সোমবার কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, বুধবার আসছেন শিক্ষামন্ত্রী

২০০৬ সালের ৯ মে ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর শহরের নামাপাড়া গ্রামে যে বটবৃক্ষের নিচে বাঁশি বাজাতেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সেখানেই কবির নামে প্রথম ও একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের রূপকল্প নিয়ে কাজ করছে।
শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন-এই তিন উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আজ ৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রাক্কালে বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রতিষ্ঠাদিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যে সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যুক্ত ছিলেন সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ অন্যদের প্রতিও।
উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিলক্ষ্য হচ্ছে, সাংস্কৃতিক শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষা বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ক পঠন-পাঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটানো। দেশের আধুনিক ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দ্বারা জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিতে ব্যাপক ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাথে শিক্ষামন্ত্রীর আগমনে ক্যাম্পাসকে সাজানো হচ্ছে আকর্ষণীয় ভাবে। ক্যাম্পাসের ভবন, বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহসহ পুরো ক্যাম্পাসকে সুসজ্জিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ একর আয়তন নিয়ে শুরু এই বিশ^বিদ্যালয়টি ২০০৬ সালের ৯ মে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ৩ জুন উদ্বোধন করা হয়। পরের বছর ৩ জুন শুরু হয় শ্রেণিকক্ষে প্রথম পাঠদান। প্রতিষ্ঠাকালীন অনুষদ ২টি ও বিভাগ ছিল ৪টি। এর মধ্যে কলা অনুষদের বিভাগ ছিল-বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ ও সংগীত বিভাগ। বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে ছিল কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। উদ্বোধনী ব্যাচে মাত্র ১৮৫ জন শিক্ষার্থী ছিলেন।
মাত্র ১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টির কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। বর্তমানে ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫৭ একর। এখন ৬টি অনুষদের অধীনে ২৪টি বিভাগ আছে। নজরুল গবেষণাকে নতুনমাত্রা দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ। নজরুল প্রাঙ্গণ মুখরিত থাকে ৮ হাজার ৩শ ৪০ জন শিক্ষার্থীর পদচারণায়। ২০৫ জন শিক্ষক, ১৩৯ জন কর্মকর্তা, ১৯৪ জন কর্মচারী বর্তমানে কর্মরত আছেন।
শিক্ষার্থীদের আবাসনে রয়েছে ৪টি আবাসিক হল। এগুলো হলো- অগ্নি-বীণা হল, দোলন-চাঁপা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। প্রায় তিন হাজারের অধিক শিক্ষার্থী হলগুলোতে অবস্থান করতে পারে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের জন্য রয়েছে ৪টি ভবন ও একটি ডরমিটরি। স্থাপিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য।
বর্তমান সময়ে ক্যাম্পাসে চলছে উন্নয়নের সুবিশাল কর্মকাণ্ড। একদিকে যেমন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে অন্যদিকে চলছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, মসজিদ, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), সম্প্রসারিত মেডিকেল সেন্টার নির্মাণের কাজ। ক্যাম্পাসের সুরক্ষার জন্য সীমানাপ্রাচীর যেমন নির্মাণ করা হচ্ছে তেমনি শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে আয়োজন করা হচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনার। সেসশজট মুক্ত করতে ও একাডেমিক কার্যক্রমে গতি ফেরাতে শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আয়োজন : ১৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে এবার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে করা হচ্ছে আলোকসজ্জা। ১১ মে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী এ সময় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ হাফেজ মাওলানা মো. রুহুল আমীন মাদানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. কাউসার আহাম্মদ।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে রোববার (৮ মে) দুপুরে উপাচার্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের নানা দিক ও শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
মেহেদী হাসান রিয়েল
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
জামান / জামান

ইবিতে আ'লীগপন্থী শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চবি মেডিকেলে প্যাথলজি বিভাগ উদ্বোধন, করানো যাবে ২১ ধরনের পরীক্ষা

ইবিতে (ইকসু)গঠনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

জাকসুতে শিবির ও বাগছাসের প্যানেল ঘোষণা, বিলম্ব ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের

জকসু নীতিমালা জমা আজ আগামী বুধবার বিশেষ সিন্ডিকেট সভা

চাঁদাবাজির ঘটনায় আলোচিত সেই আফ্রিদির বিরুদ্ধে মানহানীর অভিযোগ

জবি রোভার স্কাউটের বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

গকসু নির্বাচন: গঠনতন্ত্র ভেঙে ‘একক প্রার্থী বানানোর খেলা’, পণ্ড বৈঠক

১২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিটিসিএলের আড়াই কোটি টাকার বিল বকেয়া

ইবিতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা: ভিপি আবিদুল, জিএস হামিম, এজিএস মায়েদ

ইবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিরোধী ৬১জনকে শাস্তির সুপারিশ
