জুড়ীতে বিদ্রোহীরা সরে যাওয়ায় আওয়ামী লীগে স্বস্তি
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের যে কোনো নির্বাচনে একবার বিদ্রোহী প্রার্থী হলে ওই নেতাকে আর কখনই নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। সারাজীবনের জন্য দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণাও দিয়েছে দলটি। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দ্বিতীয় ধাপে হওয়া মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ৫টি ইউপিতে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন মোট দুই ডজন প্রার্থী। দলীয়ভাবে যাচাই-বাছাইয়ের পর পাঁচজনকে দেয়া হয় দলীয় প্রতিক নৌকা। গত ইউপি নির্বাচনে অনেকে নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। বিদ্রোহীরা স্বতন্ত্রভাবে অংশ নেয়ায় গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পড়েছিল অনেকটাই বেকায়দায়। কিন্তু এবারের নির্বাচনে এ দৃশ্য অনেকটা ভিন্ন। ইতোমধ্যে দলীয় মনোনয়নের প্রতি সম্মান জানিয়ে অনেকেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
সদরের জায়ফরনগর ইউনিয়নে গত নির্বাচনে ৪ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে চমক দেখানো আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম অফিকুল এবার নৌকা না পেয়ে দলের প্রতি সম্মান জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গত নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন কালা ও প্রথমবারের মতো নৌকার মনোনয়ন চাওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আহমদ ফয়ছল নাহিদও নৌকা না পাওয়ায় ইতোমধ্যে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন।
উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নে গত নির্বাচনে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকা নিয়ে বিজয়ী হন বর্তমান চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন আহমদ। এবার তাকে বাদ দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদিরকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। এদিকে দলীয় মনোনয়ন নৌকা না পেয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন গতবারের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম মঈন। তবে নৌকার মনোনয়ন চাওয়া অপর প্রার্থী ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সদস্য ওবায়দুল ইসলাম রুহেল স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে আছেন।
উপজেলার গোয়ালবাড়ী ও সাগরনাল ইউনিয়নে নৌকার কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় এ দুই ইউনিয়নের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীরা রয়েছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। এছাড়াও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুবের হাসান জেবলু নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গত নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনফর আলী নির্বাচন করবেন বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, প্রায় প্রতিবারই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে দেখা যায় আওয়ামী লীগের কোনো না কোনো নেতা ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েন। ওই বিদ্রোহী প্রার্থীকে ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয় কেন্দ্রীয়সহ উপজেলা নেতৃবৃন্দের। এ কারণে এবার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের এ সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
এমএসএম / জামান
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম : এ্যাড. আজিজ মোল্লা
ভোলাহাটে বাগান নষ্ট ও হুমকির ঘটনা: প্রশাসন তদন্তে, উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী
জিয়া পরিবারের কষ্টের তুলনায় আমাদের কষ্ট কিছুই না - আবুল কালাম
যমুনা নদীতে চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার ১০
নবীনগরে চার গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিএনপির মতবিনিময় সভা
কবিরহাটে ফখরুল ইসলাম: ধানের শীষে বিজয় হলে বন্ধ হবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি
কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে নাঃ আইজিপি
নাচোলে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন
বাঘা-চারঘাট জামায়াতের এমপি প্রার্থী মোটরসাইকেল রেলি অনুষ্ঠিত
দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন
কাপাসিয়ায় সালাহউদ্দিন আইউবী‘র দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে বিশাল মিছিল
গজারিয়ায় অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ