মান্দায় অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের গাফিলতিতে বিপাক্ষে শিক্ষার্থী
নওগাঁর মান্দায় প্রতিষ্ঠানপ্রধান অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের গাফিলতিতে বিপাকে পড়েছেন আব্দুল বারি নামে এক শিক্ষার্থী। আব্দুল বারী উপজেলার চকউলী বহুমুখী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০১৭-১৮ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র।
জানা গেছে, আব্দুল বারি ওই বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে অষ্টম শ্রেণি পাস করেন। বিগত সময়ে পিতা-মাতার নাম ঠিক থাকলেও নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ডে পিতা-মাতার নাম ভুল করে ওই প্রতিষ্ঠান। ভুল নাম দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ২০১৭ সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায়। রেজিস্ট্রেশন কার্ডে পিতা-মাতার ভুল নাম নিয়ে ৪.০৯ পয়েন্ট পেয়ে এসএসসি পাস করেন। এরপর নাম সংশোধনের জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধান নজরুল ইসলাম ও অফিস সহকারী বাদেশ আলীর নিকট বারবার ধরনা দেন শিক্ষার্থী আব্দুল বারি। একপর্যায়ে নজরুল ইসলাম ও বাদেশ আলী নাম সংশোধনের জন্য দুই দফায় ৬ হাজার টাকা আদায় করেন। এরপরও নাম সংশোধন হয়নি। এরপর নাম সংশোধন হয়েছে কি-না সে বিষয়ে শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে ওই প্রতিষ্ঠানের ভোকেশনাল শাখা থেকে নাম সংশোধন করে ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। নাম পরিবর্তনের জন্য টাকা দিয়ে প্রায় ৪ বছর হয়ে গেলেও সংশোধন হয়নি রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ভুল নাম।
আব্দুল বারী এখন সৌদি প্রবাসী। নাম ভুলের কারণে আকামা করতে পারছেন না তিনি। আর এ কারণে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাকে। উপার্জন করতে না পারায় চরম বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন প্রবাসে। সেই সাথে আয় উপার্জন করতে না পারায় পরিবার-পরিজনও বিপাকে পড়েছে। এমন অবস্থায় গতকাল রোববার (৩ এপ্রিল) আব্দুল বারি তার বাবা শাহাজাহান আলীকে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রতিষ্ঠানপ্রধান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে প্রতিষ্ঠানপ্রধান নজরুল ইসলামের বিচারের দাবি করেছেন তিনি। ইতিপূর্বে সালেকুর নামে এক শিক্ষার্থী অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন থেকে নাম বাদ দেয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
ভুক্তভোগী প্রবাসী আব্দুল বারি জানান, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম সাধারণ শাখার শিক্ষার্থীদের ভোকেশনাল শাখায় ভর্তি করাতে ইচ্ছাকৃতভাবে অভিভাবকের নাম ভুল করান, যাতে একই শিক্ষার্থী মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সাংবাদিকের সঙ্গে কোনো কথা বলা যাবে না। যে দপ্তরে আমার অভিযোগ হয়েছে তাদের সঙ্গে আমার কথা হবে। আমার প্রতিষ্ঠানে আসতে হলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের লিখিত অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম সেখ জানান, সাংবাদিকের তথ্য সংগ্রহের জন্য আমার অনুমতি প্রয়োজন নেই। এটা অতিরঞ্জিতভাবে তিনি বলেছেন। জ্ঞান সবার সমান নয়, আপনারা তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গতানুগতিক বক্তব্য দিয়ে বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, এর আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেটা তদন্তের জন্য বলা হয়েছে। নতুন অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / জামান
মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়কে ব্যঙ্গ করে সভাপতির স্ট্যাটাস, এলাকায় উত্তেজনা
চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
রাণীশংকৈলে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে বিশেষ এ্যাডমিশন ফেয়ার এর উদ্বোধন
পাঁচ কোটির ঊর্ধ্বে তরুণ ভোটার ধানের শীষে ভোট দেবে: নিতাই রায় চৌধুরী
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি থেকে গণপদত্যাগ
সিডিএতে চাকুরী নিশ্চয়তা দিয়ে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
নিজের অহমিকা বিসর্জন দেয়াই শ্যামাপূজার মূলশিক্ষা:রণী
পুলিশ পরিদর্শক থেকে সহকারী পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেলেন খন্দকার রুহুল আমিন
ডাকাতিয়ার পাড়ে অধিগ্রহণ হচ্ছে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের ৩০ একর জমি
মোহনগঞ্জে দাড়ি নিয়ে কটাক্ষের অভিযোগ তুলে হিন্দু যুবককে জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন
ধামরাইয়ে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা বাড়ি-ঘর ভাঙচুর