গামারীতে বন্যায় আগাম সতর্কবার্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সচেতনা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত দোকান গৃহ থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার
সন্দ্বীপে রেডিও স্টেশন স্থাপনে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাদের আগমন, মতবিনিময় সভা ও স্টেশনের জন্য স্থান পরিদর্শন
কুড়িগ্রামের রাজারহাট-আনন্দবাজার পাকা সড়ক দ্রুত সংষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে নারীদের উন্নয়নে কাজ করবে সরকারঃ মিঠু
কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সরিষা বীজ ও সার বিতরণ
আত্রাইয়ে মোটরসাইকেল চোরকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ
পাবনায় মাদকের টাকা না পেয়ে নামাজরত পিতাকে কুপিয়ে হত্যাঃ ছেলে আটক