মান্দায় সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক আচরণ
নওগাঁর মান্দায় ঋণগ্রহীতার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ব্যাংক কর্মকর্তা গালি দিলেন- ‘চোরের বাচ্চা টাকা তোর বাপের‘ এমন অভিযোগ উঠেছে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মান্দা উপজেলা শাখার ম্যানেজার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
ঋণগ্রহীতা মীম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ময়নুল ইসলাম জুয়েল জানান, ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ২ কোটি ১৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার সম্পত্তি সোনালী ব্যাংকের নিকট বন্ধকী রেখে ১০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করি। ১০ লা টাকা ঋণ গ্রহণের পর এ পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখে প্রায় ৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা পরিশোধ করি। এরপরও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে উৎকোচ দাবি করেন। না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাড়ি ও দোকানঘরে নিলামের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। এতে সমাজিকভাবে আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্নসহ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি। ইতোমধ্যে আমি গত ৭ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বরাবর সহজভাবে ঋণ পরিশোধ করার জন্য আবেদন করি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখান থেকে সোনালী ব্যাংকের মান্দা উপজেলা শাখার ম্যানেজার বরাবর সহজভাবে ঋণগ্রহণের জন্য চিঠি প্রেরণ কো হয়। কিন্তু তিনি কোনোকিছুকে তোয়াক্কা না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন ভাবে বিড়ম্বনা করে আসছেন।
তিনি আরো জানান, করোনা মহামারীর কারণে শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিরূপ প্রভাব পড়ার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ পর্যন্ত বর্ধিত করে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণের বর্ধিত সময়কে তোয়াক্কা না করে আমাকে ম্যানেজার মিজানুর রহমান ঋণের চাপ প্রয়োগ করে সম্পত্তি নিলামের জন্য ব্যাংক কর্তৃক সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে আছি। করোনার কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা ভঙ্গুর হওয়ায় সামান্য টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। ফলে ব্যাংক কর্মকর্তা বিভিন্নভাবে মোবাইল ফোনে গালিগালাজ করছেন। এখন সহজভাবে ঋণ পরিশোধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা শাখার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, খেলাপি ঋণের ১৫% টাকা জমা দিয়ে আবেদন করলে সহজ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবে। ঋণের ১৫% হারে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। কিন্তু তিনি মাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। বাকি টাকাগুলো দিলে তিনি সহজ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। তিনি যেসব অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
এমএসএম / জামান