ঢাকা রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

উলিপুরের দুর্গম চরে পেঁয়াজ তোলার মহোৎসব, অল্প লাভে বিপাকে চাষিরা


আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর photo আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর
প্রকাশিত: ৯-৪-২০২২ দুপুর ১১:২৩
কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদীর দুর্গম চরে পেঁয়াজচাষিদের পেঁয়াজ তোলার মহোৎসব শুরু হয়েছে। পেঁয়াজে লাভ কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। 
 
শনিবার (৯ এপ্রিল) উপজেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকাগুলোর মধ্যে পানিয়ালের ঘাট, জুয়ান সতরা, গোড়াই পিয়ার, আমনি আষাঢ় চর, মাঠের হাট চর, গাবরে চর, টিটমার চর, শুকদেব কুণ্ডের চর, বি-রহিমের চর, বজরা খামার দামার হাট চর, সাতালস্কারের চরসহ অনেক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তিস্তার বুকে ভেসে ওঠা ১৫ থেকে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছেন চাষিরা। এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজ উঠিয়ে নিতে সারাদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন পেঁয়াজচাষিরা।
 
উপজেলার তিস্তার চরের দুর্গম এলাকার পেঁয়াজচাষিদের মধ্যে ফুলবাবু মিয়া বলেন, আমি ৮০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ লাগিয়েছি। বাম্পার ফলন হয়ে ১০০ মণ পেঁয়াজ পেয়েছি। বর্তমান পেঁয়াজের মূল্য প্রতি মণ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। উক্ত জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। বর্তমান মূল্যে ১০০০ মণ পেঁয়াজের দাম হয় ৫০ হাজার টাকা। আমার লাভ হয় মাত্র ১০ হাজার টাকা। এত সীমিত লাভে আমরা পেঁয়াজচাষিরা কিভাবে চলতে পারি? 
 
ওই পেঁয়াজচাষি আরো বলেন, মণপ্রতি খরচ ৪০০ টাকা। বর্তমানে পেঁয়াজ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। মণপ্রতি লাভ মাত্র ১০০ টাকা।
 
এছাড়াও আলহাজ আব্দুস সালাম,আব্দুল হামিদ, শাহালম, ইমদাদুল, হাফিজুর, রফিকুল, দবির, ছবর উদ্দিন, নুরু মিয়া, বকুল, চাদ মিয়া, হোসেন, জলিল, রহমুদ্দিন, খট্টু, মতিয়ার, রহমানসহ অনেকে পেঁয়াজ চাষ করেন। তারা বলেন, এখন পর্যন্ত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে কোনো ধরনের প্রণোদনা পাইনি। তবে আমাদের যদি উন্নতমানের পেঁয়াজের বীজ দিত তাহলে কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারতাম।
 
তারা আরো বলেন, পেঁয়াজ ওঠানোর জন্য কৃষি শ্রমিক পাওয়া যায় না। শ্রমিকপ্রতি ৩৫০ টাকা করে দিতে হয়, যা আমদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল। এ বছর পেঁয়াজ চাষ করে চাষিদের মাথায় হাত। চাষিরা ভেবেছিলেন রোজার আগেই পেঁয়াজ বিক্রি করে সুন্দরভাবে রোজা পালন করবেন এবং আনন্দময় ঈদ উৎসব করবেন। কিন্তু তা আর হচ্ছে না। পেঁয়াজ বিক্রি করে কিস্তির টাকাি এবং দেনা পরিশোধ হওয়াটাই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও চাষ করতে প্রচুর পরিমাণ সার, ওষুধ এবং সেচের প্রয়োজন হয়। 

উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে উন্নতমানের পেঁয়াজের বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে আদর্শ কৃষকেদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন তিস্তার চরে পেঁয়াজচাষিরা পেঁয়াজ উঠাচ্ছেন। আমাদের কৃষি অফিস থেকে যে সকল পেঁয়াজের বীজ দিয়েছে সে সকল জমিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক ফলন ভালো হয়েছে। পেঁয়াজের বাজার একটু কম থাকায় চাষিরা দুঃচিন্তায় আছেন। আশা করি পেঁয়াজের বাজার একটু ভালো হলে এসব চাষি পেঁয়াজের ভালো দাম পাবেন।

এমএসএম / জামান

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩'শ আসনে প্রার্থী দিবে জাকের পার্টি

দুর্গোৎসবের শেষ দিন পর্যন্ত প্রতিটি পূজামণ্ডপে পাহারায় বিএনপি: আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন

বাঘার খোর্দ্দ বাউসায় অতিথি পাখি নিধনের হিড়িক

দীর্ঘ এক যুগের পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মুকসুদপুরে জলিরপাড়ের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মেলা উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা মহিলা দলের কর্মী সম্মেলন ও আংশিক কমিটি ঘোষণা

তানোরে আমন ধানে কারেন্ট পোকার হানা, দিশেহারা কৃষকরা

গোপালগঞ্জে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

খালিয়াজুরীতে দুই ট্রলারে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ডাকাতি, হামলায় আহত ৩

মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত

তানোরে গীর্জার ক্রেডিট ইউনিয়ন অফিসে তালা ভেঙে চুরি

থমথমে খাগড়াছড়ি, ১৪৪ ধারা বলবৎ

বড়লেখায় জীবননাশ ও গুমের আশঙ্কায় আতংকিত ব্যবসায়ী