ঢাকা রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫

এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের তালিকায় বশেমুরবিপ্রবির ৭ শিক্ষক : অনুভূতি, প্রতিবন্ধকতা ও প্রত্যাশা


খাদিজা জাহান তান্নি, বশেমুরবিপ্রবি photo খাদিজা জাহান তান্নি, বশেমুরবিপ্রবি
প্রকাশিত: ১২-১২-২০২১ বিকাল ৬:২১

সম্প্রতি এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত জন শিক্ষক এই তালিকায় স্থান করে নেন। নবীন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় সকল বাধা উৎরিয়ে তাদের এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে জায়গা করে নেয়ার অনুভূতি, গবেষণার প্রতিবন্ধকতা ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরা হয়েছে আজকের প্রতিবেদনে- 

গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন 
ড. মোঃ জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, কৃষি বিভাগ 

গবেষণার পিছনে আমাদের অনেক শ্রম ও মেধা জড়িত থাকে, এজন্যে এসব তালিকায় নিজেদের নাম দেখলে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। মূলত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি কাজ- শিক্ষা ও গবেষণা। আমি গবেষণাকেই  প্রাধান্য দেই। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় গবেষণার আউটপুটগুলোই শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে। এছাড়া গবেষণায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে থাকার কারণ গবেষণা বরাদ্দ অনেক কম ও ল্যাব সংকট। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সবাই মিলে কাজ করলে এই সমস্যাগুলো সমাধান হবে এবং বশেমুরবিপ্রবি গবেষণায় অনেক এগিয়ে যাবে। 

ল্যাব সংকট গবেষণায় উন্নতির অন্তরায় 
ড. দিপংকর কুমার, গণিত বিভাগ 

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকদের পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা স্বত্বেও ল্যাবরেটরির অভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না বিশেষত পিএইচডি করে যারা যোগ দিছেন। এই জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত সাপোর্ট দিতে পারলে আমার বিশ্বাস পাঁচ বছরের মধ্যে গবেষণায় অনেক দূর এগিয়ে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়। আমি আমার বিভাগের জুনিয়র শিক্ষকদের বা অনার্স মাস্টার্সের থিসিসের শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহ দিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে সবাই মিলে উদ্যোগ নিলে বিশ্ববিদ্যালয় তার নির্দিষ্ট শিখরে পৌঁছাতে পারবে। 

তালিকাটি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অনুপ্রেরণা দিবে 
ড. মোঃ কামরুজ্জামান, এ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

গবেষণা সংস্থা আমাদের কাজের মূল্যায়ন করেছে এজন্যে আমরাও গর্বিত। এটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। যেহেতু একটি বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়াতে অনেক সময় লাগে, তাই আমাদের কিছু সুযোগ সুবিধার অভাব রয়েছে। ভবিষ্যতে আমরাও সকল সংকট কাটিয়ে এগিয়ে যাবো। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের গবেষণায় মনোনিবেশ করতে হবে। বেশি বেশি পাব্লিকেশন্স করতে এবং শিক্ষার্থীদের গবেষণায় মনোযোগী করে তুলতে হবে। 

এডি র‍্যাঙ্কিং বশেমুরবিপ্রবির জন্যে একটা শুভ সূচনা
ড. মোঃ নাজমুল হক, প্রাণী সম্পদ বিজ্ঞান ও ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগ 

আন্তর্জাতিক সংস্থা আলপার-ডগার(এডি) বৈজ্ঞানিক সূচকে বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের তালিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পাওয়া সকল শিক্ষকদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। শত প্রতিকূলতার মাঝেও গবেষণায় অবদান রাখতে পারা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য একটা শুভ সূচনা । একটা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা অপরিহার্য । নবীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে  সকল সংকট কাটিয়ে যথোপযুক্ত গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি করা সময় সাপেক্ষ। তারপরও আমি আশাবাদী, প্রশাসনের সহযোগিতায় বশেমুরবিপ্রবিতে গবেষণার পরিবেশ অতি দ্রুতই তৈরি হবে । শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা গবেষণায় মনোযোগী হলে বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‍্যাঙ্কিয়ে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। 

ছাত্র শিক্ষকের মাঝে গবেষণার স্পৃহা জাগাতে হবে
ড. মোঃ মতিউর রহমান, পরিসংখ্যান বিভাগ 

এ ধরনের সায়েন্টিফিক কমিউনিটিতে অবদান রাখা আমাদের তরুণ গবেষক বা যারা ভবিষ্যতে গবেষণা করতে চান তাদেরকে অনেক অনুপ্রেরণা জোগাবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণায় এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার আগ্রহটা জাগাতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করতে পারি। অর্থ্যাৎ গবেষণা করলে কি হবে বা কিভাবে জাতি উপকৃত হবে, এটা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপলব্ধি করাতে পারলে গবেষণার আগ্রহ সবারই বাড়বে। 

শিক্ষক সংকট গবেষণায় মনোনিবেশে একটা বাধা 
মোঃ আব্দুল মান্নান খাঁন, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ 

বিশ্ববিদ্যালয় হলো গবেষণার ক্ষেত্র। গবেষণায় মনোনিবেশ করার জন্যে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা হলো শিক্ষক সংকট ও প্রণোদনার অভাব। শিক্ষক সংকটের কারণে আমাদের অনেক চাপ থাকে। প্রত্যেক শিক্ষককে বিভাগের কাজেই বেশি সময় ব্যয় করতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় শিক্ষকরা গবেষণায় মনোনিবেশ করতে পারেন নি। তবে এই সমস্যাগুলো সমাধান করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাফল্য আসবে। 

গবেষণায় উন্নতিতে রিসার্চ ল্যাব প্রয়োজন 
মোঃ মতিয়ার রহমান, রসায়ন বিভাগ 

কোনো কাজের স্বীকৃতি পাওয়া অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যথেষ্ট ইন্সট্রুমেন্ট ও দক্ষ শিক্ষক থাকার পরও রিসার্চ ল্যাব না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। এটাই সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। এক্ষেত্রে যদি বিভাগগুলোতে রিসার্চ ল্যাব স্থাপন সম্ভব না হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্ট্রাল ল্যাব স্থাপন করা যায়। যেখানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি থাকবে। এতে দেখা যায় কম জিনিসে প্রত্যেকেই কাজ করার সুযোগ পাবে। 

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক সংস্থা আলপার-ডগার(এডি) ১২টি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের ২০৬টি দেশের ১৩ হাজার ৫৪২টি প্রতিষ্ঠানের ৭ লাখ ১০ হাজার ৪৯৬ জন গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের এক হাজার ৮৪৯ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন।

এমএসএম / এমএসএম

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি