ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

জবির বিভিন্ন খাতে বেঁচে যাওয়া অর্থ শিক্ষার্থী বৃত্তিতে ব্যয়ের দাবি


জবি সংবাদদাতা photo জবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১-৬-২০২১ দুপুর ৩:১৯
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের পরিবহন খাতে প্রতি মাসে ভাড়ায়চালিত বিআরটিসি বাস এবং নিজস্ব বাসের তেল, গ্যাস বাবদ প্রায় ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হয়। তবে করোনা মহামারীর কারণে দেড় বছর ধরে এ ব্যয় সংকোচন হয়েছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন খাত নয়, এমন অনেক সেবা বন্ধ থাকায় বিভিন্ন খাতে ব্যয় সংকোচন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। বেঁচে যাওয়া অর্থ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যয় করার দাবি জানিয়েছিলেন অনেকেই।
 
গত ৮ বছরের মার্চ দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মার্চের ১৮ তারিখ থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ রয়েছে। চলছে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজকর্ম। তবে জুলাইয়ে বিভিন্ন বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষা সশরীরে হতে পারে। আগামী ১৩ জুন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জগন্নাথের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী মেসে কিংবা ভাড়া বাসায় থেকে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালীন অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সংকটে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু হলে নতুন করে ঢাকা এসে মেস ভাড়া নেয়া, পরীক্ষার ফি, সেশন ফি দেয়াসহ বিভিন্ন খরচের সম্মুখীন হতে হবে তাদের।
 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর ২৭(৫) ধারা অনুযায়ী, সরকার বা অন্যান্য বৈধ উৎস থেকে প্রাপ্ত অনুদান বা আয় থেকে প্রয়োজনের নিরিখে বৃত্তি বা উপবৃত্তি দেয়ার কথা রয়েছে।
 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছাত্রনেতারা জানান, বিভিন্ন খাতের বেঁচে যাওয়া অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কাজে ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
 
রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন বলেন, যদি নিয়ম থাকে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে পরিবহন খাতসহ বিভিন্ন খাতের বেঁচে যাওয়া অর্থ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও গবেষণা খাতে ব্যয় করা যেতে পারে। এখন যত বৃত্তি দেয়া হয়, তার থেকে বৃত্তির সংখ্যা যদি আরো বৃদ্ধি করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। যেহেতু করোনার সময় শিক্ষার্থীরা গ্রামে চলে যাওয়ায় টিউশনি হারিয়েছে, আর্থিক সংকটে আছে।
 
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ জানান, শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ফি মওকুফের জন্য বলা হবে। তিনি আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে ইউজিসি থেকে অনুমোদন নিয়ে এক খাতের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করতে পারে।
 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ রায় বলেন, আমরা বিভিন্ন সংগঠন যুক্তভাবে করোনার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমপূরক বৃত্তির ব্যবস্থা করতে। যাই হোক, এখন যেহেতু ক্যাম্পাস খুলবে ‍এবং শিক্ষার্থীরা ঢাকায় আসবে মেস নেবে, আরো খরচ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন খাতের বেঁচে যাওয়া অর্থ আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করতে পারে।
 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের আবু বকর বলেন, প্রশাসন চাইলেই বিভিন্ন খাতে খরচ না হওয়া অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা করতে পারে।
 
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, এসব ফান্ড করতে একা কোনো সিদ্ধান্ত তো নেয়া যায় না। সিন্ডিকেট মিটিং কিংবা কাউন্সিল মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আর আমি যোগদান করলাম তো বেশিদিন হয়নি, ফান্ডে কত টাকা আছে তাও জানি না।

এমএসএম / জামান

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ

পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র

জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা

মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল

এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী

বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা

কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী

রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী

বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত

ত্রিশালে জেঁকে বসেছে শীত, ফুটপাতে জমে উঠেছে বিক্রি

৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে কুমিল্লা -৬ আসনে জামায়াত নেতা দ্বীন মোহাম্মদ শোভাযাত্রা

আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে এ দেশের ছাত্র জনতা -মিয়া গোলাম পরওয়ার

সন্দ্বীপে ৫ শতাধিক পরিবারের চলাচলে স্বস্তি