উলিপুরে ঈদ বাজারে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বিক্রেতারা

কুড়িগ্রামের উলিপুরে খুচরা ও পাইকারি পোশাক বিক্রেতারা ক্রেতাদের অপেক্ষায় হতাশায় দিন পার করছেন। ঈদের বাকি আর মাত্র ১০ দিন। তবে এ এলাকায় এখনো জমে ওঠেনি ঈদ বাজার। রমজানে এ উপজেলার অধিকাংশ দোকানেই ক্রেতার দেখা মিলছে না। ব্যবসা মন্দার জন্য করোনা পরবর্তী মানুষের আর্থিক সংকট ও নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিকেই দায়ী করছেন ব্যাবসায়ীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, উলিপুর সহ উপজেলার অন্যান্য এলাকায় ক্রেতা সমাগম অনেক কম। ২০ রমজান পেরিয়ে গেলেও ভাটা পড়েছে কাপড় ব্যবসায়। দোকানিদের দিন কাটছে ক্রেতার আশায়। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। দু’একজন যারা আসছেন তারা পোশাক কিনছেন সীমিত। অধিকাংশ বিক্রেতা অলস সময় কাটাচ্ছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদুল ফিতরে মানুষ সাধারণত বেশি পোশাক কেনাকাটা করে থাকে। তবে এবার নতুন পোশাকের চাহিদা অনেক কম। তাই তাদের বিক্রির পরিমাণও কম। তারা বলছেন, রমজানের শুরু থেকেই ক্রেতারা আসতে শুরু করে। ১০ রমজান থেকে বেচাকেনা জমে ওঠে। তবে এবার ক্রেতাশুন্য।
উপজেলা সদরের রানা বস্ত্রালয় নামে একটি কাপড়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাশূন্য থাকায় ৫ জন বিক্রয়কর্মী বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। এ দোকানের মালিক শাহাদাৎ হোসেন সাদা জানান, এখন বেচাকেনা খুব কম, খুব খারাপ অবস্থা।
কে আর বস্ত্রালয় শ্রী অকুল শাহ জানান, বর্তমানে আমাদের মার্কেটে কাস্টমার পরিস্থিতি খুবই কম। রমজানের এ সময়ে আপনি এখানে ক্রেতার ভিরে দোকানে দাঁড়ানোর জায়গা পেতেন না। অন্যান্য বছরে রমজানের এ সময় আমার দোকানে দৈনিক খুচরা ও পাইকারি বিক্রি ছিল ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা। এবার ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকাও বিক্রি হচ্ছে না।
অন্যদিকে সাধনা বস্ত্রালয় এর মালিক শ্যামাপদ শাহা জানান, দুই বছরতো করোনার কারণে ব্যবসার মূলধন হারিয়েছি। ভেবেছিলাম এবার কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠবো। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মালামাল ক্রয় করেছি। তবে চলতি বছরও হলো না। ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনা এখনও জমে ওঠেনি।
এদিকে কোনো কোনো দোকানে গিয়ে দেখা যায়, মন খারাপ করে বসে আছেন বিক্রেতারা। ক্রেতা সমাগম কম বলে অনেকটা মাথায় হাত তাদের। উপজেলার আলামিন বস্ত্রালয়, রেজিয়া ক্লোথ ষ্টোর, আলম ক্লোথ ষ্টোর এবং উপজেলার ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে থেতরাই, জুম্মাহাট, বজরা, কাশিমবাজার বাজারের সত্ত্বাধিকারী মাহাফুজার, আলম, মোশারফ, মাইদুল, আজগার, জামাল সহ আরও অনেকে জানান, মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি। বেচাকেনা নাই। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগের মূলধন বাদে ঋণ নিয়ে আরও লাখ লাখ টাকা লগ্নি করেছি। যা পরিস্থিতি তাতে কাপড় ব্যবসা বাদ দিতে হবে। করোনায় মানুষের আর্থিক সংকট ও নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতিকেই দায়ী করছেন এ ব্যবসায়ী। তারপরেও তারা আশাবাদী ঈদের বাজার জমজমাট হবেই।
উলিপুরের দোকান মালিক সমিতির প্রচার সম্পাদক জনাব রেজাউল করিম জানান, এবারে ঈদের বাজারে এখন পুরোপুরি ভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি। করোনার কারণে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। ঈদকে কেন্দ্র করে এ অবস্থা চলতে থাকলে আরও অনেকেই একি পথ বেছে নেবেন বলে জানান।
এমএসএম / জামান

শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নড়াইল ২ আসনের প্রার্থীর মতবিনিময়

গাইবান্ধা-৫: নদীভাঙন, চরাঞ্চল আর ভোটের লড়াই

সিংড়ায় ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ভিপি শামীমের গণসংযোগ

বোদার নিবন্ধন ছাড়া সহকারী শিক্ষক কাওছার আলীকে মাওশির শোকজ

জামায়াত-এনসিপি ও আ.লীগের এজেন্টরা পূজা মণ্ডপে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করবে' বললেন বিএনপি নেতা

রাজারহাট বিএনপির আহ্বায়ককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩'শ আসনে প্রার্থী দিবে জাকের পার্টি

দুর্গোৎসবের শেষ দিন পর্যন্ত প্রতিটি পূজামণ্ডপে পাহারায় বিএনপি: আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন

বাঘার খোর্দ্দ বাউসায় অতিথি পাখি নিধনের হিড়িক

দীর্ঘ এক যুগের পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মুকসুদপুরে জলিরপাড়ের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মেলা উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা মহিলা দলের কর্মী সম্মেলন ও আংশিক কমিটি ঘোষণা
