নোবিপ্রবির বার্ষিক প্রায় ৩শ গবেষণাপত্র থাকলেও ইউজিসির রিপোর্টে আছে মাত্র ২

২০২০ সালের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক প্রতিবেদন আলোকে এক বছরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে মাত্র ২ টি৷
ইউজিসির রিপোর্টে প্রদান করা নোবিপ্রবির শিক্ষক শিক্ষার্থীদের করা গবেষণার একবছরের এই তথ্যটি সঠিন নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও গবেষকবৃন্দ। তাদের দাবী, প্রকাশিত প্রায় তিনশ গবেষণা পাবলিকেশন রয়েছে নোবিপ্রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
গত ৩ জানুয়ারি (সোমবার) একটি জাতীয় দৈনিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক আচার্য বরাবর দেয়া বার্ষিক প্রতিবেদনের বরাত
নোবিপ্রবির গবেষণা সংক্রান্ত এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে৷ বার্ষিক এত কম সংখ্যক গবেষণা হওয়ায় নানামুখী ট্রলের শিকার হয় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত তথ্যটি সঠিক নয় বলে এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকবৃন্দ। তাদের দাবী, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অনেকেই গবেষণা কাজের সাথে জড়িত। ২০২০ সালে তাদের গবেষণা পাবলিকেশন এর সংখ্যা প্রায় তিন শত বলে জানিয়েছেন।
ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ও স্কোপাস জার্নালের রিভিউয়ার অধ্যাপক ড.শফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছরে নোবিপ্রবি শিক্ষা ও গবেষণায় অসাধারণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অনেক শিক্ষক দিনরাত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ২০২০ সালে স্কোপাস জার্নালে আমাদের ১৭৪ টি আর্টিকেল প্রকাশ হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য জার্নালে শতাধিক আর্টিকেল প্রকাশ হয়েছে।
এছাড়াও পরের বছর ২০২১ সালে স্কোপাস জার্নালে ২৯৭ টি আটিকেল পাবলিশড হয়েছে এবং অন্যান্য জার্নালে ১৫০ এর অধিক আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম।
এই গবেষক আরো বলেন, সম্প্রতি একটি জাতীয় পত্রিকায় ২০২০ সালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ২ টি আর্টিকেল প্রকাশ হয়েছে এমন সংবাদ দেখেছি। যা একজন গবেষক হিসেবে আমাকে খুবই অবাক করেছে। আমি নিজেও ২০২০ সালে স্কোপাসে ১৪ টি সহ মোট ১৬ টির মতো আর্টিকেল প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছি। ২০২১ সালে স্কোপাসে ২২ টি সহ মোট ২৫ টি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে জাতীয় গণমাধ্যমগুলো আমাদের এই অর্জনগুলো সঠিক ও নির্ভুলভাবে প্রকাশ করলে আমরা আরো বেশি অনুপ্রানিত হতাম। প্রকাশিত সংবাদপত্রটি সঠিক তথ্যের মাধ্যমে তারা তাদের এই ভুল সংশোধন করে নিবেন বলে আমি আশাবাদী।
বছরে মাত্র ২ টি আর্টিকেল পাবলিশ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.মো.দিদার-উল-আলম বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই আমি শিক্ষা ও গবেষণায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। গবেষণায় নোবিপ্রবিকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। করোনা মহামারিতেও আমাদের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম বন্ধ ছিলো না। করোনা ল্যাবে আমার শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা অক্লান্তভাবে কাজ করে গেছে। যার ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকর্ম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রথম সারির জার্নাল সহ বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ২০২০ সালের আর্টিকেল প্রায় ৩০০ এবং ২০২১ এ এই সংখ্যা সাড়ে চার শতাধিকে পৌঁছেছে। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সংখ্যা নিয়ে এমন তথ্য বিভ্রান্তিকর। কিসের ভিত্তিতে এটা করা হয়েছে আমার জানা নেই। আশা করি গণমাধ্যম গুলো সঠিক ও সত্য তথ্য তুলে ধরবেন এবং প্রকাশিত সংবাদ যাচাই বাছাই করে সংশোধন করে নিবেন।
এমএসএম / এমএসএম

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর

শিক্ষা ভবন অভিমুখে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা আজ

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের দায়িত্বে ইমন-সোহান

নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যের শিকার শিক্ষার্থীরা, মাত্র ৮ শতাংশ শিক্ষক জবিয়ান

ইউনিসেফের ‘জেনইউ’ প্রোগ্রামে যুক্ত হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

খাতা দেখা শেষ, ১৮ অক্টোবরের আগেই এইচএসসির ফল

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত
