ঢাকা সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কলাপাড়ায় বন বিভাগের পাশেই গড়ে উঠেছে অবৈধ করাতকল


হাবিবুর রহমান মাসুদ, কলাপাড়া photo হাবিবুর রহমান মাসুদ, কলাপাড়া
প্রকাশিত: ২৩-৪-২০২২ বিকাল ৬:১

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বন বিভাগের পাশেই গড়ে উঠেছে অবৈধ করাতকল। আইনবহির্ভূতভাবে বনের পাশে স্থাপিত প্রভাবশালীদের এসব করাতকল প্রকাশ্যে চললেও প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন বিভাগের কোনো উদ্যোগ নেই। এছাড়া ফাতরা, লেম্বুর বন, গঙ্গামতিসহ উপকূলীয় এলাকার বনাঞ্চল উজাড় হয়ে আসা গাছ এসব করাতকলে চেরাই হয়ে হাতবদল হচ্ছে কাঠ ব্যবসায়ী ও ইটভাটা মালিকের কাছে। এসব নিয়ে বন বিভাগের কোনো মামলা না হলেও যত্রতত্র মামলা হচ্ছে দরিদ্র শ্রেণির মানুষের নামে, যারা শুকনা পাতা ও চুরি হয়ে যাওয়া গাছের গোড়ার অংশ ছুঁয়ে আসামি হয়ে কোর্টের বারান্দায় ঘুরছেন বছরের পর বছর। বন বিভাগের এসব মামলা থেকে আদালতের রায়ে এক সময় মুক্তি পান দরিদ্র মানুষ আর আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হন বন কর্মকর্তারা।

বন বিভাগ সূত্র থেকে জানা যায়, কলাপাড়া ও মহিপুর রেঞ্জে মোট ৭৭ টি করাতকল রয়েছে। যার মধ্যে ৪৫টির কোন বৈধতা নেই। মহিপুর রেঞ্জের ৪১ টি করাতকলের ৩৭টি অবৈধ। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের চোখের সামনে চলমান রয়েছে এসব অবৈধ করাতকল। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে রয়েছে করাতকল। 

স্থানীয়রা জানান, মহিপুর রেঞ্জের অধীন মহিপুর বন্দর, খাঁজুরা, কুয়াকাটা, গঙ্গামতি এবং ধুলাসার এলাকার সংরক্ষিত এবং সামাজিক বনায়নের আশপাশেই এসব করাতকল স্থাপন করা হয়েছে। এক শ্রেণীর প্রভাবশালী বেড়িবাঁধের বাইরে, নদীর তীরে পর্যন্ত করাতকল স্থাপন করেছে। মহিপুর, লতাচাপলী, ধুলাসার, ডালবুগঞ্জ, কুয়াকাটা, নীলগঞ্জ, হাজীপুর, মিঠাগঞ্জ, লালুয়া, বালিয়াতলীতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। কুয়াকাটাগামী মহাসড়ক ও বিকল্প সড়কের পাশের জনবহুল এলাকাসহ আবাসিক এলাকায় বসানো হয়েছে করাতকল। লালুয়ার বানাতিবাজারের অবৈধ করাতকল বন্ধে স্থানীয়রা লিখিত অভিযোগ করার পরও প্রতিকার পায়নি। এছাড়া সংরক্ষিত বনের গাছ চেরাই হয় রাতের বেলা। এজন্য রয়েছে একটি সিন্ডিকেট। 

কুয়াকাটার একাধিক পরিবেশ কর্মী জানান, কুয়াকাটায় করাতকল বসানো হচ্ছে আইন বহির্ভূত ভাবে। ফলে সংরক্ষিত বনাঞ্চল চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এমনকি বনবিভাগের ১ কিলোমিটারের মধ্যে খাপড়াভাঙ্গা নদীর তীর দখল করে মহিপুর-আলীপুরে বসানো হয়েছে অনেকগুলো করাতকল । 

মহিপুর বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, মহিপুর রেঞ্জের অধিকাংশ করাত কল অবৈধ। মাত্র ৮টি করাতকলের লাইসেন্স রয়েছে। অবৈধ করাত কল বন্ধ করার পাশাপাশি কুয়াকাটা পৌর এলাকায় আরও ৩টি করাতকলের লাইসেন্স দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।  এছাড়া করাতকল ও ইটভাটা মালিকের সাথে বন বিভাগের সখ্যতা থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। 

কলাপাড়া রেঞ্জের বন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, সকল করাতকলের লাইসেন্স করাসহ নবায়নের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

কলাপাড়া উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটির সভাপতি ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। করাতকল চালাতে।বৈধতা থাকতে হবে, নিয়মের বাইরে কেউ করাতকল চালু করতে পারবে না।

এমএসএম / জামান

ইলিশ পাচার সিন্ডিকেট বিলুপ্ত চান ভোলার উপকূলের জেলেরা

‎ঝিনাইদহে রেলপথের দাবিতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

লামা উপজেলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

কোটালীপাড়ায় পোনা মাছ অবমুক্তকরণ

ত্রিশালে বাগান মাদরাসা পরিদর্শনে আইএমইডির মহাপরিচালক

কুড়িগ্রামে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা

সার নীতিমালা বহালের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজ তিন মাদ্রাসাছাত্রী, ২১ দিনেও সন্ধান মিলেনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনাধান-১৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে মানষিক ও শারিরীক নিযাতনেই গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা

চৌগাছায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

নাটোরের সিংড়ায় পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন