রাণীশংকৈলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে দিশাহারা মানুষ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নিত্যপণ্যসামগ্রীর দাম লাগামহীন বৃদ্ধিতে খেটে খাওয়া মানুষের পাশাপাশি হতাশ হয়ে পড়েছে মধ্যবিত্তরাও। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি কাঁচাবাজার শিবদীঘি পৌর মার্কেটে সরেজমিন পর্যবেক্ষণকালে সাধারণ নিম্নআয়ের লোকজনসহ মধ্যবিত্তরাও এ প্রতিবেদককে জানান, যেভাবে হু হু করে নিত্যপণ্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে নুন আনতে তৈল ফুরিয়ে যায়।
বিশেষ করে ভোজ্যতেল সয়াবিন তেলের দাম হঠাৎ করে লাফিয়ে লাগামহীন বৃদ্ধিতে খেটে খাওয়া মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে খোলা সোয়াবিন তেল ১৭০-১৮০ টাকায় প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে। পাম তেল খোলা ১৬০ টাকা প্রতি লিটার। চাল মোটা ৪০-৪৫ টাকা কেজি, চিকন আটাশ ৫০-৫৫ টাকা কেজি, মসুর ডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি, আটা খোলা ৩২-৩৫ টাকা কেজি, ময়দা ৩৬ টাকা কেজি, বুটের ডাল ৭৫ টাকা কেজি, চিনি ৮০ টাকা কেজি, বোতলজাত সয়াবিন তেল পূর্বের দাম ১৬০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পৌর বাজারের আলম জানান, এভাবে প্রতিটি খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে যারা চাকরিজীবী তাদের জন্য ঠিক আছে কিন্তু যারা দিনে আনে দিনে খায় তারা পড়েছে বিপাকে।
অন্যদিকে নিম্নআয়ের রহিম বলেন, যেভাবে নিত্যপণ্যসহ খাদ্যদ্রব্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে ৫০০ টাকা মজুরি পেয়েও কুলানো যাচ্ছে না তাই সরকারের বাণিজ্য ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের নজর দেয়া অতিজরুরি।
এছাড়া এসব নিত্যপণ্যসামগ্রীর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে পৌরবাজার কমিটির কার্যকারী সদস্য তাহেরুল এ প্রতিবেদককে বলেন, এসব নিউজ করে যদি সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং করে তাহলে হয়তোবা কিছুটা হলেও হতদরিদ্রদের কষ্ট লাঘব হবে।
এদিকে হু হু করে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে এলাকার সচেতন মহল মত প্রকাশ করেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদারতের মাধ্যমে জরুরিভাবে তদারকি আব্যশক।
এমএসএম / জামান