ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

উলিপুরে জমজমাট ঈদের বাজার, অধিক আয়ের সম্ভাবনা


আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর photo আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর
প্রকাশিত: ২৪-৪-২০২২ দুপুর ১২:১৭
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমজমাট ঈদের বাজারে বিক্রেতাদের অধিক আয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। করোনার ভয়াবহতা নেই। দীর্ঘ দুই বছরের ব্যবসায়িক মন্দাও অনেকটা কেটে গেছে। মাকের্টগুলো সাজাতে ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা আর ক্রেতাদের পছন্দের পোশাক বেছে নেয়ার চেষ্টা। এ দুইয়ে মিলে উলিপুরে ঈদ মার্কেট এখন অনেকটাই জমজমাট। ক্রেতা আর বিক্রেতাদের দরকষাকষিতে মুখর বিপণিবিতানগুলো। কোথাও যেন পা রাকার জায়গা নেই। সকাল থেকে রাত অবধি কেনাকাটা চলছে উলিপুরের শপিংমলগুলোতে।

উলিপুরের গুরুত্বপূর্ণ বড় বড় দোকান গুলোতে ঘুরে দেখা যায়, বাহারি নামে নানা রঙের-ডিজাইনের পোশাকে পোশাকে ছেয়ে আছে দোকান গুলো। নারী-পুরুষ ও শিশুদের পোশাকগুলোতে সংযুক্ত করা হয়েছে নামি, দামি, তারকাদের নাম। কোনটা আবার কাঁচা বাদাম নামেও ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেছে। উলিপুরের খুচরা ও পাইকারি প্রসিদ্ধ ঈদ মার্কেটে আল আমিন ফ্যাশন এর সত্ত্বাধিকারি রেজাউল ইসলাম বলেন, গত দুই বছরের তুলনায় এবার বিক্রি একটু ভালো, দেনা, পাওনা, দিয়ে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চাই। উলিপুরে ব্যস্ততম ঈদ মার্কেট  মানেই মন্ডল মার্কেট। এখানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বিকিকিনি। রংধুনু ফ্যাসনে এ এসেছে বাহারি রকমের ঈদ পোশাক। কোথাও যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। শাড়ী, থ্রি পিচ, পাঞ্জাবী, প্যান্টসহ শিশুদের পোশাকে পরিপূর্ণ প্রত্যেকটি শপিংমল। কয়েকজন ক্রেতা জানান, পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোই কেনাকাটা করছেন এবার ঈদ মার্কেটে।

মন্ডল মার্কেটের শাড়ির দোকানগুলোতে ঈদকে ঘিরে এসেছে নামি-দামি ব্রান্ডের শাড়ি। এই মার্কেটের রানা বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী শাহাদত হোসেন সাদা জানান, টাঙ্গাইলের জামদানি, সিল্ক, মসলিন, বেলগা কাতান এগুলোই ঈদ মার্কেটে বেশি বিক্রি হচ্ছে।  দামও রয়েছে সহনীয় পর্যায়ে। টাঙ্গাইলের জামদানি ১ হাজার থেকে ১৪শ’টাকায়, মসলিনের শাড়ি ২ হজার থেকে ১২শ’ টাকায়, বেল্গাকাতান ২৫শ থেকে ১৫ হাজার টাকায়, ইন্ডিয়ান বাহা ১৫শ ১৭শ টাকা, ধুমকেতু শাড়ি ১৭শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আব্দুল হাকিম সুপার মার্কেটের মা বস্ত্রালয়, মার্ফি ড্রেস ফ্যাশন, এইচ ডি ফ্যাশনসহ নামি দামি শপিংমলে বেশি বিক্রি হচ্ছে মেয়েদের ওয়ান পিছ, টু পিছ, থ্রি পিছ, ফোর পিছ। হিন্দি ছবি ও সিরিয়ালের নায়ক নায়িকাদের নামে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে মেয়েদের এ সব পোশাকগুলো।

বিশেষ করে শেখ সুপার মার্কেটে  সজিব ক্লোথ ষ্টোরে বিভিন্ন রকমের পোশাকের মধ্যে কাচা বাদাম থ্রিপিচ ক্রেতার মন জয় করেছে। এছাড়া জামদানি শাড়ি, সিল্ক শাড়ি, প্যান্ট পিস, শার্ট পিস কেনার ধুম পড়েছে।
 
বিক্রেতা সাজু, হাসান, জাহিদ, সালামসহ অনেকে জানান, মেয়েদের টু পিস, থ্রি পিসের মধ্যে কাঁচা বাদাম, দাবাং, পাশাপাশি ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি বুটেক্স, গাউনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ সব দোকানগুলোতে  মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবীর সমরোহ রয়েছে। সব মিলিয়ে ক্রেতা আর বিক্রেতাদের পদচারনায় এখন  মুখর উলিপুরের ঈদ মার্কেটগুলো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি  ভালো থাকায় নারী, পুরুষ মিলে সকলে গভীর রাত পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করছেন। উলিপুরের চুমকি শপিং সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী রেজাউল করিম জানান, ক্রেতারা এখন মার্কেটমুখী। তবে ভিড় যতটা বাড়ছে বিক্রি ততটা বাড়ছেনা। জানিনা গেলো দুই বছরে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবো কিনা। আশাকরি চাঁদ রাতে ভালো বিক্রি করতে পারবো। এছাড়া উলিপুর মধ্যবাজারে মেসার্স মোল্লা ট্রেডার্স এ বিভিন্ন আইটেমের গিফট কিনতে ক্রেতার ভিড় দেখা যায়।

উলিপুর মার্কেটের মালিক সমিতির সভাপতি মো. রিয়াজুল হক জানান, এ মার্কেটের প্রতিটা দোকানেই  প্রতিদিন বিক্রি বাড়ছে। চাঁদ রাতে আরও বেশি বিক্রি হবে। আশা করছি  পরিবার পরিজন নিয়ে এ বছর ঈদ আমরা ভালোভাবে কাটাতে পারব।

এমএসএম / জামান

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ

পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র

জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা

মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল

এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী

বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা

কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী

রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী

বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত

ত্রিশালে জেঁকে বসেছে শীত, ফুটপাতে জমে উঠেছে বিক্রি

৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে কুমিল্লা -৬ আসনে জামায়াত নেতা দ্বীন মোহাম্মদ শোভাযাত্রা

আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে এ দেশের ছাত্র জনতা -মিয়া গোলাম পরওয়ার

সন্দ্বীপে ৫ শতাধিক পরিবারের চলাচলে স্বস্তি