ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় হামলার শিকার উপাচার্যসহ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় ধর্ষকদের বিচার চাওয়ার জেরে এবার স্থানীয়দের কর্তৃক হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব। তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ঘিরে ফেলে হামলা থেকে রক্ষা করেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শিক্ষকসহ অনেকেই আহত হন। আহত শিক্ষার্থীদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।এর আগে, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করার দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে বিকেল ৫.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬.০০ টার মধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দুই দফায় হামলা করে স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫.০০ টায় প্রথম দফায় ঘোনাপাড়ায় এবং পরবর্তীতে সন্ধ্যা প্রায় ৬.০০ টার দিকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরেই শিক্ষার্তীদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা। দুই দফায় হামলায় প্রায় শতাধিক শিক্ষক শিক্ষার্থী আহত হয়। হামলার পরও সন্ধ্যায় স্থানীয় মসজিদের মাইকে শিক্ষার্থীদের উপর আবারো হামলার জন্যে প্রস্তুত থাকার ঘোষণা দেয় এলাকাবাসী।একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিকেল পাঁচটার দিকে আন্দোলন স্থান থেকে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ভিসি ঘটনা স্থান ত্যাগ করলে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে আন্দোলন থেকে সরে যেতে বলেন এবং ছাত্রলীগ কর্মীদের আন্দোলন থেকে চলে যেতে ঘোষণা দেয়। পরক্ষণেই পাশ থেকে ইট, লাঠি, বর্শা হাতে এক দল এসে হামলা শুরু করে।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড.একিউএম মাহবুব, প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. হাসিবুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকরাও হামলার শিকার হন।হামলার ঘটনা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বা পুলিশের মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
হামলার আগে, বেলা ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.একিউএম মাহবুব, প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুর রহমান এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
পরবর্তীতে, দুপুর আড়াইটায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকাসহ কর্মকতারা।তারা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেয়ার অনুরোধ করেন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার সঙ্গে সহমত পোষণ করা হয়।
শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেন। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিয়াস সিকদার (২২), অন্তর (২১) ও জীবনকে (২০) আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।এদিকে, অন্তর ও জীবন নামে দু’জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে আটকের ঘটনায় শহরের অন্যান্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নবীনবাগে রাস্তার ওপর আবর্জনা ফেলে অবরোধ করে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।ধর্ষকের বিচারের দাবিতে ভোর থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এমএসএম / এমএসএম

কম্বাইন্ড ডিগ্রি দাবিতে অচলাবস্থা, উদ্বেগে বাকৃবির পশুপালন অনুষদের শিক্ষকরা

ইবিতে আ'লীগপন্থী শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চবি মেডিকেলে প্যাথলজি বিভাগ উদ্বোধন, করানো যাবে ২১ ধরনের পরীক্ষা

ইবিতে (ইকসু)গঠনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

জাকসুতে শিবির ও বাগছাসের প্যানেল ঘোষণা, বিলম্ব ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের

জকসু নীতিমালা জমা আজ আগামী বুধবার বিশেষ সিন্ডিকেট সভা

চাঁদাবাজির ঘটনায় আলোচিত সেই আফ্রিদির বিরুদ্ধে মানহানীর অভিযোগ

জবি রোভার স্কাউটের বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

গকসু নির্বাচন: গঠনতন্ত্র ভেঙে ‘একক প্রার্থী বানানোর খেলা’, পণ্ড বৈঠক

১২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিটিসিএলের আড়াই কোটি টাকার বিল বকেয়া

ইবিতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা: ভিপি আবিদুল, জিএস হামিম, এজিএস মায়েদ
