সাতকানিয়ায় ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনায় নিহত ১
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণাকালীন গোলাগুলি ইটপাটকেল ছোড়ানোর ঘটনায় আনোয়ার আলী (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়ছে। উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে (চাঁদেরপাড়া বড় পুকুরপাড়) এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আনোয়ার আলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কুন্ডকুল এলাকার মৃত কালু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আনোয়ার আলী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াসের (বর্তমান চেয়ারম্যান) চাচাতো বোনের দেবর। প্রচারনা চলাকালীন নৌকার প্রার্থী আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে ইটপাটকেল ছোড়া ও গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় নিহতের গায়ে ইটের আঘাত লাগলে আবস্থা খারাপ দেখে তাকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাড়ায় ঢুকিয়ে ফেললে পরে ঢুকিয়ে ফেলার প্রায় ২ ঘন্টা পরে সংবাদ কর্মী আর পুলিশি পাহারায় তাকে (স্বতন্ত্র প্রার্থী) ইলিয়াসের সম্মুখেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী টিপু বলেন-আমরা শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলাম, আর আজকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বহিরাগত লোক এনে আমার বাড়িতে ইলিয়াসহ তার অনুসারীরা হামলা চালায় তাদের হামলায় আহত হয় আমার অনুসারীসহ বেশকয়েকজন। তবে আজকের হামলার এই বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াসের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বলেন, ধর্মপুরের ঘটনায় ১জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি তদন্তের কাজ চলমান- এ বিষয়ে তদন্ত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে স্থানীয়রা আরো জানান-ইটের আঘাতে আহত আনোয়ারকে চিকিৎসা না করিয়েই অনেকটা মৃত্যুর পথে পতিত করা হয়।এদিকে ঘটনার এক ঘন্টার পরেও মূল স্পটে পৌঁছাতে পারেনি অনেক সংবাদ কর্মী। স্বতন্ত্র আর নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর তলোয়ার দা ছুরি নিয়ে ধাওয়া করায় গণমাধ্যম কর্মীরাও এক পর্যায়ে পিছু হটে।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, নৌকার মনোনয়ন না পাওয়াতে বর্তমান চেয়ারম্যান ইলিয়াসের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শহিদুল হক বাবুসহ অফিস ভাংচুরের একাধিক অভিযোগ ওঠেছে বিভিন্ন সময়। তবে এই অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়ে ইলিয়াস চেয়ারম্যান বলে আসছিলেন আমার জনপ্রিয়তাই ঈর্ষান্বিত হয়ে নৌকার সমর্থকরা এই কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলো।
এমএসএম / প্রীতি