রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্র লীগের সম্মেলন-সভাপতি পদে আলোচনায় ফয়সাল আহম্মেদ ফরহাদ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে দীর্ঘ ৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। আর এই সম্মেলনে সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন  আওয়ামী পরিবারের সন্তান, বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ফয়সাল আহমেদ ফরহাদ।

সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্র লীগ কমিটি সূত্রে জানাযায়,আসছে আগামী ২৬ শে মে বৃহস্পতিবার   অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। দীর্ঘ ৮ বছরের জমানো চাপা কষ্ট আর নেতৃত্বে যাওয়ার আক্ষেপ পূরণ হতে যাচ্ছে এই উপজেলার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। আর এই সম্মেলনকে ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে মনে  বাধ ভাঙা আনন্দের।

দীর্ঘ  এই ৮ বছর পর যেন রায়গঞ্জ উপজেলায় আমাবস্যার চাঁদ উঠবে এমনটি ধারণা করছেন উপজেলার সচেতন মহল। উপজেলার বিভিন্ন চা এর দোকানে, হাটে-বাজারে, মাঠে,ঘাটে  সকল জায়গায় চলছে প্রার্থীদের নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা।

প্রতিটি চা এর কাপের চুমুকে চুমুকে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে কথার বাহাদুরি । সবাই বলছে কে হবে আগামী দিনের রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক। তবে তাদের এই আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি সাইদুল ইসলাম চাঁনের ছোট ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকারের ছোট ভাই ফয়সাল আহমেদ ফরহাদ।

আওয়ামী পরিবারের সন্তান হওয়ায় হাইব্রিড নয় নির্ভেজাল ভাবে ফয়সাল আহমেদ ফরহাদের গলায় ঝুলবে সভাপতি পদের জয়ের মালা এমনটি বলছেন উপজেলার সচেতন মহল।

আগামী ২৬ মে অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে মোঃ ফয়সাল আহমেদ ফরহাদ, মশিউর রহমান কিরন, আল মামুন সরকার ও রবিন  সরকার,মোঃ আবুল কালাম আজাদ,  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ নাসিম সরকার, রাশেদ রায়হান জয়, শোয়েব আক্তার ও সাব্বির আহমেদ স্বাধীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।এ বিষয়ে (রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা) ৩ আসনের এমপি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ  জামান, যারা ত্যাগী, যারা সৎ, যারা পরিশ্রমী, যারা রাজপথের কর্মী তাদের হাতেই সম্মেলনের মাধ্যমে রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব তুলে দেয়া হবে।

ফয়সাল আহমেদ ফরহাদ এ প্রতিবেদক সাইদুল ইসলাম আবির কে বলেন,আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, কখনো পদের আশায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান করি নি আর করবো না।রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে আমাদের পরিবারের কতটুকু অবদান তা তৃণমূলের সকল নেতা কর্মীরা জানেন।আমার দাবি বর্তমান সরকার আওয়ামী বান্ধব সরকার। হাইব্রিড,নব্য আওয়ামী লীগ,নৌকা বিরুদ্ধে অবস্থান করা প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন না দিয়ে প্রকৃত আওয়ামী লীগ পরিবার থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণার দাবি জানান। তিনি আরো বলেন,আমি আমার বাবা,ভাইয়ের গৌর্বে রাজনীতি করি না। বাংলাদেশ ছাত্র লীগকে ভালোবাসি, ভালোবাসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। এজন্যই ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র  লীগ সামর্থন করে আসছি।সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেনো সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সর্বসাধারণের জন্য কাজ করতে পারি সেই সাথে বাংলাদেশ ছাত্র লীগের  একজন সৎ কর্মী হয়ে  স্বচ্ছতা বজায় রেখে জনকল্যাণে এগিয়ে আসতে পারি।