জুড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছপালা বিক্রির দায়ে প্রধান শিক্ষককে শোকজ
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছপালা নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম সবিতা রানী দে। তিনি উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। বুধবার (১১ মে) দুপুরে নিয়মবহির্ভূতভাবে গাছ কাটার দায়ে এ প্রধান শিক্ষককে শোকজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ভূঁইয়া।
স্থানীয় এলাকাবাসী গাছের ৪০-৫০টি খণ্ড আটকালেও সমপরিমাণ গাছের খণ্ড ক্রেতা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে স্থানীয় বাসিন্দা মখলিছুর রহমান, রুকন মিয়া, আসুক মিয়া, ফিরুজ মিয়া, মঙ্গল মিয়া, মো. মুন্না প্রমুখ অভিযোগ করেন, স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান, মজিদ মিয়া, মুজিব মিয়া, তমছির মিয়া পৃথকভাবে বিদ্যালয়ের ১০-১২টি গাছের সম্পূর্ণ ডালপালা কেটে বাড়িতে নিয়ে যান। এছাড়াও মুজিব মিয়া বড় একটি আকাশী গাছ কেটে নেন। আমরা আপত্তি দিয়ে ৪০-৫০টি খণ্ড আটকে রাখি। প্রধান শিক্ষক সবিতা রানী দে অতি গোপনে অবৈধভাবে গাছগুলো ৪-৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। সবগুলো প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করলে সরকারি কোষাগারে ২০-৩০ হাজার টাকা জমা হতো।
প্রধান শিক্ষকের সামনে গাছের ক্রেতা মিজানুর রহমান ও তমছির মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছে ১৫০০ টাকা করে গাছপালা বিক্রি করেছেন। বিক্রিকালে বিদ্যালয় কমিটির সদস্য বাদশা মিয়া, জহিরুল ইসলাম, জহুরা বেগম (সুন্দরী) ও প্রধান শিক্ষকের স্বামী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান শিক্ষক সবিতা রানী দে গাছপালা বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ডালপালাগুলো কাটা হয় এবং পারিশ্রমিক হিসেবে কিছু ডাল তাদের দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে বিদ্যালয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো সম্মতিপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। এ সময় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি নীরবতা পালন করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কর্তন করে নিলাম করতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর আবেদন করার জন্য ২০২১ সালের ২০ মার্চ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এর পরে আর কিছু আমার জানা নেই। প্রধান শিক্ষক ভালো জানেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুদর্শন দাস বলেন, গাছপালা কাটা বা বিক্রির বিষয়ে আমি অবগত নই। সোমবার উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ে আসার খবর পেয়ে প্রায় দুই মাস পর বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি দেখলাম, জানলাম। তবে প্রধান শিক্ষক গাছপালা বিক্রি করতে পারেন না।
জুড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাই। এ সময় স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষক কর্তৃক গাছপালা কেটে বিক্রির অভিযোগ করলে তার সত্যতা পাওয়া যায়। গাছগুলো ফেরত আনার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছে। কাটা গাছগুলো নিলামের ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া আইনবহির্ভূতভাবে গাছপালা বিক্রি করায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সামছুল ইসলাম বলেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাছপালা কাটা বা বিক্রি করতে পারেন না। কোনোভাবেই গাছপালা বিক্রি করার ক্ষমতা প্রধান শিক্ষকের নেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / জামান
ধানের শীষ যার হাতে তিনি তারেক রহমানের প্রার্থীঃ মহম্মদপুরে সেলিমা রহমান
সুবর্ণচরে শ্রমিকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
শাল্লায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ
ছয় লেন প্রকল্পে জীবিকা হারানোর শঙ্কা: দোকানদারদের মানববন্ধন
‘‘সহিংসতা এড়িয়ে সংবাদ সংগ্রহের কৌশল” কর্মশালায় নিরপেক্ষ থাকা ও প্রকৃত সাংবাদিকদের ঐক্যের তাগিদ
কাপ্তাই ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিবগর্কে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান
রৌমারীতে খেলার মাঠ দখল করে আশ্রয়ন প্রকল্পের ভবন নির্মাণের চেষ্টা
মাগুরা ২ আসনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রবাসির কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবি, হত্যাচেস্টা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে
দু'পা হারিয়ে কর্মহীন রায়গঞ্জের রফিকুল, সংকটে শিশুপুত্রের পড়াশোনা
পঞ্চগড়ে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
লাকসামে তারেক রহমানের নির্দেশে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি আসনটি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা