ঢাকা সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কলাপাড়ায় আদালত চত্বরে বাড়ছে টাউট-বাটপার ও দালালদের দৌরাত্ম্য


হাবিবুর রহমান মাসুদ, কলাপাড়া photo হাবিবুর রহমান মাসুদ, কলাপাড়া
প্রকাশিত: ৬-৪-২০২২ বিকাল ৬:১৫

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লতাচাপলি ইউনিয়নের মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের মোতালেব মুসুল্লীর ছেলে মিজান মুসুল্লী (৩২)। তিন ভাই-বোনের মধ্যে মিজান সবার বড়। বাবা একজন আদর্শবান মাদ্রাসা শিক্ষক। বিনা পুঁজির রমরমা দালালি ব্যবসা করে আর্থিকভাবে লাভবান এখন মিজান। শুধু মিজান একা নয়, তার মতো বেশ কয়েকজন বিনা পুঁজির এ দালালি ব্যবসা করে এখন লাভবান। প্রতিদিন আদালতে এসে বেঞ্চ থেকে দায়েরকৃত নালিশী মামলা ও পুলিশ শাখা থেকে থানায় রেকর্ড হওয়া নতুন মামলার কপি সংগ্রহ করে এরা। এরপর আসামির নামের তালিকায় থাকা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে সম্পর্ক গড়ে পরবর্তীতে ফায়দা হাসিল করে।

আদালত ও বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, মিজান মুসুল্লীসহ বেশ কয়েকজন আদালতের কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারী নন। আদালতের কার্যতালিকায় প্রতিদিন তাদের বিরুদ্ধে মামলাও নেই। এরপরও প্রায় প্রতিদিনই আদালত চত্বরে দেখা যাচ্ছে তাদের। মাঝেমধ্যে বিচারপ্রার্থী মানুষকে সাথে নিয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী, নকলকারক ও পুলিশ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলতে দেখা যায় এদের। কখনো মামলার কপি হাতে বিচারপ্রার্থী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলেন এরা। কখনো বিচারপ্রার্থী মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গুনতে দেখা যায় তাকে। এছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ব্রাদার ও থানার বকশির সাথেও আলাপচারিতায় দেখা যায় তাদের। এরা সংখ্যায় একজন নন, আদালত চত্বরে বেশ কয়েকজনকে প্রতিদিন এভাবে দেখা যায়। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিজান মুসুল্লীর এ প্রতিনিধিকে বলেন, আসন্ন লতাচাপলি ইউপি নির্বাচনে মুসুল্লীয়াবাদ ওয়ার্ড থেকে আমি সদস্য পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য আমার গ্রামের বিচারপ্রার্থী মানুষের সাথে দু-একদিন আদালতে যেতে হচ্ছে। এছাড়া আমার নিজেরও মামলা আছে, যার জন্য আমাকে আদালতে যেতে হয়।

কলাপাড়া আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, মিজান মুসুল্লী একজন টাউট, দালাল হিসেবে আদালত চত্বরে চিহ্নিত। তার মতো আরো বেশকজন আছে। এদের সকলকে চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

খন্দকার নাসির আরো বলেন, এর আগে বিচারকের বন্ধু পরিচয় দিয়ে হাজতি আসামির জামিন করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া দুজনকে গ্রেফতার করে টাউট আইনে মামলা দেয়া হয়েছে, যে মামলা দুটি আদালতে বিচারাধীন।  

কলাপাড়া আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, মিজান মুসুল্লী একজন দালাল। মামলার কপি নিয়ে বিচারপ্রার্থী মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জামিন করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসহায় মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেন তিনি।

আদালতের জিআরও এএসআই মো. শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মিজান মুসুল্লীকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে। যে কোনো সময় গ্রেফতারে কথাও তাকে জানানো হয়েছে।

এমএসএম / জামান

ইলিশ পাচার সিন্ডিকেট বিলুপ্ত চান ভোলার উপকূলের জেলেরা

‎ঝিনাইদহে রেলপথের দাবিতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

লামা উপজেলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

কোটালীপাড়ায় পোনা মাছ অবমুক্তকরণ

ত্রিশালে বাগান মাদরাসা পরিদর্শনে আইএমইডির মহাপরিচালক

কুড়িগ্রামে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা

সার নীতিমালা বহালের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজ তিন মাদ্রাসাছাত্রী, ২১ দিনেও সন্ধান মিলেনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনাধান-১৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে মানষিক ও শারিরীক নিযাতনেই গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা

চৌগাছায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

নাটোরের সিংড়ায় পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন