রিয়াদখাঁন হত্যাকান্ড
৯ মাস পেরিয়ে গেলেও হত্যার মূল আসামিরা এখনো অধরা

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের বলাবাড়িয়া সাইনবোর্ড এলাকার সলেমান খাঁনের ছেলে রিয়াদ খাঁন হত্যাকাণ্ডের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও হত্যার মূল আসামিরা রয়েছে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। মূল আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত নিহতের পরিবার। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন বলে জানিয়েছেন নিহত রিয়াদ খাঁনের পরিবারের লোকজন।
জানা গেছে, সে সময় রিয়াদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোটচাঁপুরজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ৯ মাস অতিবাহিত হলেও রিয়াদ হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকলেও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন।
২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বলাবাড়িয়া সাইনর্বোড বাজার এলাকা থেকে রিয়াদ খাঁনকে আসামি মিলন মোবাইলে ডেকে নিয়ে যায়। কপোতাক্ষ নদীর পাশে বাগডাঙ্গা মনিরুজ্জামান ঝিনু মিয়ার আমবাগানের পশ্চিম পাশে ডেকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র গাছি দা দ্বারা নিহত রিয়াদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি কুপিয়ে নৃশংসভাবে এবং মৃত নিশ্চিত করার জন্য জবাই করে হত্যা করে দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসীরা। পরে লাশটি গুম করার জন্য ঘটনাস্থলের পাশে কপোতাক্ষ নদীর পানিতে ডুবিয়ে রাখে।
ওই ঘটনায় রিয়াদ খাঁনের বাবা সলেমান খাঁন বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের আসামি করে কোটচাঁদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ বলাবাড়িয়া গ্রামের মৃত পিকুল কুমার দাসের ছেলে মিলন কুমার দাসকে (২১) গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা ও একজন আসামি গ্রেফতার হলেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামিরা রয়েছে আড়ালে, আটকও হয়নি সেসব খুনি। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও পুলিশের গড়িমসিতে এমন হয়েছে বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা। শুধু তাই নয়, এ নৃশংস হত্যকাণ্ডের ঘটনায় মূল আসামিদের ব্যতিরেকে একজনের আসামি করার ব্যাপারে খোদ কোটচাঁদপুর থানা পুলিশের দিকেই আঙুল তুলেছেন নিহতের স্বজনরা।
নিহত রিয়াদের বৃদ্ধ বাবা সলেমান খাঁন বলেন, বৃদ্ধ অবস্থায় এসে ছেলের রক্তাক্ত লাশ দেখতে হবে ভাবিনি।আমার ছেলে হত্যার পর কোটচাঁদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করি।ওই মামলায় একজন গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছে।এছাড়া মূল আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। মূল আসামিসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতার করে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য জোর দাবি জানান তিনি। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ছেলে রিয়াদকে আর ফিরে পাব না জানি। তবে মরার আগে মূল হত্যাকারীদের সবার বিচার যেন দেখতে পাই।
রিয়াদের বড় ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, আসামী মিলন দাস একা ধারালো অস্ত্র গাছী দা দিয়ে প্রায় ২৩টির অধিক কোপের দাগ, ডান হাতের কব্জি কেটে নেয়া, সর্বপরি গলা কেটে জবাই করে নৃশংসভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। ভাবতেই গা-শিউরে ওঠে। এ হত্যাকান্ড মিলন দাসের একার পক্ষে সম্ভব নয়।জেলে থেকে মিলন দাস বিভিন্ন মাধ্যমে শিকার করেছে, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সহ কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ তাকে যা যা বলতে বলেছে, ৬৪ধারায় জোবান বন্ধিতে খুনের দায় একা শিকার করে নিলে প্রভাবশালীরা মিলনকে জামিনে সাড়িয়ে আনবেন, তার কিছুই হবে না। রিয়াদ হত্যার ঘটনায় মিলনকে আটক করা হয়। অথচ বলাবাড়িয়ার সামছুর রহমানের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. রাজু আহমেদ, মৃতঃ শাহাদৎ হোসেনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. শাহাবুর রহমান,
কোমরপুর এলাকার ইদবার আলীর ছেলে আলম কাজী, গলাবাড়িয়া এলাকার মোতালেব খাঁনের ছেলে মিজান খাঁন, সরূপপুরের মনিরুল নিকেরী মামলার অন্যতম ও প্রধান আসামিরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে আড়ালে অধরাই। আমার ভাইয়ের মোবাইল কললিস্টে মিলন দাসসহ আরো ৭/৮ জনের নাম ছিল তারাসহ যারা ডেকে নিয়েছে তারাই হত্যা করেছে। এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড।খুনিরা আমাকেও মেওে ফেলার হুমকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।ভয় ও উৎকন্ঠায় দিন পার করছি আমি ও আমার পরিবার। রিয়াদকে খুন করলো। এটা মেনে নিতে পারছি না। আমার ভাইকে আর ফিরে পাব না। এভাবে আর কোনো মায়ের বুক যাতে খালি না হয়”, যোগ করেন রিয়াদের বড় ভাই রবিউল। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। অন্তত খুনীদের শাস্তি হলে মনকে কিছুটা হলেও সান্তনা দিতে পারব।
কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, বলাবাড়িয়া গ্রামের ও চৌগাছা পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস মো. আলমগীর বিশ্বাস, ৫নং এলাঙ্গী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের তিনবাবের নির্বাচিত মেম্বর মো. এনামুল হক, পাসপাতিলা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের মৃত নবাব আলীর ছেলে জেলে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন মো. শাহজাহান আলীসহ স্থানীয়রা জানান, ধৃত আসামী মিলন কুমার দাস রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। ধারালো অস্ত্র গাছী দা দিয়ে একের অধিক কুপিয়েছে খুনিরা, ডান হাতের কব্জি কেটে নেয়া হয়েছে তারপর গলা কেটে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করা কি একার পক্ষে আদোও সম্ভব?যে বা যারায় রিয়াদকে হত্যা করেছে, পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সকল খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কোটচাঁদপুর সার্কেল) মো. মোহাইমিনুল ইসলাম এর নিকট রিয়াদ হত্যা মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি অসুস্থ আছেন বলে জানান।
আলোচিত এ মামলার ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন বলেন, রিয়াদ হত্যারহস্য উদঘাটনের জন্য জব্দকৃত আলামত রক্তমাখা জামা-কাপড় ডি.এন.এ টেস্টেও জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।রির্পোট আশার পর হত্যাকান্ড সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পাওয়া যাবে।
রিয়াদের হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোটচাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুর রহমান বলেন, মামলার অন্যতম আসামি মিলন দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোটচাঁদপুর সার্কেল জনাব মো. মোহাইমিনুল ইসলাম স্যার সহ ওসি স্যার নিজে তদারকি করছেন বলে জানান তিনি।
এমএসএম / জামান

নড়াইলে গণঅধিকার পরিষদ কর্তৃক লায়ন নুর ইসলামকে সংবর্ধনা

চেয়ারম্যান থেকে সাধারণ সম্পাদক জনআস্থার প্রতীক সাইফুল আলম মৃধা

জয়পুরহাটে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ইউডিআরটি প্রশিক্ষণ এর উদ্বোধন

রাণীশংকৈলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে

নড়াইলে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে তুলারামপুর ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধন উদ্বোধন

রাণীনগরে রাইডো ব্রেইন ব্যাটল কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

অভয়নগরে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম, অভিযানে ৭ দালালের কারাদন্ড

শিবচরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

সাতকানিয়া কেরানীহাটের মাছ বাবুল গ্রেফতার

কোটালীপাড়ায় শরীরে আগুন দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ৫ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক
