ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

রাবির ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ

খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়েই চলছে অর্ধযুগ


অর্পণ ধর, রাবি photo অর্পণ ধর, রাবি
প্রকাশিত: ১৭-৬-২০২২ দুপুর ২:৫৮
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শরীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ খোলার অর্ধযুগ পার হয়েছে। তবে বিভাগটিতে এখনো কোনো স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। ফলে খণ্ডাকালীন শিক্ষক দিয়েই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে বিভাগের কোর্স সম্পন্ন হতে লাগছে দীর্ঘ সময়, প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর। ফলে দীর্ঘ সেশনজটের আশঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
 
শিক্ষার্থীরা জানান, স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় সকল বর্ষের ক্লাস শুরু হতে দেরী হয়। একটি বর্ষ শেষ হতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে তিন থেকে চার মাস বেশি সময় লাগে। অস্থায়ী শিক্ষক মাঝপথে চলে গেলে, কোন কোন কোর্সের ক্লাস মাঝপথেই থেমে যায় বলেও জানান তারা।
 
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিভাগটিতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। এ পর্যন্ত কোনো স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সালাহ উদ্দিনকে তিন বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়। প্রতিটা বর্ষ শেষ হতে অতিরিক্ত তিন থেকে চার মাস সময় লাগে। আমাদের একজন শিক্ষক চলে গিয়েছেন, ঐ শিক্ষকের ক্লাস এখনো শুরু হয়নি। নতুন শিক্ষক যোগদান করলে এ ক্লাস আবার শুরু হবে। কিন্তু স্থায়ী শিক্ষক থাকলে এ সমস্যার সৃষ্টি হতো না। 
 
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তুষার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এখানে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে আমাদের ক্লাস নেন। এমনটি চলতে থাকলে দীর্ঘ সেশনজটে পড়ব আমরা। তাই দ্রুত এবিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
 
তৃতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী জনি‌ মাহমুদ বলেন, আমাদের বিভাগে ইতিহাসে কোন স্থায়ী শিক্ষক নেই। ধার করা শিক্ষক দিয়ে আমাদের ক্লাস চলছে। ক্লাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক বেশি সমস্যা হয় না। তবে ক্লাসগুলো নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে পারি না।
 
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সালাহ্ উদ্দিন বলেন, নিজস্ব কিছু শিক্ষক থাকলে বিভাগের বিষয়ে ভালোভাবে সার্বক্ষণিক চিন্তা করা যায়। শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিভাগ থেকে আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু পূর্বের প্রশাসনের নানা কারণে নিয়োগ আটকে যায়। ক্লাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব কোর্সের ক্লাস নিয়মিত হচ্ছে। কোন কোর্সের ক্লাস আটকে নেই। 
 
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একটা বিভাগ যখন খোলা হয়, তখন তার শিক্ষার সকল আয়োজন করা হয়। স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় আমি মনে করি শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। পূর্বের প্রশাসনের দূর্নীতির কারণে এ মুহূর্তে আমরা কোন নিয়োগ দিতে পারছি না। ছাত্ররা বঞ্চিত হোক, এটা আমরা চাই না। তাই আশেপাশের বিভাগের থেকে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করছে বিভাগ। এ বিষয়ে বিভাগের কোন সহায়তা লাগলে, আমরা তাদের সাহায্য করবো। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উঠলেই আমরা নিয়োগের ব্যবস্থা করবো। 

এমএসএম / এমএসএম

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন

শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ

উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ

দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল

জকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

জকসু নির্বাচন: ছাত্রদল সমর্থিত "ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান" প্যানেল ঘোষণা,

এইচএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ

বাকৃবিতে প্রিসিশন ব্রিডিং-ভিত্তিক দুগ্ধ উৎপাদন উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা

স্কুলে ভর্তিতে ৬৩ শতাংশই কোটা, অভিভাবকদের আপত্তি

বাকৃবিতে গরুর মাংস উৎপাদনে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালা