জবির বিভিন্ন খাতে বেঁচে যাওয়া অর্থ শিক্ষার্থী বৃত্তিতে ব্যয়ের দাবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের পরিবহন খাতে প্রতি মাসে ভাড়ায়চালিত বিআরটিসি বাস এবং নিজস্ব বাসের তেল, গ্যাস বাবদ প্রায় ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হয়। তবে করোনা মহামারীর কারণে দেড় বছর ধরে এ ব্যয় সংকোচন হয়েছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন খাত নয়, এমন অনেক সেবা বন্ধ থাকায় বিভিন্ন খাতে ব্যয় সংকোচন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। বেঁচে যাওয়া অর্থ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যয় করার দাবি জানিয়েছিলেন অনেকেই।
গত ৮ বছরের মার্চ দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মার্চের ১৮ তারিখ থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ রয়েছে। চলছে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজকর্ম। তবে জুলাইয়ে বিভিন্ন বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষা সশরীরে হতে পারে। আগামী ১৩ জুন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জগন্নাথের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী মেসে কিংবা ভাড়া বাসায় থেকে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালীন অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সংকটে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু হলে নতুন করে ঢাকা এসে মেস ভাড়া নেয়া, পরীক্ষার ফি, সেশন ফি দেয়াসহ বিভিন্ন খরচের সম্মুখীন হতে হবে তাদের।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর ২৭(৫) ধারা অনুযায়ী, সরকার বা অন্যান্য বৈধ উৎস থেকে প্রাপ্ত অনুদান বা আয় থেকে প্রয়োজনের নিরিখে বৃত্তি বা উপবৃত্তি দেয়ার কথা রয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছাত্রনেতারা জানান, বিভিন্ন খাতের বেঁচে যাওয়া অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কাজে ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন বলেন, যদি নিয়ম থাকে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে পরিবহন খাতসহ বিভিন্ন খাতের বেঁচে যাওয়া অর্থ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও গবেষণা খাতে ব্যয় করা যেতে পারে। এখন যত বৃত্তি দেয়া হয়, তার থেকে বৃত্তির সংখ্যা যদি আরো বৃদ্ধি করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। যেহেতু করোনার সময় শিক্ষার্থীরা গ্রামে চলে যাওয়ায় টিউশনি হারিয়েছে, আর্থিক সংকটে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ জানান, শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ফি মওকুফের জন্য বলা হবে। তিনি আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে ইউজিসি থেকে অনুমোদন নিয়ে এক খাতের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করতে পারে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ রায় বলেন, আমরা বিভিন্ন সংগঠন যুক্তভাবে করোনার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমপূরক বৃত্তির ব্যবস্থা করতে। যাই হোক, এখন যেহেতু ক্যাম্পাস খুলবে এবং শিক্ষার্থীরা ঢাকায় আসবে মেস নেবে, আরো খরচ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন খাতের বেঁচে যাওয়া অর্থ আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করতে পারে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের আবু বকর বলেন, প্রশাসন চাইলেই বিভিন্ন খাতে খরচ না হওয়া অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা করতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, এসব ফান্ড করতে একা কোনো সিদ্ধান্ত তো নেয়া যায় না। সিন্ডিকেট মিটিং কিংবা কাউন্সিল মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আর আমি যোগদান করলাম তো বেশিদিন হয়নি, ফান্ডে কত টাকা আছে তাও জানি না।
এমএসএম / জামান

ধামইরহাটে জামায়াতে ইসলামীর সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন

জয়পুরহাটে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ইউডিআরটি প্রশিক্ষণের সমাপনী

বেনাপোল বন্দরে থামছেনা শুল্ক ফাঁকির মচ্ছব

ইতালিতে মাদারীপুরের প্রবাসী অভির খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরকে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবেঃ নবাগত পুলিশ সুপার সিদ্দীকী

জলাবদ্ধতা নিরসনে সোনারগাঁয়ে পাঁচ গ্রামবাসীর মানববন্ধন

দোহারে বর্ণিল আয়োজনে আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিমের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

শিক্ষক সংকট ও হোস্টেলের অভাবে নবীনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার মানে ধস

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্বর্ণপদক জয়ী বাক প্রতিবন্ধী স্মরণের পাশে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক

গলাচিপায় শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভা

সম্প্রীতির বাঁশখালীতে ভোলানাথ ধামকে ঘিরে ফেইসবুক গুজব, আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক
Link Copied