নরসিংদীতে সাজনার বাম্পার ফলন দামে খুশি কৃষক

নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় এবছর সাজিনার বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে সাজনার ফলন ভালো হয়েছে। এদিকে বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসের ডা. মো: আরিফুল ইসলাম জানান, মুখরোচক ও পুষ্টি গুনে ভরপুর সজিনা ডাটা। বিভিন্ন রোগের উপকার হয় এই সজিনা ডাটা খেলে ভিটামিনের অভার পূরন হয়ে থাকে। সজিনা চাষীরা স্থানীয় ভাবে বিক্রী করে,এলাকার চাহিদা পূরণ করে থাকে। এছাড়া পাইকারা ক্রয়করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে থাকে। তাছাড়া অন্যান্য বছরের ন্যায় অনেক পাইকারও এসে কিনে নিয়ে যায়। শুরুতে প্রতি কেজি সাজনার ডাটা ২৫০/৩০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমান বাজারে তা ১০০/২০০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। বলা যেতে পারে দেশের বৃক্ষাদি ফলের মধ্যে সাজনার ডাটা খুব কম সময়ের মধ্যে উপযোগী হয়ে থাকে। সাধারণত ফাগুন মাসের দিকে ফুল ধরা শুরু হলে চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে পরিপুর্ন হয়ে উঠে এবং খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়।
কৃষিপণ্যে মধ্যে এত দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্য আর কোন ফল পাওয়া যায় না বলা যায়। উঠতি সময়ে এর দাম থাকে আকাশ ছোঁয়া, সাধারণ লোকের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে থাকে না। আর এই সজিনা ডাটা খুবই অল্প সমযের ফসল হওয়ায় বছরের অন্য কোন সময় পাওয়া যায় না। পুষ্টিগুণ ও সুস্বাধু হওয়ায় যে কোন বয়সের লোক খেতে পারে। এই সজিনার ডাটার জন্যে গাছে কোন রাসায়নিক সার বা ওষুধ ব্যাবহার করতে হয় না, বিধায় ভালো জেনে সবাই আগ্রহ ভরে খেতে পারে। মৌসুমী এই সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকে বাজারে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রুপা চৌধুরী বলেন, সজিনার ডাটায় ক্যাসিয়াম, খনিজ, লবণ, আয়রনসহ প্রটিনযুক্ত, ভিটামিন এ বি সি সমৃদ্ধ; যা মানবদেহে খুবই উপকারী।
শরীরে পুষ্টির জন্যে গর্ভবতী, প্রসুতি মেয়ের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে বলে ওষুধি গুণাগুণ সম্পূর্ণ সবজি হিসাবে এর ব্যাপক চাহিদা। এছাড়া গাছের ছাল ও পাতায় রয়েছে রয়েছে অনেক ঔষধিগুণ, যা রক্ত আমাশয় প্রতিরোদের জন্যে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা বলেন , সজিনা গাছতৈরী করতে চারা লাগাতে হয় না, সাধারণত সজিনা গাছের ডাল কেটে মাটিতে পুতে দিলেই গাছ জন্মে যায়। যে কোন পতিত জমি, পুকুরের পাড়, রাস্তা-বাধের ধারে,বাড়ির আশ-পাশে, আনাচে কানাছে,ফাঁকা জায়গায় সজিনা গাছের ডাল পুতে রাখলেই, তার থেকে ধীরে ধীরে বড় গাছ হয়ে যায়।
কোন পরিচর্যা ছাড়াই প্রাকৃতিক ভাবেই বড় হয়ে থাকে। আর বছর খানেকের মধ্যেই ফুল এসে ফল ধরতে শুরু করে। বড় একাটা গাছ থেকে প্রতি মৌসুমে প্রায় ২/৩ মণ সাজনার ডাটা পাওয়া যায়। এতে প্রায় ১২/১৪ হাজার টাকা বিক্রী করা যায়। এতে কৃষকের একটা বাড়তি অর্থের আয় হয়ে থাকে।
সাজনার ডাঁটা বিক্রি করতে আসা মো: আব্দুল মালেক বলেন, পতিত জমিতে কয়েকটা সাজনার ডাটা রোপন করে ছিলাম, গত বছর লাগানো ঐ গাছে সাজনার ডাটা ধরছে,বাজারে বিক্রি করে, বেশ কিছু টাকা পেলাম, বিনা পুঁজিতে আয়টা খুবই ভালো হলো। আগামীতে আরো কয়েকটা ডাল পুতে রাখবো, এতে আরো বেশি আয় হবে। বেশ কয়েক বছর আগে এই সাজনার তেমন একটা চাহিদা ছিল না, অনেকের গাছে সর্বদা ঝুলে থাকতো কেউ নিতে চাইত না।
বিশেষ করে আমাদের এ অঞ্চলে, এখন সেই সজনার ডাটা ফুল ধরতেই পাইকাররা বাড়ি এসে আগাম গাছ চুক্তি কিনে নেয়। দামও ভালো দেয়। তবে খুচরা বাজারে বিক্রী করলে বেশি লাভ হয়।
এছাড়া বর্তমান বাজারে ভেজাল মুক্ত সবজি হিসাবে সাজনার ডাটার কদর খুবই বেশি। সাজনা চাষ বানিজ্যিক ভাবে করতে পারলে কৃষক অনেক বেশি লাভবান হবে। কারন সাজনা গাছের জন্যে কোন প্রকার অর্থ খরচ করতে হয় না। প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠে এবং ফল দেয়। সাজনার ডাটা খাদ্য হিসাবেও বেশ ভালো মুখোরোচক খাবার।
এমএসএম / জামান

গাজীপুর-৩ আসনে আলোচনায় বিএনপির ৪ প্রার্থী, একক প্রার্থী নিয়ে নিশ্চিন্ত অন্য দল

আদালতের দোতলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা হত্যা মামলার আসামির

রায়পুরে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম-১৩ আসনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষে এস এম মামুন মিয়া

চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক

জুড়ীতে কৃষ্ণনগর বাছিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে উপহার প্রদান

গাছে ঝুলন্ত লাশ, পা মাটিতে-শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রূপগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশমুখে গোলচত্বর ও ফ্লাইওভারের দাবিতে মানববন্ধন

ভূরুঙ্গামারীতে নবযোগদানকৃত কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

রাণীশংকৈলে গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫

হাটহাজারী নাগরিক সেবা নিয়ে বিপাকে পৌরবাসী। তবে কর্তৃপক্ষের দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
