রাজউক চতুর্থশ্রেনীর কর্মচারীর কোটি টাকার সম্পদ
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন এলাকায় ভবন নির্মাণে সংস্থাটির অনুমতি লাগে। আবার সরকারি এই সংস্থা ভূমি উন্নয়ন করে প্লট আকারে বিক্রি করেছে। রয়েছে ফ্ল্যাটের ব্যবসাও। এসব কাজে বিশেষ করে ভবন নির্মাণে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় গ্রাহকদের। ভবনের অকুপেন্সি সনদ (ব্যবহার ছাড়পত্র), নির্মাণ ও স্থাপত্য অনুমোদন, উচ্চতা কমানো-বাড়ানো সবকিছুর এখতিয়ার সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া কমমূল্যে প্লট বরাদ্দ দিয়ে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতেও কাজ করছে রাজউক। সেই সুযোগ নিয়ে রাজউকে এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। এই চক্রে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে রাজউকের উত্তরা জোনাল অফিসের সার্ভেয়ারের জরীপ সাথী মোঃ ওমর ফারুক সরকারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহি:ভূত কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে।
মোঃ ওমর ফারুক সরকার প্রথমে মাষ্টার রোলে ০৫ বছর চাকুরী করেছেন এরপর ২০০৯ সালে চাকুরীতে স্থায়ী হয়। ২০০৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ১৪ থেকে ১৫ বছর সময়ের ব্যবধানে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। যদিও রাজউকে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী হয়ে সর্বসাকুল্লে বেতন পান ২৬থেকে ২৭ হাজার টাকা কিন্তু এই বেতনে যেখানে ঢাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করাই কষ্টসাধ্য সেখানে জরীপ সাথী মোঃ ওমর ফারুক রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু আলীশান বাড়ি, গাড়ি এবং কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স করেছেন।
বিভিন্ন সময় দূর্নীতি, অনিয়ম ও জমির মালিকদের হয়রানি করে অবৈধ পন্থায় ওমর ফারুক একাধিক বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করতে এক সর্ভেয়ার জানান।
তিনি আরও জানান একজন সার্ভেয়ারের জরিপ সাথী মূলত বিভিন্ন নির্মান প্রকল্পগুলির জন্য সম্পত্তির সীমানা নির্ধারন সম্পর্কিত পরিমাপের কাজ করে থাকেন। এছাড়াও কোন স্থানের মানচিত্র তৈরী, খনন এবং আইনী উদ্দেশ্যের জন্য দরকারী ডাটা সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু মো: ওমর ফারুক সরকার সেটি না করে তার নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জাল জালিয়াতি এবং বিভিন্ন আইনের ফাক ফোকড়ের গ্যারাকলে ফেলে হয়রানির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে থাকেন।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজউকের সার্ভেয়ারের জরীপ সাথী মো: ওমর ফারুকের একাধিক বাড়ি ও ফ্লাটের সন্ধান পাওয়া যায় এরমধ্যে রাজধানীর উত্তরস্থ রানাভোলার 'সরকার মঞ্জিল' নামের ৬তলা বাড়ির মালিক তিনি নিজেই।বর্তমানে তিনি এই বাড়িতেই বসবাস করছেন। এছাড়াও উত্তরস্থ তুরাগ থানাধীন পুষ্পবাগ এলাকার মারজান নামক ৮তলা বাড়িটিও তার নিজের। এছাড়াও গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় গড়েছে বিঘায় বিঘায় সম্পদ। রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক এফডিআর।
বিভিন্ন, অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে জরীপ সাথী মোঃ ওমর ফারুক জানান, এসকল সম্পত্তি আমার বৈধ পথে উপর্জিত অর্থে গড়া। এর বাহিরে তিনি আর কথা বলতে ইচ্ছুকনন বলে জানান।
অনুসন্ধান চলমান বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে....
এমএসএম / এমএসএম
রাজউক চতুর্থশ্রেনীর কর্মচারীর কোটি টাকার সম্পদ
কার্গো ভিলেজ এখনও ধ্বংসস্তূপ: অভিযোগ উঠেছে সংস্থা গুলোর সমন্বয়হীনতা নিয়ে
সময় টেলিভিশনের নামে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা, তদন্ত পেল সিআইডি
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে এএসআই গোলাম রসুলের উদ্যোগে মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রম
বাড্ডায় গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত
নতুন জমি অধিগ্রহণে ডেমরাবাসীর আপত্তি ও মানববন্ধন
'শয়তানের নিশ্বাস' প্রয়োগে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতা মালামালসহ রূপনগর থানায় গ্রেপ্তার
বনানী আবাসিক এলাকায় রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান
সূত্রাপুরে গুলিতে নিহত মামুনের খুনের মাস্টার মাইন্ড শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন, নিহত পরিবারের দাবী
শেরেবাংলা নগরে এশিয়ার পঞ্চম বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন
ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন
জিয়া পরিবারের আদর্শ ধরে রাখতে জীবন দিতেও পিছু হটবো না: এস এম জাহাঙ্গীর