ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে বাউফলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর বাউফলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে নিন্মাঞ্চলের অনেক গ্রাম। পানি ঢুকে পড়েছে বসতবাড়িতে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ। পানির তীব্র স্রোতে বেড়িবাধ, কাঁচা, পাকা ও আধাপাকা সড়ক ভেঙে গেছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। নষ্ট হয়েছে ক্ষেতের ফসল ও পুকুরের মাছ। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার নদীবেষ্ঠিত ও নদীতীরবর্তী ইউনিয়নগুলো। নদীতে স্বাভাবিক জেয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন। মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকে শুরু হওয়া জোয়ারে এসব এলাকা প্লাবিত হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাউফল উপজেলা থেকে বিছিন্ন তেঁতুলিয়া নদীবেষ্ঠিত ইউনিয়ন চন্দ্রদ্বীপ, নদীর তীরে অবস্থিত ইউনিয়ন নাজিরপুর, কালাইয়া, কেশবপুর ও ধুলিয়া ইউনিয়নে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। পানির চাপে ভেঙে গেছে রাস্তা ও বেড়িবাঁধ।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে প্রায় ১৭টি পাকা-আধাপাকা সড়ক ভেঙে গেছে। প্রায় ৭ ফুট পানিতে ডুবে গেছে রায়েসাব, চরমিয়াজান, দিয়ারা কচুয়া, চরওয়াডেল ও দক্ষিণ চরওয়াডেল গ্রাম। নষ্ট হয়েছে মুগডাল, মরিচ, বাদাম ও তিল। অধিকাংশ বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরমিয়াজান গ্রামের বাসিন্দা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, পানিতে ঘর তলিয়ে গেছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছি।
ধুলিয়া ইউনিয়নের চরবাসুদেবপাশা, কাছিপাড়ার চরপাকডাল, বগার বালিয়া এলাকা, লোহালিয়া এবং তেঁতুলিয়া নদীর ফুঁসে ওঠা পানিতে ৬ থেকে ৭ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত এলাকার প্রায় সকল পুকুর এবং মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। ফলে মাছচাষিদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুক্ষীন হতে হবে। এছাড়া পানির তোড়ে ক্ষতি হয়েছে মুগ, মসুর, মরিচ এবং তিল-তিশিসহ বিভিন্ন প্রজাতির রবিশস্যের।
দেখা গেছে, উল্লিখিত ইউনিয়নগুলোর বেশিরভাগ অংশেই বেড়িবাঁধ নেই। যতটুকু আছে সেটকুও মেরামতের অভাবে ভগ্নদশা হয়ে রয়েছে। এদিকে ২০২০-২১ অর্থবছরে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, তার প্রায়টাই ধ্বংস হয় গেছে। বিনষ্ট হয়েছে কেশবপুরের গুচ্ছগ্রাম। কেশবপুর ইউনিয়নের চরমমিনপুর প্রায় ৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ওই ইউনিয়নের কালামিয়ার বাজার থেকে মমিনপুর ও হাজিরহাট বাজার পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তার প্রায় ২৫টি স্থান ভেঙে গ্রামের জনবসতিতে পানি ঢুকে পড়েছে। পানিতে দুই শতাধিক পুকুর এবং শতাধিক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। কালাইয়া ইউনিয়নের চরকালাইয়া, চর শৌলা ও বগী এলাকায় প্রায় ৭ ফুট পানি বেড়েছে। ভেঙে গেছে বগী-কালাইয়া সড়কের ১০০ মিটার। নাজিরপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি রাস্তা ভেঙে নষ্ট হয়েছে।
বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান হিমু জানান, বেশিরভাগ রবিশস্য উঠে গেছে। তবে এখনো মাঠে বেশকিছু রবিশস্য রয়েছে। তবে চন্দ্রদ্বীপ, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া ইউনিয়নে ভেড়িবাঁধের কারণে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনই বলা যাচ্ছে না। আমাদের লোক মাঠে রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে একটু সময় লাগবে।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান, আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা কমিটির সভা করে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছি। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ে বাউফলের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, বগা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এমএসএম / এমএসএম

নাগরপুরে মাদ্রাসার শিশু ছাত্র বলাৎকার অভিযুক্ত রুমন গ্রেফতার

সেন্ট মার্টিনে ছাড়া হলো আরও ১৫০টি কাছিমের ছানা

মান্দায় পরোকিয়ার বলি সন্ধ্যারানীকে ফিরে পেতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

বারহাট্টায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত ৩০

বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষার দিলেন ছেলে

টেকনাফ স্থলবন্দর অচল

তালার তাঁত শিল্প এখন শুধুই স্মৃতি

কাপ্তাই ১০ আরই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

বঙ্গোপসাগরে ৪ ট্রলারে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৮

সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া নুরুল আবছার আটক

নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রেফতার

নরসিংদীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান নিহত

ধামইরহাটে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বাংলা নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
Link Copied