ঢাকা রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫

নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিরতা মোটেও কাম্য নয়


রায়হান আহমেদ তপাদার  photo রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশিত: ৮-১১-২০২৫ দুপুর ১০:১১

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে রাজনীতির একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। নির্বাচন এলেই আমাদের রাজনীতির মাঠ গরম হয়। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে ঘিরে এখনই রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অতীতে নির্বাচনের নামে এ দেশে কী হয়েছে এবং তার বিপরীতে নির্বাচন কমিশনাররা কী বলে গেছেন, তা দেশ-বিদেশের সবার জানা। একই ভাবে ত্রয়োদশ নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তা। রাজনৈতিক দলগুলো কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। একে অন্যকে শত্রু ভাবছে। কে কাকে কিভাবে পরাস্ত করবে,সেটাই এখন মুখ্য হয়ে উঠেছে। জনগণের কথা ভাবছে না কেউ। আওয়ামী লীগের পতনের পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয় গত বছরের ৮ আগস্ট। সেই সময় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য এবং সৌহার্দ্যের সম্পর্ক ছিল,তা যেন এখন স্মৃতির ফ্রেমে বন্দি।রাজনীতিতে আবার সেই পুরনো সংস্কৃতি ফিরে এসেছে। যেকোনো প্রকারে ক্ষমতা দখলের মানসিকতা দেখা যাচ্ছে কারো কারো মধ্যে। দেশের স্বার্থের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে দলের স্বার্থ। নানা আলোচনা ও জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৫টি রাজনৈতিক দল তাতে স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো বলে জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পরও দলগুলোয় মতভিন্নতা কাটেনি। পরিস্থিতি দেখে সে রকমই মনে হচ্ছে। একদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক অব্যাহত রেখেছে, অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলগুলো। আবার দলগুলোর শীর্ষ নেতারা যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তাঁদের আশঙ্কার কথাও তুলে ধরছেন। শুধু তাই নয়, দলগুলো যার যার দাবি-দাওয়া নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পথে হাঁটছে।

সম্প্রতি নানা ইস্যুতে তাদের মধ্যে মতের অমিল দেখা যাচ্ছে। জামায়াতসহ আটটি দল আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে তিনটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবি ও অবস্থান তুলে ধরেছেন। এতে স্পষ্ট হয় যে দলগুলো এখনো এক ছাতার নিচে আসতে পারেনি। বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে কাজ শুরু করার আহবান জানিয়েছে। সরকারের ভেতরে বিভিন্ন দলের অনুগত উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবি করেছে বিএনপি। জামায়াতও সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা প্রশাসনে বিএনপি ও এনসিপির প্রতি সহানুভূতিশীল উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি করেছে। জামায়াত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট এবং জুলাই সনদের আইনি বৈধতা দিতে বলেছে সরকারকে। জামায়াতে ইসলামী বলেছে, দাবি না মানলে তারা নির্বাচনে যাবে না এবং তারা আশা করে, সরকার জনগণের দাবি মেনে নেবে। অন্যদিকে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, শাপলা প্রতীক না দিলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট কারা হবেন কিংবা নির্বাচন পরিচালনা কিভাবে হবে, সেসব বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছেন বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। দলগুলোর এমন কঠোর অবস্থান জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে আরো জটিল করে তুলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জামায়াত এবং এনসিপি দলের সুবিধার জন্য নির্বাচন পেছাতে চাইছে। এই মুহূর্তে নিঃসন্দেহে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। দেশজুড়ে দলটির সংগঠন বিস্তৃতি। সঠিক এবং যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দিলে, দলীয় কোন্দল নিয়ন্ত্রণ করলে এবং ঢালাওভাবে বিদ্রোহী প্রার্থী না দাঁড়ালে আগামী নির্বাচনে বিএনপির হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিএনপির এই সুবিধার কথা তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ভালো করেই জানে।এ জন্যই নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তোলার চেষ্টা চলছে বলে কোনো কোনো মহল মনে করে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদী। বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়ে বলছেন, ঘোষিত সময়ে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

এমনকি সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে নিশ্চিত থাকতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তার পরও রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে, দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য স্পষ্ট হচ্ছে। 
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈঠক রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কিন্তু এই তিন দলের অভিযোগের ধরন এবং অবস্থান বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়, তারা শুধু সরকারের ওপর নয়, পরস্পরের বিরুদ্ধেও চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে। নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক প্রভাবের প্রশ্নে এক অঘোষিত প্রতিযোগিতা এখানে দৃশ্যমান। রাজনৈতিক দলগুলোর এই পারস্পরিক অবিশ্বাস আর টানাপড়েন একটি কথা স্পষ্ট করেছে,তা হলো। রাজনীতিতে চিরস্থায়ী বন্ধু বলে কিছু নেই। দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব পুরনো খবর। সম্প্রতি এনসিপি-জামায়াতের প্রকাশ্য কথার লড়াই রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এনসিপিকে অনেকেই জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে ওঠা সংগঠন হিসেবে মনে করতেন। বিশেষ করে, এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনে জামায়াতের কর্মীরাই বেশি উপস্থিত ছিলেন। জামায়াত-শিবিরের কারণেই ওই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিল। জামায়াত ও শিবিরের সমাবেশে এনসিপি নেতাদের সরব উপস্থিতি ছিল দেখার মতো। বিশেষ করে জামায়াতের সমাবেশে দলটির আমির অসুস্থ হলে এনসিপির নেতা সারজিস আলমের মোনাজাত করার দৃশ্য দল দুটির আবেগময় নৈকট্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। সেই সম্পর্কে ফাটল ধরল কেন? কেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করলেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রতারিত হয়েই এনসিপি জামায়াতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার ব‍্যাপারে এনসিপি ও জামায়াত অভিন্ন অবস্থানে ছিল। দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হয়েছিল যে জুলাই সনদের সুস্পষ্ট আইনি ভিত্তি ছাড়া তারা এই সনদে স্বাক্ষর করবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জামায়াত এনসিপির সঙ্গে থাকেনি। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানকে পূর্ণতা দিয়েছে।

অনেকেই মনে করেন, জামায়াত যদি সেদিনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকত তাহলে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রশ্নবিদ্ধ হতো। এনসিপি নেতারা মনে করেন, জামায়াত কথা রাখলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে সরকার বাধ্য হতো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াত রাজনীতিতে নিজেদের স্বার্থে যখন যাকে দরকার তখন তাকে ব্যবহার করেছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের করুণায় জামায়াত বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। বিএনপির ছায়ায় থেকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে দলটি সংগঠন গোছায়। আবার ৯১-এর পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। ৯৬-এর নির্বাচনে বিপর্যস্ত জামায়াত আবার বিএনপির সঙ্গে জোট করে অস্তিত্ব রক্ষা করে। ২০০১ সালে ক্ষমতার অংশীদার হলেও এক-এগারোর সময় বিএনপির পাশে দাঁড়ায়নি। মাইনাস টু ফর্মুলার বিষয়েও জামায়াতের ভূমিকা ছিল রহস্যময়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাবিপর্যয়ের পর বিএনপির হাত ধরেই জামায়াত অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে জামায়াতের গোপন সম্পর্ক নিয়েও আছে নানা গুঞ্জন। বিশেষ করে ২০২৪ সালের আমি-ডামি নির্বাচনের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হলেও জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে তৎকালীন সরকারের রহস্যজনক সহানুভূতি গবেষণার দাবি রাখে। জামায়াত এখন মনে করছে, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে তারা এখন সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করার এটাই তারা উপযুক্ত সময় মনে করছে। 
জামায়াতের কৌশলের আরেকটি দিক হলো, বিএনপিকে একলা করা। এ কারণেই জামায়াত ইসলাম পছন্দের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করছে। এই দলগুলো যেন বিএনপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে না পারে সে জন্যই জামায়াতের এই উদ্যোগ। সম্প্রতি নির্বাচনসংক্রান্ত আইন সংশোধনীতে জামায়াতের কৌশল জয়ী হয়েছে। এই সংশোধনীতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচন করলেও তাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। আরপিও সংশোধনের বেশ কিছু ধারায় বিএনপি সম্মত ছিল। 

তবে ২০(১) ধারা অনুযায়ী জোটভুক্ত হলে রাজনৈতিক দলগুলো অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারত। এই ধারার পরিবর্তনে অধিকাংশ দলই সম্মত ছিল না। এ রকম অনেক কিছুই জামায়াতের প্রতি সহানুভূতিশীল সরকারি কর্মকর্তারা নীরবে নিভৃতে করে যাচ্ছেন। 
সদ্য গঠিত এনসিপি এখন জাতীয় রাজনীতিতে এবং নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর নয়। ১৭ অক্টোবর তাদের জন্য যেমন জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বন্ধ হয়নি, নির্বাচনও তাদের কারণে থেমে থাকবে না। দলটির ভেতরে নানা রকম কোন্দল ও দ্বন্দ্ব চলছে।বিএনপির জন্য এই নির্বাচন বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের। দেশের বৃহত্তম দল হিসেবে শুধু নির্বাচনে জয়ী হওয়া বিএনপির লক্ষ্য নয়। নির্বাচন যেন বিতর্কমুক্ত অবাধ এবং সুষ্ঠু হয় তার একটা বড় দায়িত্বও রয়েছে বিএনপির। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যেকোনো ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় বিএনপির ঘাড়ে আসবেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী নির্বাচনে ঘর সামলানোই বিএনপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির যোগ্য প্রার্থী এক ডজনের কম না। তাঁদের মধ্যে একজনকে বাছাই করে, তাঁর পক্ষে বাকিদের ঐক্যবদ্ধ করাটাই বিএনপির প্রধান নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ। এই কাজটি যত দক্ষতার সঙ্গে তারা করতে পারবে ততই তারা নির্বাচনে ভালো ফলাফল করবে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর বিভক্তি এবং অবিশ্বাস নির্বাচনকে যদি অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়, তাহলে গণতন্ত্রের সর্বনাশ অনিবার্য হয়ে উঠবে। রাজনৈতিক দলের রাজপথে ফায়সালা কিংবা রাজপথ দখল করার হুমকি-ধমকি কোনোভাবে কাম্য নয়। বর্তমানে দেশ এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি কিংবা অন্য কোনো দলের অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করা মোটেও ঠিক হবে না।রাজনৈতিক দলগুলোকে আজ একই কণ্ঠে অঙ্গীকার করতে হবে, তারা আজ যে সমঝোতা এবং প্রতিশ্রুতি দেবে তা আগামী দিনেও যথাযথভাবে মেনে চলবে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আবার দেশে কোনো অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে হতে হবে স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ এবং গণতন্ত্রমনা। আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোকে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয় এমন কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক,

Aminur / Aminur

৭ নভেম্বর: “সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিপ্লব ও বাংলাদেশের নবজাগরণ”

নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিরতা মোটেও কাম্য নয়

সৎ মানুষ অন্যায়ের প্রতিপক্ষ

নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হোক

নাগরিক সমাজ ও মৌলিক কাঠামোগত সংস্কার

গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন জিয়াউর রহমান

নাগরিক সচেতন হলে রাজা নীতিবান হতে বাধ্য

নাগরিক ভোগান্তি রোধে দরকার পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস ও জনসচেতনতা

জাতিসংঘের ব্যর্থতা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব

রাজনীতিতে রাজা আছে, নীতি নাই

গণতন্ত্রে উত্তরণে তারেক রহমানের যত চ্যালেঞ্জ

তুরস্কের প্রত্যাবর্তন: মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির নতুন সম্ভাবনা

জীবনের জয়গানে সড়ক হোক মুখরিত