চট্টগ্রামে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ব্যাটারি রিকসা থেকে চাঁদাবাজি করতে স্ট্যাম্পে চুক্তি করে সিন্ডিকেট গঠন
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকসা চলাচলে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পুলিশের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বীরদর্পে চলাচল করছে এসব বাহন। বিদ্যুতের চোরাই লাইনে চার্জ দিয়ে কোটি টাকার বিদ্যুৎ অপচয় করে চললেও এসব বন্ধে নেই তেমন কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ। মাঝেমধ্যে কিছু রিকসা আটক হলেও সামান্য জরিমানা দিয়ে এগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে আবারো নামানো হয় রাস্তায়। এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিশাল অংকের চাঁদাবাজির মিশন নিয়ে ৩১০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি করে বাধাহীনভাবে এসব রিকসা চালানোর জন্য একটি সিন্ডিকেট গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রশাসনের বিরুদ্ধে মাঠে অবস্থান নেয়ার জন্য, চালক মালিকদের ক্ষিপ্ত করার লক্ষ্যে তাদের মাঝে উস্কানিমুলক লিফলেট বিলি করছে। চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক চার্জার রিকসা মালিক সমিতির ব্যানারে এ কার্যক্রম বর্তমানে ছোট পরিসরে চলমান আছে। বৃহৎ পরিসরে চালানোর জন্য এই সিন্ডিকেটটি বিভিন্ন মহলে জোর তদবিরও চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে নগরীতে একদিকে যেমন বাড়বে যানজট ও দুর্ঘটনা, অন্যদিকে সরকারের কোটি কোটি টাকার বিদ্যুতের অপচয় হবে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।
জানা যায়, গত ৪ মে মঙ্গলবার রাত ৮টায় একটি মিটিংয়ের মাধ্যমে ১৩টি শর্ত দিয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যেখানে ৯নং শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে- নগরীতে বর্তমানে ও ভবিষ্যতে চলাচলকারী সকল ইলেকট্রিক চার্জার রিকসার বডিতে ‘চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক চার্জার রিকশা নিরাপদ চলাচল ও নিবন্ধন বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর মুদ্রিত পরিচিতি স্টিকার/প্লেট লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। বাস্তবায়ন পরিষদের তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে এককালীন এন্ট্রি ফি, পরবর্তী সার্ভিস চার্জ বা অন্য কোনো আদায় বাস্তবায়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা হবে। পরবর্তীকালে এ সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গ্রহণ ও কার্যকর করবে, যা বাদবাকি সকলে মানতে বাধ্য থাকবেন।
চুক্তিপত্রের ১০নং শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে- বাস্তবায়ন পরিষদের স্টিকার/প্লেটযুক্ত কোনো চার্জার রিকসা প্রশাসনিক হয়রানি অথবা চুরি-ছিনতাইসহ অন্য কোনো সমস্যায় পড়লে কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি কর্তৃক গঠিত সাব-কমিটি এ ব্যাপারে যথাযথ কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সমন্বয় কমিটির নিকট তারা রিপোর্ট ও জবাবদিহি করবে।
চট্টগ্রাম ইলেক্ট্রিক চার্জার রিকসা মালিক সমিতির পক্ষে সমঝোতা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের সভাপতি ওয়াজি উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মো. সানাউল্লাহ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগরী রিকসা মালিক পরিষদের (রেজি. নং-চট্ট. ১৯৯৩) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগরী রিকসা চালক ইউনিয়নের (রেজি. নং-চট্ট. ২১১২) সভাপতি মো. ফরিদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ এবং চট্টগ্রাম অটোরিকসা-অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি. নং- চট্ট.১৪৪১) মো. হারুনুর রশিদ। এই ৪টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক চার্জার রিকসা নিরাপদ চলাচল ও নিবন্ধন বাস্তবায়ন পরিষদ, সংক্ষেপে যার নাম হবে বাস্তবায়ন পরিষদ।
স্ট্যাম্পে চুক্তির বিষয়টি স্বীকার করে চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক চার্জার রিকসা মালিক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজি উল্লাহ বলেন, আমরা একটা প্লাটফর্ম তৈরি করেছি মাত্র, পরবর্তীতে আমাদের কমিটি হবে। এককালীন এন্ট্রি ফি এবং আদার চার্জ আদায়ের পরিমাণ ও পদ্ধতি ওই কমিটি নির্ধারণ করবে।
এই চুক্তি সম্পর্কে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্র্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি এসএম নাজের হোছাইন বলেন, এসব চার্জার রিকসায় চার্জ দেয়ার জন্য পিডিবির কোনো সংযোগ দেয়া হয় না। তবুও বর্তমানে চুরি করা বিদ্যুতে চার্জ দিয়ে এমনিতেই নগরীতে অনেকগুলো গাড়ি চলমান আছে। আবার যদি এভাবে চুক্তি করা হয়ে থাকে তবে তা সম্পূর্ণ অন্যায় হবে। আর আদালত বা প্রশাসন যদি এসব রিকসা চলাচলের অনুমোদন দেয় তাহলে একদিকে যেমন যানজট ও দুর্ঘটনা বৃদ্ধিসহ নাগরিক দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে শুরু হবে বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাময়িক কিছু অর্থ পেলেও ক্ষতির মুখে পড়বে পিডিবি এবং বৈধ প্যাডেলচালিত রিকসা ও সিএনজিচালিত অটোরিকসার চালক-মালিকরা।
বিদ্যুতের অপচয় সম্পর্কে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিতরণ দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সামিনা বানু বলেন, ইলেকট্রিক চার্জার রিকসা চলতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ লাগে, তাই এসব গাড়ি চার্জের জন্য কোনো সংযোগ দেয়া হয়না। আর যারা চোরাই লাইন ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / জামান
নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এস এম রেজাউল ইসলাম রেজু
শার্শা আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন-তৃপ্তি
মৌলভীবাজার-৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হাজী মুজিব
বিএনপির মাদারীপুর এক ও তিন আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা
গাইবান্ধার পাঁচ টি আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত
কুমিল্লায় বিএনপি'র ৯ টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীতা ঘোষণা
চাঁদপুর জেলার বিএনপির সম্ভাব্য পাঁচ প্রার্থী
শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম
প্রথম বারের মতো ভোলা -৪ চরফ্যাশন মনপুরা আসেন মনোনয়ন পেলেন নূরুল ইসলাম নয়ন
মেহেরপুর বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মাসুদ অরুণ-আমজাদ হোসন
মৌলভীবাজার-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মিঠু
টাঙ্গাইল- ৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী রবিউল আওয়াল লাভলু মনোনীত হয়েছেন