খুলনা করোনা হাসপাতালে আরো ৭ মৃত্যু : নতুন শনাক্ত ১১১
খুলনা অঞ্চলে করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বমুখীভাব নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। সংক্রমণ বাড়ায় মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনার ১৩০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইসিইউতে রয়েছেন ১৯ জন। বুধবার (১৬ জুন) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৫৯ জন রোগী। হাসপাতালে মৃত্যুদের মধ্যে পাঁচ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন ও দুই জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকালে এসব তথ্য দিয়েছেন করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং ২ জন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ছাড়া হাসপাতালে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৫৯ জন রোগী ভর্তি ছিল। যার মধ্যে রেড জোনে ১০১ জন, ইয়েলোস্টোনের ২৯ জন, এইচডিইউতে ১০ জন এবং আইসিইউতে ১৯ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন।
খুলনা করোনা হাসপাতালের দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে খুলনার পাইকগাছার মৃত ইব্রাহিম গাজীর ছেলে আবুল কাশেম (৭৩), যশোর অভয়নগরের আদিত্য দত্তের ছেলে বিষ্ণু দত্ত (৫৬), খুলনার রূপসা কাজদিয়ার ইয়াকুব আলী গাজীর ছেলে ইদ্রিস আলী গাজী (৬০), ফুলতলার কসবার মৃত কাজী বেলায়েত হোসেনের ছেলে হাসিনা বেগম (৭৮) ও ফুলতলার শাহিনুর (৪০)। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বুধবার রাতে খুমেক পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় ১১১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৩৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১০০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া বাগেরহাট ৩ জন, যশোরের ২ জন, সাতক্ষীরার ৩ জন, ঝিনাইদহের একজন, নড়াইলের একজন ও মাগুরা জেলার একজন রয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খুমেকের পিসিআর মেশিনে মোট নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৮.৯১ শতাংশ।
জামান / জামান