বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী : জেলা প্রশাসক

বারবার বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলা। পানিতে ডুবে গেছে শত শত গ্রাম। ভেঙে গেছে হাজার হাজার মানুষের বসতবাড়ি এবং রাস্তাঘাট। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় ইতিহাসের প্রথম এক কঠিন বাস্তবতার সাথে অসহায়ত্বের মুখোমুখি সুনামগঞ্জবাসী।
গত ১৬ জুন রাত ১০টার পরপরই নেমে আসে ঐতিহাসিক এক বেদনাদায়ক নীল নকশার জ্বলন্ত স্রোত। অন্ধকার রাতে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ছুটতে থাকে বৃষ্টি ও পহাড়ী ঢলে নেমে আসা ভয়ানক পানির স্রোতের ধারা । একে একে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে বন্যার পানিতে ডুবতে থাকে শতশত গ্রাম ও হাজার হাজার বাড়িঘরসহ মানুষের চলাচলের রাস্তা। পানিবন্দি হয়ে পরে লাখো লাখো মানুষ । খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে এই কঠিন দুর্যোগ মোকাবেলা সুনামগঞ্জ বাসীকে রক্ষা করতে ছুটে আসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন ,পুলিশ প্রশাসন ও দলীয় নেতা কর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেন এবং সকলের প্রতি বুকে সাহস রেখে এই কঠিন দুর্যোগ মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।
পানিবন্দি মানুষদের রক্ষা করতে এবং যে কোনো কঠিন দুর্যোগ মোকাবেলায় সুনামগঞ্জ বাসীর পাশে আছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তারই নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং দলীয় নেতারা দিন রাত পরিশ্রম করে বন্যা কবলিত পানিবন্দি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌছেঁ দেয়াসহ শুকনো খাবারসহ ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন অসহায় মানুষের হাতে।
এছাড়াও সুনামগঞ্জ ছুটে আসেন দলে দলে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাসহ প্রবাসী দানবীর মানুষেরা এই কঠিন দুর্যোগের সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সুনামগঞ্জ বাসীর জন্য। যার যার অবস্থান থেকে দলমত নির্ভীশেষে কেউ খাবার দিয়ে কেউ নগদ অর্থ দিয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে সরকারের পাশাপাশি বন্যা কবলিত পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
বন্যার পানি কিছুটা কমতে থাকলেও সামন্য বৃষ্টি হলেই আবার বন্যার আশংকা দেখা দিচ্ছে। এখনও মানুষের বাড়িঘর পানির নিচে রয়েছে । অনেকের পরিবার রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন তাদের পরিবার নিয়ে। আবার অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন। পানির স্রোতে শতশত বসত বাড়ি ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে অনেকের । এই কঠিন দুর্যোগ মোকাবেলায় আরও মাস খানিক সময় লাগবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন।
সুনামগঞ্জ জেলার দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন এখনও কিছু কিছু উপজেলায় বাড়িঘর পানির নিচে আছে। শুধু সুনামগঞ্জ টু সিলেট রাস্তাটি যাতায়াতের জন্য সচল রয়েছে এবং জেলা থেকে উপজেলায় যাওয়ার সকল রাস্তা একেবারেই চলাচলের অনুপযোগি হয়ে গেছে। অনেক ব্রীজ খালবাট ভেঙ্গে গেছে। এখন মানুষের ক্ষয়ক্ষতির তালিকার নিরোপনের জন্য কাজ চলছে। তার পরপরই স্থানীয় সরকার এলজিইডির মাধ্যমে তাদের রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে। রোড এন্ড হাইওয়ের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করে তাদের রাস্তাও মেরামত করা হবে। যে সমস্ত মানুষের বাড়িঘর একবারেই ভেঙ্গে গেছে তাদের একটা প্রাথমিক তালিকা তৈরী করা হয়েছে এবং আংশিক যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদেরও তালিকা করা হয়েছে ।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি প্লাবিত বন্যার পানিতে একবারেই ভেঙ্গেছে বাড়িঘর ৪হাজার ৭শ ৪৭টি এবং আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৪০হাজার ৫শত ৪১টি । মোট ৪৫ হাজার দুইশত ৮৮টি বাড়িঘর বন্যায় ক্ষতি হয়েছে । পুরো তালিকা করলে সেটি আরও বাড়তে পারে। ইতি মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা পেয়েছি। আমরা পুরো টাকাটাই উপজেলায় ভাগ করে দিয়েছি পৌর সভায়ও দিয়েছি। তারা সেই টাকায় শুখনো খাবার প্রয়োগ করে মানুষের মাঝে দিচ্ছে এবং এছাড়াও ১হাজার ৩শ ৫৬ মেট্রিকটন জিআর চাউল আমরা বরাদ্দ পেয়েছি সেটিও উপজেলা ও পৌরসভায় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ইউনিয়ণ চেয়ারম্যান,মেম্বার এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহায়তায় সেগুলো মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামে গ্রামে পৌছে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
তিনি আরো বলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রানালয় থেকে ১১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পেয়েছি সেটিও বিতরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে আরও সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের ২৮হাজার বস্তা পেয়েছি সেটিও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ সাড়ে ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দিয়েছে সেটিও বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ সেনা বাহিনী জেলায় কাজ করে যাচ্ছেন তারা ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন এবং নেভী ফোর্সের সদস্যরা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ বিভাগ কাজ করে যাচ্ছেন, জনপ্রতিনিধিরা সহায়তা দিচ্ছেন, মানুষেরাও সহায়তা করছেন। আমরা দুর্যোগ মোকাবেলা কাঠিয়ে ক্ষয়ক্ষতির নিরপনের চেষ্টা করব মানুষদের কিভাবে স্বাবলম্বি করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করব।
তিনি বলেন আমি আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই যে, যেসকল বিভিন্ন পেশার শ্রমিকরা রয়েছেন যাদের বাড়িঘর ভেঙ্গেগেছে ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা যাদের বাড়িঘর মেরামত করারমত সামর্থ নেই তাদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অর্থ সহায়তা দিবেন। আমরা এখন পর্যন্ত যা যেনেছি আপাদত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৫কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছেন সেটি অচিরেই পেয়ে যাব এবং সেই টাকা সরাসরি যাদের বাড়িঘর একেবারেই ভেঙ্গে গেছে তাদের বাড়ির সামনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের হাতে দেওয়া হবে সেখানে কোন মাধ্যম থাকবেনা বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এমএসএম / জামান

জুলাই আন্দোলনে মোজো সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে : শহীদুল হক

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৯ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

কুমিল্লা-৯ আসন পূর্নবহাল রাখাতে মানববন্ধন

নতুন বাংলাদেশ গড়ার বীর সন্তানদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানালেন শেখ সাদী

জুলাই শহিদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন -খোরশেদ আলম

কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি

বিদ্যালয়ের জমি দখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চিতলমারীতে মানববন্ধন

মাদারীপুরে কুকুরের উপদ্রব: জনভোগান্তি চরমে, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

সাভারে সাবেক ইউপি সদস্যের নির্মানাধীন বাড়ি অবরুদ্ধ করে চাঁদা দাবি

বড়লেখায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে নাগেশ্বরীতে মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহসচিবের সাথে ইরানী প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত
