ঘটনার ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলা নেয়নি মান্দা থানা পুলিশ
নওগাঁর মান্দায় এক মাদক ব্যবসায়ী মারপিট ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত (৪ ডিসেম্বর ২০২০) তারিখে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চকউমেদ গ্রামে। এই ঘটনার দুই দিন পর (৬ ডিসেম্বর ২০২০) তারিখে শহিদুল ইসলাম মান্দা থানায় মাদক ব্যবসায়ীর নামে একটি এজাহার দায়ের করেন। এ ঘটনায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলা নেয়নি মান্দা থানা পুলিশ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,গত (৪ ডিসেম্বর ২০২০) তারিখে চকউমেদ গ্রামে আনসার আলীর চায়ের দোকান থেকে চা খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত ৮টার সময় মাদক ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তারসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন আহত শহিদুল ইসলামকে পথরোধ করে ফোল্ডিং চাকু বের করে পেটে মারার চেষ্টা করেন। এ সময় সে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে চাকু ডান হাত দিয়ে চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে চাকুর আঘাতে ডান হাতের আঙ্গুল ও কব্জির উপর লেগে রক্তাক্ত জখম হন তিনি। আহত শহিদুলের ডাক চিৎকারে গ্রাম পুলিশ গিয়াস উদ্দিন, আব্দুর রব ও আরিফ হোসেন নামের ব্যক্তিরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চাকু ফেলে পালিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া চাকু গ্রাম পুলিশ গিয়াস উদ্দিনের হেফাজতে রাখেন স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে উক্ত চাকু উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আহত শহিদুল ইসলাম উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের বারিল্যা গ্রামের আমির উদ্দিন সরদারের ছেলে।অপরদিকে অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও হামলাকারী উপজেলার চকউমেদ গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম জানান, থানায় বার বার গিয়ে ধরনা দিয়েও মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। কয়েকদিন ঘোরার পর আমি (ওসি) শাহিনুর রহমান স্যারকে বললে সে একটি কাগজে লিখে থানার এসআইকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু ঘটনার ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারণে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি থানা পুলিশ।
ব্যাপারে মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সেইদিন আমি ইমার্জেন্সি অফিসারের দায়িত্ব পালন করি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে চাকু উদ্ধার করি। পরবর্তীতে উপ সহকারী পরিদর্শক আব্দুল জব্বারকে দায়িত্ব দেওয়া হয় । এর পরে আর কিছু জানিনা। অভিযোগের বিষয়ে মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, অনেকদিন আগের ঘটনা সঠিক স্মরণ নেই।
এমএসএম / এমএসএম