ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

উলিপুরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো ঐতিহ্য খড়ের ঘর


আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর photo আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর
প্রকাশিত: ৯-৫-২০২২ দুপুর ৪:১৯

কুড়িগ্রামের উলিপুরে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে গ্রামেও। বিভিন্ন ধরনের খড়কুটো দিয়ে তৈরি ছাউনি করা ঘরের জায়গায় তৈরি হচ্ছে প্রাসাদসম অট্টালিকা। ছাউনির ঘরের স্থান দখল করে নিচ্ছে টিন আর ইট-পাথরের দালান ঘর। একটু সুখের আশায় মানুষ কত কিছুই না করছে। ছাউনি ঘরের শান্তি টিন আর ইট-পাথরের দালান-কোঠায় খুঁজে পাওয়া যায় না।

আধুনিকতায় ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এ ছাউনি ঘর। মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, রুচিবোধের পরিবর্তনে কারণে এখন আর কেউ ছাউনি ঘরে থাকতে চায়না। সচ্ছল মানুষেরা এখন ঝুঁকে পড়েছেন টিন আর পাকা দালানের দিকে। এতে করে দ্রুতই হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী খড়কুটো খড়ের ছাউনি ঘর।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের খামার দামার হাট গ্রামের রহিমা খাতুনের বাড়িতে একটি খড়ের ঘর পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে ও থেতরাই ইউনিয়নের জুয়ান সতরা গ্রামের রুপালি বেগমের বাড়ীতে একটি খড়ের ঘর ব্যবহৃত হচ্ছে। রপালি বেগম বলেন, এখন তো কেউ খড়ের ঘর উঠায়না এই খড়ের ঘরটি ঐতিহ্য হিসেবে আমি ঘরটিকে সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এক সময় উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বহু মানুষের বাড়িতেই ছিল ছাউনি ঘর। কিন্তু বর্তমানে সেই অবস্থা আর নেই। সমাজের সাথে তাল মিলাতে জমি বিক্রি বা লোন করে হলেও টিন বা ইটের দালান তৈরী করা লাগে। তাই ছাউনি ঘরের স্থানে জায়গা করে নিচ্ছে টিন সেট আর ইটের তৈরী পাকা দালান।

উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের পুর্ব কালুডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলী বলেন, আমরা আগে খড়ের ঘরে ছিলাম অনেক আরামে ছিলাম,কিন্তু সমাজের সাথে চলতে গিয়ে ধনি গরীব সবাই টিন সেট আর ইটের দিয়ে দালান কোটা তৈরী করছে। কিছুদিন যাবৎ গ্রামে একটিও খরের ঘরে দেখতে পাইনি,অথচ ৫/৭ বছর আগেও অনেক বাড়ীতে খরের ঘর দেখতে পেতাম। বজরা ইউনিয়নের চাঁদনির চর গ্রামের আব্দুল ওহাব আলী বলেন,একটা খেরি ঘর দেখতে মন চাইলেও দেখার কোন উপায় নাই, এ্যালা ধনি, গরীব সবাই টিন আর ইট দিয়া বিল্ডিং ঘর বানাচ্ছে হামার ছওয়া পোয়াক জিজ্ঞেস করলে খড়ের ঘর কি একবারে পাবার নয়।

বিশেষ প্রক্রিয়ায় ঘরের চাল ধানের খড়, বাঁশ, পাটের খড় ইত্যাদি (কুড়া) দিয়ে দেয়ালের উপর ছাউনি দেওয়া হতো। বাইরের দিকেও ঐ একেই জিনিস দিয়ে বেড়া দেওয়া হতো। ঘরের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পেতো তেমনি ঝড়-বৃষ্টির হাত থেকেও রক্ষা পেতো এবং অনেক আরামদায়কও ছিল। এখন সচ্ছল ব্যক্তিরা তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে আর ছাউনি ঘরে থাকতে চায় না।

এমএসএম / জামান

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ

পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র

জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা

মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল

এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী

বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা

কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী

রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী

বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত

ত্রিশালে জেঁকে বসেছে শীত, ফুটপাতে জমে উঠেছে বিক্রি

৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে কুমিল্লা -৬ আসনে জামায়াত নেতা দ্বীন মোহাম্মদ শোভাযাত্রা

আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে এ দেশের ছাত্র জনতা -মিয়া গোলাম পরওয়ার

সন্দ্বীপে ৫ শতাধিক পরিবারের চলাচলে স্বস্তি