ঢাকা শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

শ্রীপুরে শিশু শিক্ষায় উৎসব

প্রি-প্রাইমারি খুলে দেয়ার দাবি অভিভাবকদের


নাঈম মেহেদী, শ্রীপুর photo নাঈম মেহেদী, শ্রীপুর
প্রকাশিত: ২-৩-২০২২ বিকাল ৬:১৮

গাজীপুরের শ্রীপুরে বিভিন্ন শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার শিশুদের পদচারণায় উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া শিশুরা আবার তাদের আঙিনায় ফিরে আসায় অভিভাবকরাও যেন হাঁফছেড়ে রক্ষা পেয়েছেন। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মোবাইল নিয়ে সময় কাটানো, ক্ষতিকর গেমসহ নানাভাবে শিশুরা বিপথগামী হচ্ছিল। বিদ্যালয় খুলে দেয়ায় শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকরা খুশি হয়েছেন সবচেয়ে বেশি।

শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, সকালে প্রচলিত নিয়মে শিশুরা জাতীয় সঙ্গীত ও শারীরিক কসরত শেষে শ্রেণিকক্ষে আসন নিয়ে বসেছে। বিরতির সময় মাঠে সহপাঠীরা একত্রে নানা ধরনের খেলাধুলায় অংশ নিয়েছে। অভিভাবকরা কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতে সঙ্গ দিয়েছেন।

শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ইসমতআরা জানান, প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত ও শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীর মুখোমুখি হওয়া ছাড়া পড়াশোনায় গতি থাকে না।

বনখড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াদ জানায়, অনেকদিন পর বিদ্যালয়ে আসতে পেরে নিজেকে সে প্রফুল্ল বোধ করছে। সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংস্পর্শে এসে তাদের খুব ভালো লাগছে।

একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিফাত, সজীব জানায়, বিদ্যালয় ছুটিকালীন যেসব বন্ধুর সাথে দেখা-সাক্ষাৎ এমনকি কথাও হয়নি, তাদের সাথে আবার শ্রেণিকক্ষে বসে পাঠ শোনা, মাঠে দৌড়ানো, খেলাধুলা নতুন করে তাদের আন্দোলিত করেছে।

একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লামিয়ার মা জামিনা আক্তার বলেন, শ্রেণি পাঠ বা বাড়ির কাজ না থাকলে শিশুরা বাড়িতে বা বাসায় পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে চায় না। প্রি-প্রাইমারিও খুলে দেয়া জরুরি।

আফছানার মা আমেনা খাতুন বলেন, করোনা সংক্রমণে দীর্ঘদিনের বিদ্যালয় ছুটি প্রমাণ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত না থাকলে শিশুদের পড়াশোনায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না।

বনখড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরতী রাণী দেবনাথ বলেন, বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ১৬৮ জন। তাদের মধ্যে প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। 

শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, দুই শিফটেই পাঠদান শুরু হয়েছে। বিদ্যালয় খুলে দেয়ার আগেই বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে পঠন-পাঠনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

কেওয়া দক্ষিণখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় খোলার কয়েক দিন আগে থেকেই শ্রেণিকক্ষ, বসার আসনগুলো ঝাড়মোছ করে পঠন-পাঠনের উপযোগী করা হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রাত্যহিক জীবনে সুন্দর একটি পরিবেশে আবার শিক্ষার পরিবেশ ফিরে এসেছে।

গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, তিনিও বিদ্যালয় খোলার এ‍ই দিনে হারবাইদ, নন্দীবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যালয় খুলে দেয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই খুব খুশি। অভিভাবকরা প্রি-প্রাইমারি শাখাটিও খুলে দেয়ার দারি করেছেন।

তিনি জানান, গাজীপুর জেলায় ৭৮১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪ হাজার ৯৩৫ জন শিক্ষক ও ১ লাখ ৬৯ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।

এমএসএম / জামান

কোটালীপাড়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা

টেকনাফের বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান

লাকসামে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ কাউন্সিল’২৫ অনুষ্ঠিত

শেরপুরে বন্যহাতির তান্ডবে আমন খেত নষ্ট: দিশেহারা কৃষকেরা

মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি" শীর্ষক প্রতিবাদকে সামনে রেখে স্থানীয় গ্রামবাসী ও যুবসমাজের উদ্যোগে আলোচনা

বাউফলে স্প্রেইড হিউম্যানিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন,স্বৈরাচারের বিচার দৃশ্যমানকরে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবেঃ এটি এম মাসুম

তানোরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম

সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল সাইকেল আরোহীর

ঝামায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মুকসুদপুর প্রেসক্লাব ৩ সদস্যকে ত্রুেস্ট ও পরিচয়পত্র প্রদান

নাগরপুরে পাকুটিয়া ইউনিয়নে বিএনপি নেতাকর্মীদের লিফলেট বিতরণ

পাটগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু