উলিপুরে আলু চাষিরা হতাশায় আলুর বাজার ধস নামায়
কুড়িগ্রামের উলিপুরে এ বছর ব্যাপক আলুর ফলন হওয়ায় বাজারে আলুর দামের ধস নামায় বিপাকে পড়েছেন আলু চাষিরা।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকায় প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ একর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছে। তিস্তা নদীর খেওয়া গুলোর মধ্যে থেতরাই পানিয়ালের খেওয়া, ভোলার খেওয়া, নাগড়াকুড়ার খেওয়া, কাজির চকের খেওয়া ও জিগাতলার খেওয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায় বস্তা ময় বস্তা আলু নিয়ে আলু চাষিরা বসে আছে বিক্রি করার উদ্যেশ্যে। এলাকা গুলোর মধ্যে গোড়াই পিয়ার, কদম তলা, জুয়ান সতড়া, থেতরাই, হোকডাঙ্গা, নাগড়াকুড়া, নন্দুনেফড়া, শুকদেবকুন্ড, বজরা, সাতালস্কার সহ আরও অনেক এলাকা ঘুরে দেখা যায় আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আলু নিয়ে বিপাকে পরেছে আলু চাষিরা। আলু চাষিরা বলেন আলুর অনেক দাম কমে গেছে। আলু রাখতে পারতেছিনা বেঁছতেও পারতেছিনা।
আলু চাষিদের মধ্যে রুহুল আমীন, বাবলু, নুরুজ্জামান, জলিল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, আনারুল, শফিকুল, চাঁদ মিয়া, রবিয়াল, আশরাফুল, কাদের, ছবুর, নূরমোহাম্মদ, নুরু মিয়া, নুরুল আমীন, রঞ্জু মিয়া সহ আরও অনেকে বলেন এবারে গত বছরের তুলনায় আলুর ফলন অনেক বেশি হয়েছে কিন্তু আলুর বাজারের ধস নামায় আমরা অনেক বিপাকে আছি। তারা বলেন আমাদের আলুর মন প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৫০০ টাকা কিন্তু বর্তমান আলুর বাজার মন প্রতি ৩৭৫ টাকা। মন প্রতি ১২৫ টাকা লস হচ্ছে। এ লস আমাদের কে জোগান দিবে। তারা আরও বলেন আমাদের শতাংশ প্রতি আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন মন। এবং শতাংশ প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৫০০ টাকা। এখন বাজারে বেঁচতে হচ্ছে প্রতি মন ৩৭৫ টকা।
আলু ব্যাবসায়ী রফিকুল ইসলাম (অবঃ প্রাপ্ত সেনাবাহিনী) বলেন এবারে আলুর অনেক ফলন হয়েছে। আলুর বাজার ধস নামায় অন্যান্য ব্যাবসায়ীরা আলু বাজারে বিক্রি না করে কোল্ড ষ্টরে রাখতে ব্যাস্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন আমাদের উপজেলায় কোল্ডষ্টর না থাকায় আমাদের আলু মজুদ করে রাখা অনেক কষ্টকর। অন্য উপজেলার কোল্ডষ্টর আলু নিতে চাচ্ছে না। তাই আমরা যারা ব্যাবসায়ী ও আলু চাষি আছি সবাই বিপাকে পরেছি।
উক্ত আলু চাষিরা ও আলু ব্যাবসায়ীরা বলেন সরকারের উদ্যেগে যদি তিস্তা নদী পারাপারের জন্য থেতরাই পানিয়ালের ঘাটে একটি ব্রিজ তৈরি এবং নদী বেষ্টিত এলাকায় কোল্ডষ্টরে স্থাপনের উদ্যেগ নিত তাহলে আমাদের অনেক উপকার হত। নিজ উপজেলায় কোল্ডষ্টর হলে আমাদের যান বাহন খরচ কম লাগত আমরা পুসিয়ে নিতে পারতাম।
উপজেলার কৃষি অফিসের উপ-সহকারী জনাব মোস্তফা কামাল বলেন, এবারে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা আলু চাষিদের শুরু থেকে বিভিন্ন রকমের রোগবালাই সম্পর্কে অবগত করিয়েছি। তিনি বলেন আমাদের উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিস থেকে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন জাতের সানসাইন গোল আলুর বীজ দিয়েছি যা বাজারে অধিক রপ্তানি যোগ্য। এ আলুতে রয়েছে অনেক ক্যারটিন পুষ্টি। যা মানুষের শরিরের পুষ্টির ঘাটতি পুড়ন করে। সানসাইন গোল আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে যা আলু চাষিদের মাঝে ব্যাপক সারা পড়েছে।"
এমএসএম / এমএসএম
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ
পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র
জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা
মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল
এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী
বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা
কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী
রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী
বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
ত্রিশালে জেঁকে বসেছে শীত, ফুটপাতে জমে উঠেছে বিক্রি
৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে কুমিল্লা -৬ আসনে জামায়াত নেতা দ্বীন মোহাম্মদ শোভাযাত্রা
আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে এ দেশের ছাত্র জনতা -মিয়া গোলাম পরওয়ার