মান্দায় চাঁদাবাজির মামলা থেকে রেহাই পেতে কথিত ৩ সাংবাদিকের থানায় মিথ্যা অভিযোগ
নওগাঁর মান্দায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) লাঞ্ছিতের শিকার হন কতিপয় সাংবাদিক। লাঞ্ছিতের ঘটনায় কথিত তিন সাংবাদিকের ছবিসহ (২১ মে) বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় অভিযোগের ভিডিওসহ ‘পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে কথিত তিন সাংবাদিক লাঞ্ছিত’ শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয়। ওই ঘটনা থেকে রেহাই পেতে অভিনব কায়দায় ভুক্তভোগী হাজেরা বেগমের বড় ভাই মোসলেম উদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজন সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করে মহাদেবপুর উপজেলার বাসিন্দা কথিত সাংবাদিক মাহাবুবুজ্জামান সেতু মান্দা থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, উপজেলার পরানপুর ইউপির বামনগাঁ গ্রামের আব্দুল মতিনের স্ত্রী হাজেরা বেগমের সাথে প্রতিবেশী এক মহিলার মারপিটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে কথিত সাংবাদিক মাহাবুবুজ্জামান সেতু, হাবিবুর রহমান ও আব্দুর রাজ্জাক হাজেরা বেগমের কাছে গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে ৬ হাজার টাকা দাবি করেন। না দিলে অপনার বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে হুমকি দেন। তখন নিরুপায় হয়ে হাজেরা বেগম তাদের ৫০০ টাকা ধরিয়ে দেন এবং বাকি ৫ হাজার ৫০০ টাকা ওই দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় গোপালপুর বাজারে দিতে চান। পরে হাজেরা বেগম তার ভাই মোসলেম উদ্দিন মাস্টারকে ওই বিষয় সম্পর্কে অবগত করলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কথিত সাংবাদিক মাহাবুবুজ্জামান সেতু ও আব্দুর রাজ্জাককে কৌশলে বাজারে ডেকে এনে একটি কক্ষে আটকে রেখে তাদের লাঞ্ছিত করেন। সেই সাথে হাজেরা বেগমের দেয়া ৫০০ টাকা আদায় করে নেন তার ভাই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হাজেরা বেগম যাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করেন সেজন্য ভুক্তভোগীর বড় ভাই মোসলেম উদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা অভিযোগ করেন কথিত সাংবাদিক মাহবুবুজ্জামান সেতু। কতিপয় সাংবাদিক আসল ঘটনাকে অন্য খাতে প্রভাবিত করতে বিভিন্ন মহলে জোর তদবির চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগে যেসব সাংবাদিকের নিউজ প্রকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে মনগড়াভাবে নাম দেয়া হয়েছে তার কোনো সত্যতা নেই বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয়পক্ষকে ডেকে মীমাংসা করে দেয়া হবে।
এমএসএম / জামান