সোনালী ঐতিহ্য লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা প্রায় বিলুপ্তির পথে
কুড়িগ্রামের উলিপুরে কালের বিবর্তনের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের সোনালী ঐতিহ্য লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা। নেই কৃষকের মনে আর পুরনোদিনের মত আনন্দ।
আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে হাল চাষের পরিবর্তনে এখন ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করার প্রচলন এসেছে। এক সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে কৃষক গরু পালন করতো হাল চাষ করার জন্য। আবার কিছু মানুষ গবাদিপশু দিয়ে হাল চাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে ছিলেন। আবার অনেকে তিল, সরিষা, কলই, আলু চাষের জন্য ব্যবহার করতেন গরুর হাল চাষ। নিজের সামান্য জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতে হাল চাষ করে তাদের সংসারের ব্যয়ভার বহন করত। হালের গরু দিয়ে জমি চাষ করে ফিরে পেত তাদের পরিবারের স্বচ্ছলতা। তাই অনেক চাষীরা বর্তমানে এই গরু দিয়ে হাল চাষের পেশা ছেড়ে বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা। লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ এখন শুধুই স্মৃতি।
এক সময় দেখা যেত সেই পাখি ডাকা ভোরে কৃষকরা গরু ও কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে বেরিয়ে যেত মাঠের জমিতে হাল চাষ করার জন্য। নিজের সামান্য জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতে হাল চাষ করে তাদের সংসারের ব্যয়ভার বহন করতো। হালের গরু দিয়ে দরিদ্র মানুষ জমি চাষ করে ফিরে পেতো তাদের পরিবারের সচ্ছলতা।
কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে সব কিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে। এখন আর চোখে পড়ে না সে দৃশ্য। ফলে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গরু, মহিষ, লাঙ্গল ও জোয়াল দিয়ে জমিতে হাল চাষ।বর্তমানে আধুনিকতার স্পর্শে ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়াও লেগেছে কৃষিতে। তাই আর সকালে কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যেতে আর তেমন দেখা যায় না কৃষকদের।
কৃষক মোঃ আশরাফ আলী খন্দকার বলেন, পড়া লেখা না করায় ছোটবেলা থেকেই হাল চাষের কাজ করতাম। বাড়িতে হাল চাষের জন্য বলদ গরু ছিল এক জোড়া। আর মহিষ ছিলো এক জোড়া। চাষের জন্য দরকার হতো একজোড়া বলদ, কাঠের তৈরি লাঙ্গল, বাঁশের তৈরি জোয়াল, মই, লরি ও গরুর মুখে টোনা ইত্যাদি। আগে গরু দিয়ে হাল চাষ করলে জমিতে ঘাস কম হতো। অনেক সময় গরুর গোবর জমিতে পড়তো। এতে করে জমিতে অনেক জৈব সার তৈরি হতো। ক্ষেতে ফলন ভালো হতো। এখন নতুন নতুন আধুনিক বিভিন্ন মেশিন এসেছে। সেই মেশিন দিয়ে এখানকার লোকজন জমি চাষাবাদ করে। তাই এখনো গরু, মহিষ, লাঙ্গল ও জোয়াল নিয়ে জমিতে হাল চাষ করা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।
তিনি আরও বলেন, বহুবছর থেকেই হাল চাষের কাজ করতাম লাঙ্গল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ জমি চাষ করতাম কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ। তবে ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার থেকে গরুর লাঙ্গলের চাষ গভীর হয়। জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি ও ফসলের চাষাবাদ করতে সার, কীটনাশক কম লাগতো। দিনে দিনে এভাবেই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। এখন সেই দিন গুলি শুধু স্মৃতি আর স্মৃতি।"
এমএসএম / এমএসএম
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ
পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র
জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা
মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল
এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী
বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা
কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী
রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী
বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
ত্রিশালে জেঁকে বসেছে শীত, ফুটপাতে জমে উঠেছে বিক্রি
৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে কুমিল্লা -৬ আসনে জামায়াত নেতা দ্বীন মোহাম্মদ শোভাযাত্রা
আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে এ দেশের ছাত্র জনতা -মিয়া গোলাম পরওয়ার
সন্দ্বীপে ৫ শতাধিক পরিবারের চলাচলে স্বস্তি
Link Copied