ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

বগুড়া শেরপুর থেকে বিলুপ্তপ্রায় খেজুর গাছ


শেরপুর প্রতিনিধি   photo শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৫-১-২০২২ দুপুর ৪:৪৩

বগুড়ার শেরপুর থেকে প্রায় বিলীন হয়ে গেছে খেজুর গাছ, সেই সাথে খেজুরের রসও। রসের জন্য এখন ধৈর্য দরে অপেক্ষা করতে হয় অন্য কোনো এলাকা থেকে বিক্রি করতে আসা খেজুর রস বিক্রেতাদের জন্য। উপজেলার বিশালপুর, ভবানিপুর, সীমাবাড়ী, মির্জাপুর, কুসুম্বি এবং গাড়ীদহ এলাকায় প্রচুর খেজুর গাছ ছিল, যা থেকে এলাকার মানুষের খেজুর রসের চাহিদা মিটত।

পাঁচ বছর আগেও শীতের শুরু থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য খেজুর গাছ কাটার ধুম পড়ে যেত। তবে  বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে কমে যাওয়ায় এই ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। তারপরও গাছিরা এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করেন। শীত এলেই খেজুর গাছ খুঁজে বেড়ান গাছিরা। এরপর গাছ কেটে পুরো মৌসুমে খেজুরের রস সংগ্রহ করেন। এক সময় গ্রামের অনেক বাড়িতেই রাস্তার পাশে তাল ও খেজুরের গাছ ছিল। বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। তাই আগের মতো তেমন রস সংগ্রহ করতে পারেন না গাছিরা।

শেরপুর উপজেলার তালপট্টি গ্রামের গাছি নজরুল বলেন, বর্তমানে যে হারে খেজুর গাছ হারিয়ে যাচ্ছে, তাতে এক সময় হয়তো আমাদের এলাকায় খেজুর গাছ থাকবে না। বাড়তি জনসংখ্যার কারণে মানুষ এখন গাছ কেটে বসতবাড়ি তৈরি করছে।

শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের ঘোলাগাড়ী, সাধুবাড়ী এলাকার জনৈক এক গাছি বলেন, খেজুরের রস দিয়ে নানারকম পিঠা তৈরি করা হয়। খেজুর গাছ ৫-৬ বছরের হলেই গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করা যায়। কার্তিক মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত রস আহরণ করা হয়। তবে যত শীত বেশি পড়ে গাছ থেকে তত বেশি রস পড়ে। কিন্তু এখন রস পাব কোথায় ? গাছই তো নেই! কালের পরিবর্তনে এলাকা থেকে বিলীন হয়ে গেছে খেজুর গাছ। আগে রাস্তার ধারে ড্রেনের ধারে সারিবদ্ধভাবে খেজুর গাছ দেখা যেত। কাঠ ব্যবসায়ীরা গাছগুলো কেটে দিয়েছে ইটভাটায় আর কিছু গাছের জায়গাজুড়ে উঠেছে নতুন ঘর-বাড়ি। ওই সব গাছ থেকে গাছিরা রস সংগ্রহ করে পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করত। শীত এলেই খেজুরের রসের চাহিদা দেখা যায়। এখন সেই সুস্বাদু খেজুরের রস কেনার জন্য উপজেলার লোকজনদের খুঁজে বেড়াতে হয় রস বিক্রেতাদের। ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হলে পতিত জায়গায় ও রাস্তার ধারে খেজুর গাছ লাগানোর বিকল্প নেই বলে মনে করেন এলাকার সূধীজনরা।

শেরপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌসী জানান, আগে পতিত জমি ছিল। সেখানে অবহেলা ও অযত্নে  খেজুর  গাছ জন্মাত। গ্রামীণ রাস্তার পাশেও সারিবদ্ধভাবে খেজুর গাছ দেখা যেত। সেসব গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করত। ওই খেজুর গাছ থেকে বাংলার নবান্ন উৎসবের জন্য গাছিরা রস আহরণ করত। মানুষের মধ্যে অসচেতনতার কারণে মানুষ গাছ কাটলেও গাছ আর লাগায় না। অন্তত পরিবেশের ভারাসাম্য রক্ষায় প্রতিটি সড়কের পাশে ও খালি জায়গায় খেজুর গাছ লাগানো উচিত।

শাফিন / জামান

ভূঞাপুরে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন সভা

রাণীশংকৈলে পুলিশের ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত

সবুজে ঢেকে যাক কালকিনি: পরিবেশ রক্ষায় আনসার-ভিডিপি’র অঙ্গীকার

অভয়নগরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত -১

তানোরে ব্যাক ডেট ও জালিয়াতি নিয়োগের তদন্তে হাজির হননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন

চট্টগ্রামে নেক্সাস ফেস্ট-২০২৫ সম্পন্ন

পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে: জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান

শ্রীপুরে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

অনার্সের খাতা দেখেন কলেজ হোস্টেলের গার্ড !

মানিকগঞ্জে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারী আটক

কাপাসিয়া 'ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় হাইলজোরে' অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত