পুলিশ হেফাজতে রবিউল নিহতের বিষয়টি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জিএম কাদেরের
লালমনিরহাটে পুলিশ হেফাজতে রবিউল ইসলামের নিহতের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট-৩ আসনের সাংসদ জিএম কাদের। নিহত রবিউল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর সময় তিনি এ দাবি জানান।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি কাজির চওড়া এলাকায় পুলিশ হেফাজতে নিহত রবিউল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান কাদের।
এ সময় তিনি নিহত রবিউলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, পুলিশ হেফাজতে নিহতের বিষয়টি শুধু নিহতের পরিবারের জন্য নয়, সারাদেশের জন্য একটি অশুভ সংকেত। পুলিশ হেফাজতে প্রাণ হারানো খুবই দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান উদ্দেশ্যই হলো জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেজন্য তাদের কর্মকাণ্ডে সবাই সহযোগিতা করতে চায়। কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। যদি কোনো নাগরিক কোনো বিষয়ে অভিযোগ উপস্থাপন করেন তাহলে তা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ডে মনে হয়েছে বিষয়টিকে ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। দায়িত্বশীল অফিসার হিসেবে যদি কোনো সদস্য ভুল করে থাকে তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তাহলেই জনগণকে বিক্ষুব্ধ হতে হয় না। ন্যায়বিচার মানুষের অধিকার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য সঠিক তদন্ত করা উচিত, যাতে মনে হয় পুলিশ যা করছে সেটা সঠিক।
এ সময় তিনি পুলিশের বিষয়ে পুলিশের তদন্ত করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, পুলিশ পুলিশের সহকর্মী হিসেবে তদন্তের ক্ষেত্রে এখানে নিরপেক্ষতা বিঘ্নিত হতে পারে। বিচার বিভাগীয় দায়িত্বরত মানুষকে দিয়ে তদন্ত করলে ভালো হতো।
নিহত রবিউলের পরিবার ও তার সন্তানের ভরণপোষণের জন্য ব্যক্তিগত অর্থ থেকে প্রতি মাসে ৫ হাজারটাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।এসময় জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব জাহিদ হাসান লিমন,সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব রুহুল আমিন দুদু,জেলা ছাত্র সমাজের আহবায়ক জাকিরুল ইসলাম জাকির প্রমূখ।
উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার হিরামানিক এলাকার বৈশাখী মেলায় জুয়া খেলা চলছিলো। এমন খবরে পুলিশ মেলায় অভিযান চালালে জুয়ারীরা দিকবিদিক পালিয়ে যায়।ঘটনাস্থল থেকে মহেন্দ্র নগর কাজীরচওড়া এলাকার দুলাল খানের ছেলে রবিউল খান (২৫) এবং দক্ষিণ হিরা মানিক এলাকার মৃত রসনির ছেলে প্লোল্লাদ রায়কে জুয়ায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে আটক করে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,পুলিশ আটক দুজনকে ভ্যানে উঠানোর চেষ্টা করলে রবিউল ভ্যানে উঠতে রাজি হয়নি।পরে তাকে ঘটনাস্থলে নির্যাতন করা হয় এবং সেখানে সে অসুস্থ হয়ে পরে।
পুলিশ অসুস্থ রবিউলকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবরে রাত থেকে পরদিন (শুক্রবার) দুপুরবেলা পর্যন্ত মহেন্দ্র নগর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা।এসময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করে তারা এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়।শুক্রবার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এসআই হালিমকে প্রত্যাহার করলে অবরোধ তুলে নেয় নিহতের স্বজনরা।ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য লালমনিরহাট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ আতিকুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ। তদন্ত কমিটি গঠন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা (বিপিএম পিপিএম)।
নিহত রবিউলের বাবা দুলাল খান জানান,তার ছেলে জুয়ায় সম্পৃক্ত ছিলো না। খুব দ্রুত আইনের আশ্রয় নিবেন তিনি।
এমএসএম / জামান
স্বেচ্ছাশ্রমে খেলার মাঠ সংস্কার করলো বিএনপির নেতাকর্মীরা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা
টাঙ্গাইলে অবৈধ করাতকলে উজাড় হচ্ছে বন
নারী-শিশু নিরাপত্তায় উদ্বেগ বাড়ছে রাজশাহীতে, নভেম্বরে ১৬জন নির্যাতিত
ঠাকুরগাঁওয়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের প্রতিভা বিকাশে নিভৃতে কাজ করছে গেম চেঞ্জার
জয়পুরহাটে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল
কুড়িগ্রামে শীত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস
সোনাগাজীতে রূপালী ব্যাংক থেকে ১৯লাখ টাকা উধাও
সাতক্ষীরা-২ আসনের ধানের শীষের কান্ডারী আব্দুর রউফের নির্বাচনী জনসভায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা
ভুয়া সাংবাদিক সেজে চাঁদাবাজি: সেনা অভিযানে গোপালগঞ্জে দুইজন গ্রেপ্তার
ধামরাইয়ে গ্রাম আদালত বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু
পাহাড়ের শান্তি চুক্তির ২৮ বছরেও এখনো আতঙ্ক কাটেনি
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮ বছর উপলক্ষে আলোচনা সভা
Link Copied