বিড়ি শিল্পকে সুরক্ষার দাবিতে পাবনায় শ্রমিকদের মানববন্ধন

বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সরেজমিন পরিদর্শন ব্যতীত বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিড়ি শ্রমিকরা। সোমবার (২০ জুন) বেলা ১১টায় পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সদস্য লুৎফর রহমান প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, “বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো নিম্নস্তরের সিগারেট। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির। প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারেটে মূল্যস্তর ৩৯ টাকা থেকে ৪০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা খুবই সামান্য। তাছাড়া সিগারেটে কোনো সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে বিড়ির বাজার দখলকারী সিগারেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছে। এবছর বাজেটে যদি নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি কার না হয় তবে দেশীয় বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে। নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা বেশি থাকা সত্বেও শুল্কারোধ বৃদ্ধি না করলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত হবে।”
বক্তারা আরো বলেন, “বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প। অন্যদিকে সিগারেটের সবকিছু বিদেশ থেকে আমদাদিকৃত ও প্রযুক্তি নির্ভর। বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানী এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। সিগারেটে অগ্রীম আয়কর ৩ শতাংশ হলেও বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ। এই বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। একই সাথে সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেখে অস্তিত্বহীন বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করতে হবে। দেশের বহু হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, নদী ভাঙ্গন কবলিত জনগণ ও শারীরিক বিকলাঙ্গসহ সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম এই বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করে এই শিল্পকে রক্ষা করতে হবে। না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”
এমএসএম / জামান

বড়লেখায় জীবননাশ ও গুমের আশঙ্কায় আতংকিত ব্যবসায়ী

নাসা গ্রুপের কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা বেতন প্রাপ্তির লক্ষ্যে যৌথ আলোচনা সভা

অ্যাকুয়াকালচার নীতির প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মোরেলগঞ্জে চার লাখ মানুষের সুপেয় খাবার পানির অভাব

রৌমারী উপজেল্ াস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ছের গাছের কি দোশ

দুর্গাপূজায় কোন ঝুকি নাই, নিরাপত্তা আমরা দিব, দুর্গাপূজা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালির সম্প্রীতি ও মহোৎসব

টেকনাফে যৌথ অভিযানে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

রাঙামাটিতে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন

বিশ্ব পর্যটন দিবসে পরিচ্ছন্ন অষ্টগ্রাম গড়ার শপথ

কাশিয়ানীতে বাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত-৪, আহত-৩

কেশবপুরের সাংবাদিক কন্যা সোনালী মল্লিক পেলেন ইয়েস কার্ড'
